ওঁরা আয় করেন ঘরে বসেই

অন্য জায়গা বা অন্যদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া—এক কথায় এই হচ্ছে আউটসোর্সিং।ইন্টারনেটে বসে আউটসোর্সিংয়ের কাজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গত দুই-তিন বছরে দারুণ এগিয়ে গেছে।মুক্ত পেশাজীবী, অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তরুণেরা দেশে বসেই আউটসোর্সিং বেশভালো করছেন।


সম্প্রতি শিক্ষার্থী, ব্যক্তিগত এবং প্রতিষ্ঠান—এই তিন ভাগে সেরা ১৫ জন ফ্রিল্যান্সারকে পুরস্কৃত করেছেবাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। বিজয়ীদের নিয়ে আজকের আয়োজন

খালেদ বিন এ কাদের
আমার ফ্রিল্যান্সিংয়ের শুরুটা হয়েছিল ২০০৬ সালে। বাংলাদেশপ্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি হওয়ার পর পরই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করি। এর আগে এ বিষয়টি নিয়ে প্রচুর পড়তাম। এরপর শুরু এবং পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করে যাওয়া। বর্তমানে আমি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব প্রোগ্রামিংয়ের কাজ করি। মূলত পিএইচপি-ভিত্তিক কাজই বেশি করা হয়। বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে পড়ার পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছি। শুরুতে বিভিন্ন ইন্টারনেট আউটসোর্সিংয়ের বিভিন্ন ওয়েবসাইট কাজ করলেও বর্তমানে সরাসরি গ্রাহকদের সঙ্গেই কাজ করি। শুরুর দিকে আমার কাজ দেখে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান পুরো টাকা অগ্রিম দিয়েছিল, যা খুব ভালো লেগেছে।

সাজ্জাদ হোসেন
আগ্রহ আর ভালো লাগা থেকেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করি। যখন ২০১০ সালের জুলাই মাসে আমি প্রথম কাজ পাই, এর কয়েক দিন পর আমার বাবা মারা যান। আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। এই একটি ঘটনা আমার সব সময় মনে পড়ে। বাবা মারা যাওয়ার কথা আমি আমার গ্রাহককে জানিয়েছিলাম।তিনি আমাকে প্রথম কাজেই সময় বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
বর্তমানে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে তৃতীয় বর্ষে পড়ছি। আমি মূলত ইন্টারনেট বিপণনের কাজ করি। শুরুতে আউটসোর্সিংয়ের ওয়েবসাইট থেকে কাজ সংগ্রহ করতাম। এখন নির্দিষ্ট গ্রাহক বা ক্রেতার কাজ করি। যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনেক দিন হলো কাজ করছি। নতুনদের কাজ করার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। পাশাপাশি চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

আহমেদ সাজিদ
এ লেভেলের পড়াশোনা শেষ করে একটি বিজ্ঞাপন দেখেই ২০০৯ সালে আমার ফ্রিল্যান্সিংয়ের শুরুটা। বর্তমানে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (আইইউবি) বিবিএ প্রথম বর্ষে পড়ছি। আমি ভিডিও সম্পাদনা, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করছি। কাজ শুরুর সময় একবার একটি নির্ধারিত কাজ করেও টাকা পাইনি, তখন খারাপ লেগেছিল। তবে পরে আরও বেশি কাজ করার মাধ্যমে সেটি কাটিয়ে উঠেছি। গ্রাহকদের সঙ্গে কাজ করতে গেলে সময় মানার বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি ব্যবহার উপযোগী ইংরেজিটা ভালো বুঝতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আমিও মেনে চলার চেষ্টা করি, সেটি হলো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর কাজ করা। তাহলে কাজ করার ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব হয়।

মুহাম্মদ সোয়েব
২০০৭ সাল থেকে আমি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করতাম। তখন থেকেই ইচ্ছা ছিল এ কাজই করব, তবে ভালোভাবে শিখে।তখনো ইচ্ছা ছিল, তবে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নিজেকে তৈরি করে নেওয়ার চেষ্টায় ছিলাম। ২০০৯ সাল থেকে শুরু করি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ। ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজগুলোই মূলত করি। মূলত ওয়েবসাইটের মার্কেট প্লেসের মাধ্যমেই কাজ করি। কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসতে পারলে অনেক ভালো করা সম্ভব। তাই যে কাজটি ভালোভাবে করতে পারেন, সে কাজটি নিয়েই আউটসোর্সিং শুরু করুন—নতুনদের প্রতি এটাই আমার পরামর্শ।

মো. মোহামিনুজ্জামান
একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানে আমার চাকরির শুরু। চাকরির ক্ষেত্রে একটি বিষয় খুব মনে হয়েছে যে আমি যে কাজটি ভালো পারি, সেটি শেখা এবং আরও ভালোভাবে করার সুযোগটা নেই। থাকলেও সীমাবদ্ধতা অনেক। এমন চিন্তা থেকেই আমার কাজের ক্ষেত্রটি আর কোথায় ব্যবহার করা যায়, সে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে থাকি। এভাবেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে জড়িয়ে পড়ি। আমি মূলত এএসপি, ডট নেট নিয়ে কাজ করি। ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে নিজের অর্জিত অর্থ দেশেআনার ক্ষেত্রে শুরুতে বেশ সমস্যায় পড়েছি। দেখা গেছে, ব্যাংকে ল্যাপটপ নিয়ে গিয়ে দেখাতে হয়েছে! ফ্রিল্যান্সিং মানেই শুধু শুধু আয়ের ক্ষেত্র নয়। বিষয়টি সবার জানা উচিত।

আনোয়ারুল ইসলাম
আমি যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি, সেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ ছিল বেশ ভালো। ২০০৭ সালের দিকে বিভিন্ন পত্রিকায় ফ্রিল্যান্সিংয়ের কথা জেনেছি। জানার পর থেকেই নানা মাধ্যমে এ সম্পর্কে জানার আগ্রহ বেড়ে যায়। পরে একটি ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করি। ২০০৮ সালে ডেটা এন্ট্রির কাজ দিয়ে আমার ফ্রিল্যান্সিং শুরু। ধীরে ধীরে অন্যান্য কাজ শেখা শুরু করি এবং বর্তমানে আমি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) ও সামাজিক মাধ্যমে বিপণনের কাজ করি। এখনো চাকরির পাশাপাশি আমি নিয়মিতভাবে ফ্রিল্যান্সিং করি। আসলে আগ্রহ থাকলে কাজ করা সম্ভব।

সাঈদ ইসলাম
আমার কাজের শুরুটা হয়েছিল তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী হিসেবে। ২০০০ সাল থেকেই আমি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করি। আমি আগে কানাডায় ছিলাম। পরে দেশে চলে আসি এবং ২০০৯ সাল থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ি। আমি সিস্টেম ডিজাইন, সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার ইত্যাদি কাজ মূলত করি। আমার একটা বিষয় খুব মনে হয়েছিল যে সবাই বিদেশে যায় আয় করার জন্য, আর আমি বিদেশ থেকে দেশে এসেছি আয়ের জন্য। তবে আমি সফল হয়েছি ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে। দেখা গেছে, আমি কানাডায় যে আয় করতাম, তার চেয়ে বেশি আয় করি দেশে বসেই। দেশে আসার পর আমার পরিচিত এক ভাইয়ের কাছ থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিষয়ে জানি এবং চেষ্টা করতে থাকি। আর এভাবেই আমার ফ্রিল্যান্সিংয়ের শুরুটা। আউটসোর্সিং মার্কেট প্লেস আর নির্দিষ্ট ক্লায়েন্টদের কাজ করে থাকি। তবে বিষয়টা খুব সহজ নয়। যাঁরাই আসতে চান, ফ্রিল্যান্সিংয়ে তাঁদের অবশ্যই কাজ জেনে আসা উচিত।

খালেদ মো. শাহরিয়ার
গুগলের নিয়মিত ব্যবহারকারী হিসেবে প্রতিনিয়তই নানা ধরনের খোঁজখবর পেতাম ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিষয়ে। এর পাশাপাশি গুগলের বেশ কিছু ওয়েব সেমিনারেও অংশ নিয়েছিলাম। তার পর থেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত। প্রযুক্তি পর্যালোচনা, অনলাইন সাংবাদিকতা ইত্যাদির কাজ করছি। ২০০৮ সালে পূর্ণাঙ্গভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ে জড়িয়ে পড়ি। অনলাইন সংবাদমাধ্যম তৈরি করে সেটি নিয়মিত হালানাগাদের কাজ দিয়ে শুরু করি। প্রথম যখন এ সাইট থেকে গুগলের অ্যাডসেন্স চেক পেয়েছিলাম, তখন খুবই ভালো লেগেছিল। বর্তমানে আমার ওয়েবসাইটের নিয়মিত ব্যবহারকারী অনেক বেশি।

খোরশেদ আলম
প্রধান নির্বাহী, দ্য আরএস সফটওয়্যার
পত্রিকায় পড়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতি আগ্রহী হই। পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগটিকে কাজে লাগাতেই তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময় থেকেই আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে কাজ শুরু করি। ২০০২ সাল থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করি। গড়ে তুলি দ্য আরএস সফটওয়্যার। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা ই-কমার্স সাইট তৈরির কাজ করি। যখন শুরু করেছিলাম, তখন ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ অনেক কম ছিল। তা ছাড়া আমাদের শুরুতে অফিস ছিল সিলেটে। বর্তমানে আমরা ঢাকায় কাজ করছি। প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পেছনে একটি বিষয় ছিল, আমরা যারা একসঙ্গে পড়াশোনা করেছি, তাদের নিয়ে কাজ করা এবং কিছুটা হলেও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার ক্ষেত্রটা অনেক বড়, তবে কাজ জানতে হবে।

মো. তানভীর আল রাজী
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, তানভীর আইটি সলিউশনস
২০১০ সালে আমাদের যাত্রা শুরু হয়। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) কাজ দিয়েই আমাদের শুরু এবং এখনো সে কাজই করছি। কাজের পরিমাণ ভালো থাকায় আমাদের প্রতিষ্ঠান তানভীর আইটি সলিউশনের যাত্রা শুরু হয়। কুষ্টিয়ার এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সবাই কুষ্টিয়ার। শুরুর দিকে আমরা ইন্টারনেট নিয়ে সমস্যায় ছিলাম। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজার অনেক বড়। আগ্রহীরা কাজ শিখে শুরু করতে পারলে ভালো করা সম্ভব। কাজের পরিমাণ বাড়ার পর প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললে আরও ভালো হয়। এতে যেমন একটি নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়, তেমনি কর্মসংস্থানও বাড়ে।

মারজান আহমেদ
অনলাইনে কাজ করার আগ্রহ ছিল। সে কারণে ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং সম্পর্কে জানা ছিল। আগ্রহ থেকে ২০১০ সালে পুরোপুরি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করি। সাধারণত ডেটা এন্ট্রি, ইন্টারনেট বিপণনের কাজ করে থাকি। বর্তমান ইন্টারনেট বিপণনে আমার অবস্থান অনেক ওপরের দিকে।কাজ করার ক্ষেত্রে আমি সব সময়ই খুব সৎ ছিলাম। অর্থাৎ, সব ধরনের তথ্য সঠিক দিয়েছি। কাজটি ভালো লাগে, তাই করি। এমনিতে আমি নিজে ওয়েব ডিজাইনার।একটি বিষয় আমার খুব মনে হয়, এ ধরনের কাজে আমাদের মেয়েদের আরও বেশি এগিয়ে আসা দরকার।আমি স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করছি। স্বামীর কর্মস্থল যশোরে। তাই যশোর, ঢাকা মিলিয়ে আমার কাজ করতে হয়।

মো. এনামুল হক
ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) একটি বৃত্তি পেয়ে কাজ শিখেছিলাম। পরে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। এরপর ফ্রিল্যান্সিংয়ে যুক্ত হই। ২০০৯ সাল থেকে কাজ করছি।বর্তমানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ই-কমার্সের বিভিন্ন সাইট তৈরি করি।জুমলা-ভিত্তিক কাজই বেশিকরা হয়।একটি বিষয় খুব ভালো লেগেছে, তা হলো গ্রাহকদের আন্তরিকতা। কাজ দেখাতে পারলে তাদের কাছ থেকে দারুণ সহযোগিতা পাওয়া যায় এবং দেশের বাইরের এসব অচেনা গ্রাহক যে ব্যক্তি হিসেবে কত ভালো, তা টের পাওয়া যায়। কাজ করতে করতে মনে হয়, তাঁদের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। তাঁদের সঙ্গে কাজ করে করে নিজেরও অনেক উন্নতি হয়। আউটসোর্সিংয়ের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি আলাদা গ্রাহকদের কাজও করে থাকি।

আশিকুর রহমান
বিশ্ববিদ্যালয়-পর্যায়ে পড়াশোনার সময় অনেকেই চান না পরিবার থেকে বেশি টাকা নিতে। নিজে চেষ্টা করেন কিছু করার। এ রকম চিন্তা থেকেই এক বন্ধুর মাধ্যমে কাজ শুরু করি ২০১০ সালে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে আমি একটু ভিন্নধর্মী কাজ করি। আমি মূলত নিবন্ধনসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখির কাজ করি। আমার মনে হয়, এ ধরনের কাজ আগ্রহী ব্যক্তিরা একটু কষ্ট করলেই করতে পারবেন। রাজশাহীতে থেকেই আমি কাজ করে যাচ্ছি। ফ্রিল্যান্সিংয়ে এ ধরনের অনেক কাজ রয়েছে। আমি আমার অনেক বন্ধুকেও এ কাজের সঙ্গে যুক্ত করিয়েছি। এ কাজের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। কাজের অনেক চাপ থাকলে দেখা যায় কাজের জন্য দেশের বাইরেরও অনেককে দলে যুক্ত করার প্রয়োজন। আমার মনে হয়, উচ্চমাধ্যমিক শেষ করার পরই আগ্রহী কেউ কাজটি করতে পারবেন।

মো. রাউফুজ্জামান
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
এনকোড ল্যাবস ইনকর্পোরেটেড
ইন্টারনেটে কাজের প্রতি আমার একটা আগ্রহ ছিল শুরু থেকেই। আর সে আগ্রহ থেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে জড়িয়ে পড়ি। ২০০৯ সালে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ব্যবসায় উন্নয়ন, ইন্টারনেট বিপণন, ব্র্যান্ড ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কাজের মাধ্যমেও ফ্রিল্যান্সিং করছি। শুরুর দিকে নিজে নিজে কাজ শিখেছি এবং পরে কাজ বেড়ে যাওয়ায় এনকোড ল্যাবস ইনকর্পোরেটেড নামের প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছি। আউটসোর্সিং ওয়েবসাইটের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব কিছু গ্রাহক আছে, যাদের কাজ আমরা করি। এ ছাড়া আমাদের রয়েছে নিজস্ব পূর্ণও খণ্ডকালীন কর্মী। কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্যে আমরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করছি। এ ক্ষেত্রে ভালো করতে দরকার কাজটা বুঝে আসা আর শেখা।

মো. আনোয়ার হোসেন
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জব অ্যাড নেট
২০০৯ সাল থেকে ব্যক্তিগতভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শুরু করি। কাজের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ২০১১ সালে আমাদের প্রতিষ্ঠান জব অ্যাড নেটের যাত্রা শুরু হয়। রাজশাহীতেই আমাদের কার্যক্রম। মূলত আমরা ডেটা এন্ট্রি, সামাজিক যোগাযোগ, সামাজিক বিপণন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) কাজ করে থাকি। আমাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বেশির ভাগ কর্মীই শিক্ষার্থী।কাজের পাশাপাশি আমরা ফ্রিল্যান্সিংয়ের বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জিতেছি। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজের ফলে আমরা বড় আকারের কাজ করতে পারছি, যা ব্যক্তিগত পর্যায়ে সম্ভব নয়।
গ্রন্থনা: নুরুন্নবী চৌধুরী

No comments

Powered by Blogger.