দলীয় কার্যালয়ের সামনে বোমা বিস্ফোরণ-বিএনপির বিক্ষোভ পরিণত হলো সংক্ষিপ্ত সমাবেশে


মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনায় আসতে বাধা দেওয়া, দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশের পরিবর্তে বিএনপি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে। এতে দলের এক-দেড় শ নেতা-কর্মী অংশ নেন।
সমাবেশ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিপরীতে জোনাকি সিনেমা হলের কাছে র‌্যাবের গাড়ির সামনে তিনটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত বিএনপির কর্মীরা পালিয়ে যান এবং সড়কটি


ফাঁকা হয়ে যায়। কিছু সময়ের জন্য যান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে সমাবেশের আগে একজনকে আটক করে পুলিশ।
গতকাল সোমবার বিকেল তিনটায় দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ পালনের কর্মসূচি দেয় বিএনপি। সকাল থেকেই কার্যালয়ের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র‌্যাবের উপস্থিতির কারণে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ছিল খুব কম। ফটকে পুলিশের উপস্থিতি কার্যত কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। কেবল কিছু নেতা ও নারীকর্মী ভেতরে ঢোকার অনুমতি পেয়েছিলেন।
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বিকেল তিনটার দিকে কার্যালয়ের বাইরে এসে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনারের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি সমাবেশ করার অনুমতি চান। একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ৩০ মিনিটের জন্য সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এরপর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের প্রায় এক শ নেতা-কর্মী কার্যালয়ের ভেতর থেকে বাইরে নেমে আসেন। সেখানে ফুটপাতের ওপর নেতারা চেয়ারে বসেন। আর সামনের সড়কের একাংশে পুলিশ ব্যারিকেডের মধ্যে কর্মীরা বসে পড়েন। সমাবেশের জন্য কোনো মঞ্চ বা মাইক ছিল না। একটি হ্যান্ডমাইক জোগাড় করা হলেও তা ছিল নষ্ট।
সংক্ষিপ্ত ভাষণে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র আজ অবরুদ্ধ। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র রক্ষায় কাজ করার আহ্বান জানিয়ে কাল বুধবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে দুপুরে গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান প্রমুখ।
বিজয়নগরে বোমা বিস্ফোরণ: বিজয়নগরে হোটেল একাত্তরের সামনে বিকেল তিনটার দিকে দুটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

No comments

Powered by Blogger.