বিশ্ব সম্মেলন উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী-বিপণনব্যবস্থায় মানুষের কল্যাণও দেখতে হবে

বিপণনব্যবস্থায় শুধু ব্যবসার স্বার্থ নয়, গ্রাহকের কল্যাণও নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে মানুষের অব্যাহত কল্যাণের দিকটি দেখতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রথম বিশ্ব বিপণন সম্মেলন উদ্বোধন করে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট (ডব্লিউএমএস) কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো এই বৈশ্বিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা বলেন, বিপণনব্যবস্থা রাজনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকদের ন্যায় ও সমতাভিত্তিক কল্যাণকর সমাজকাঠামো গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। বিশ্ব বিপণন সম্মেলন বর্তমান বিশ্বে বিরাজমান বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের বাস্তব উত্তর খুঁজে বের করায় সহায়ক হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী এখন খাদ্যের নিরাপত্তা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা মোকাবিলায় অংশীদারের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। এই সম্মেলনের সুপারিশগুলো মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকাকে এই শীর্ষ সম্মেলনের ঠিকানা হিসেবে গ্রহণ করার মধ্যে বাংলাদেশের সম্ভাবনা, উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৃঢ় সংকল্প, অন্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ইচ্ছা এবং বিশ্ব বিপণন ফোরামকে একটি কার্যকর বিশ্ব সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসেরই প্রতিফলন ঘটেছে।
ডব্লিউএমএসের চেয়ারম্যান ফারহাত আনোয়ারের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত ভাষণ দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল। এই পর্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘এ ধরনের একটি বৈশ্বিক সম্মেলন আয়োজন করতে পেরে বাংলাদেশ গর্বিত। ভবিষ্যতেও এই উদ্যোগের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের সমর্থন থাকবে।’
অন্যতম আমন্ত্রিত অতিথি জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (আঙ্কটাড) মহাসচিব সুপাচাই পানিচপাকদি বলেন, এই আয়োজন বাংলাদেশের মানুষের সক্ষমতার প্রতি এক বিরাট সমর্থন। চলমান অর্থনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে বিপণন ধারণা কীভাবে কাজ করতে পারে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা জরুরি হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্র ও বাজারের মধ্যে ভারসাম্য পুনঃস্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি। এরই অংশ হিসেবে উন্নয়নমুখী বিপণন প্রয়োজন।
আরেক আমন্ত্রিত অতিথি বিপণন গুরু ফিলিপ কটলার বলেন, বিপণনের সামাজিক দিকটিতে গুরুত্ব দিয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন শনিবার শেষ হবে। ফিলিপ কটলারের প্রতিষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড সামিট লিমিটেডের উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এই বিপণন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর বিভিন্ন অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের বিপণন বিশেষজ্ঞরা বক্তৃতা করবেন।

No comments

Powered by Blogger.