এনআইসিভিডি দাম কমিয়েছে জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রাংশের

হূদেরাগের চিকিৎসায় জীবনরক্ষাকারী অর্ধশত যন্ত্রাংশের দাম কমিয়েছে জাতীয় হূদেরাগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (এনআইসিভিডি)। এই যন্ত্রাংশগুলোর তালিকায় রয়েছে পেসমেকার, ভালভসহ বিভিন্ন ধরনের স্টেন্ট (রিং) ও বেলুন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যন্ত্রাংশ


সরবরাহকারী বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশে কিছু চিকিৎসক চড়া দামে রোগীদের জীবনরক্ষাকারী যন্ত্র কিনতে বাধ্য করছিলেন। দাম পুনর্নির্ধারণের ফলে রোগীরা আগের চেয়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কম দামে এসব যন্ত্রাংশ কিনতে পারবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাতীয় হূদেরাগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সরবরাহকৃত যন্ত্রাংশগুলোর কোনো কোনোটির দাম এমনকি ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের চেয়েও বেশি ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসকদের একাংশ জীবনরক্ষাকারী এসব যন্ত্রাংশের দাম কমানোর দাবি জানান। গত ৬ মার্চ আবুল কাশেম ও কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এ মাসের গোড়ার দিকে পুনর্নির্ধারিত তালিকা পরিচালকের নির্দেশে হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক আবদুল্লাহ আল সাফী মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, এ মুহূর্তে বেসরকারি হাসপাতালগুলো তো বটেই ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ও ইব্রাহিম কার্ডিয়াকের তুলনায়ও এনআইসিভিডিতে যন্ত্রাংশের দাম কম। এই যন্ত্রাংশগুলোর উৎপাদন খরচ কমেছে। সে কারণেও দাম কমানো জরুরি ছিল। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাম নির্ধারণ করা নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ দেখিয়েছিল। কিন্তু তারা সরবরাহ বন্ধ করেনি।
পুনর্নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী হাসপাতালটিতে বিভিন্ন ধরনের স্টেন্ট পাওয়া যাবে ৩০-৩৫ হাজার টাকা থেকে ৫৫ হাজার টাকায়। এক মাস আগেও এর দাম ছিল ৬০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা। ড্রাগ ইলিউটিং স্টেন্টের দাম নির্ধারিত হয়েছে এক লাখ থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এর আগে তা ছিল এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা থেকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। বিভিন্ন ধরনের বেলুনের দাম ১৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, আগে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছিল। এর বাইরে পেস মেকার, মেকানিক্যাল হার্ট ভালভের দামও কমিয়ে আনা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.