তাঁর ‘সাহায্যকারী’

স্ট্রেলিয়ায় বরাবরই সফল শচীন টেন্ডুলকার। এবারও ৯৯টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির মালিক হতে পারেন মাথাব্যথার কারণ। অস্ট্রেলিয়ানরা তাই নেমে পড়েছে ‘টেন্ডুলকার-ঠেকাও’ অভিযানে। মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রেগ চ্যাপেলকে। ভারতের সাবেক কোচ মাইকেল ক্লার্কের দলকে বাতলে দেবেন টেন্ডুলকার-ঠেকানোর মন্ত্র। টেন্ডুলকারও হাত-পা গুটিয়ে বসে নেই। তিনিও অস্ট্রেলিয়ায় গেছেন একজন ‘সাহায্যকারী’কে নিয়ে!


টেন্ডুলকারকে অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের আউট-সুইং বোলিং সামলানোর প্রস্তুতিতে সাহায্য করছেন এই সাহায্যকারী! অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রস্তুতি হিসেবে গত মাসেই টেন্ডুলকার তাঁর মুম্বাইয়ের বাড়িতে ডেকে পাঠান ডিভিজিআই রাঘবিন্দ্রাকে। কখনো প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট না খেললেও ২৭ বছর বয়সী রাঘবিন্দ্রা কাজ করেন ভারতের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডেরও সহকারী তিনি।
নেটে রাঘবিন্দ্রার বল ছোড়ার স্কিলটাকে কাজে লাগানো হচ্ছে। গত পরশু রাঘবিন্দ্রাকে নিয়ে টেন্ডুলকার ক্যানবেরার মানুকা ওভালে এক ঘণ্টা অনুশীলন করেছেন বলে জানিয়েছে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড। টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার তরুণ জেমস প্যাটিনসনের মতো পেসারদের আউট-সুইংয়ের মুখোমুখি হতে হবে। সে জন্য রাঘবিন্দ্রা টেন্ডুলকারকে প্রস্তুত করছেন আউট-সুইং বল ছুড়ে! টেন্ডুলকার ঝালাই করে নিচ্ছেন পায়ের আঙুলের ওপর ভর করে বাউন্সার সামলানোর দক্ষতাটাও।
শততম সেঞ্চুরির বিষয় আছে। আছে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জয়ের প্রত্যয়। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু আগেভাগেই অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া, ‘সাহায্যকারীর’ সাহায্যে আউট-সুইং সামলানোর দক্ষতা বাড়ানো—নিজের সম্ভাব্য শেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে সব আকাঙ্ক্ষাই যে পূরণ করতে টেন্ডুলকার এবার মরিয়া, এসব তো তা-ই বলে! এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.