যা নিয়ে আছি-আমি প্রমথ চৌধুরীর ভক্ত

আহমদ কবির। জন্ম চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক। বাংলা সাহিত্যের একাধিক বিভাগে পদচারণ। লেখক ও গবেষক। সমালোচনামূলক রবীন্দ্র কাব্য উপমা ও প্রতীকসহ আরও বেশ কিছু বইয়ের লেখক।


যা পড়ছি ও লিখছি
এখন পড়ছি প্রমথ চৌধুরীর দুটি অগ্রন্থিত বই। অনেক দিন ধরেই তাঁর লেখা আমাকে মুগ্ধ করে। বলতে গেলে আমি প্রমথ চৌধুরীর ভক্ত। তাঁকে আমি আধুনিক বাংলা গদ্যের গুরু মানি। এ ছাড়া এখন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আনিসুজ্জামানসহ অনেকের বই পড়ছি। রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পও আমার প্রিয় পাঠ্য। পাশাপাশি ‘ঢাকায় রবীন্দ্রনাথ’ বিষয়টি নিয়ে লিখছি।

রবীন্দ্রসংগীতের তুলনা নেই
সংগীতের ক্ষেত্রে সব সময় রবীন্দ্রসংগীত আমার পছন্দের তালিকায়। তাঁর পূজা, প্রেম ও ঋতুবিষয়ক সংগীতগুলো আমাকে সবচেয়ে বেশি টানে। এ ছাড়া হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের আধুনিক গানগুলো শুনতে ভালো লাগে। নজরুলগীতি আমার বিশেষ পছন্দ। বিশেষ করে, তাঁর বিরহের গানগুলো আমার বেশি ভালো লাগে। আগে সিনেমা খুব দেখা হতো। উত্তম-সুচিত্রার অভিনীত ছবির পাশাপাশি সত্যজিৎ রায়ের ছবিও আমার ভালো লাগে।

অবসরে ক্রিকেট খেলা দেখি
শিক্ষকতা থেকে অবসর নিলেও এখন ভাষা ইনস্টিটিউটে বিদেশিদের বাংলা ভাষা শেখাই। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শনী দেখতে যাই। সমমনা মানুষের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া হয়। বই কিনতেও যাই সময় পেলে। ছোটবেলায় বিভিন্ন পত্রপত্রিকা সংগ্রহের অভ্যাস ছিল।
ক্রিকেট খেলা আমার অবসরের সবচেয়ে বড় সঙ্গী। সময় পেলেই খেলা দেখা হয়। আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সমর্থক ছিলাম। বাংলাদেশ দল আন্তর্জাতিক স্ট্যাটাস পাওয়ার পর দেশের ক্রিকেট দলের সমর্থক।

ভ্রমণপ্রিয় মানুষ
বিভিন্ন কাজে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়েছি। ভ্রমণের বিষয়ে আমার অনীহা নেই। বরিশাল ভ্রমণে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছি। দুই পাশে জলধারা, পাশ দিয়ে দেখা যায় গ্রাম। দৃশ্যগুলো চোখে ভাসে। একসময় ফরিদপুরে যেতাম অনেক। তখন নির্জন একটি শহর ছিল। এখন আর সেটি নেই। দেশের বাইরে ভারতে গিয়েছি অনেকবার। এ ছাড়া ইংল্যান্ড ও দুবাই গিয়েছি।
 সাক্ষাৎকার: মোছাব্বের হোসেন

No comments

Powered by Blogger.