চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের লাশ উদ্ধার

ন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের পাশের একটি পাহাড়ের পাদদেশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ছাত্রের নাম মো. কফিল উদ্দিন। তিনি কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন। তাঁর বাবা মোহাম্মদ রফিক এস আলম গ্রুপের কর্মকর্তা। ময়নাতদন্তের পর লাশ গতকাল সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ি আনোয়ারায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।


রাতেই তাঁর লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার কথা। পুলিশ জানায়, কফিলের গলার বাঁ দিকে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এ ছাড়া তাঁর ডান হাতের রগ কাটা ছিল।
কফিলের পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, গত রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে একটি ল্যাপটপ নিয়ে চট্টেশ্বরী রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে যান কফিল। সন্ধ্যার পর পরিবারের সদস্যরা তাঁর মুঠোফোনে দফায় দফায় যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে বাসায় ফিরে না আসায় পরিবারের সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আমেনা বেগম বলেন, ‘কফিলের হত্যাকাণ্ডের মোটিভ সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের ফলাফল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
কফিলের বাবা মোহাম্মদ রফিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের তো কোনো শত্রু নেই। আমি কাকে দায়ী করব?’
লাশের সুরতহাল করেন কোতোয়ালি থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আক্তার হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কফিলের ব্লেজারের পকেটে বন্ধ অবস্থায় থাকা একটি মুঠোফোন পাওয়া গেছে। সেটি চালু করে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে কফিলের ভাই ও বাবা এসে লাশ শনাক্ত করেন।
জসিমউদ্দিন নামের কফিলের এক সহপাঠী বলেন, দ্বিতীয় সেমিস্টারে ওঠার পর কফিল নিয়মিত ক্লাস করেননি। তাঁকে ক্যাম্পাসে নিয়মিত দেখা যেত না। সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলাও কমিয়ে দিয়েছিলেন।
এদিকে কফিলের সহপাঠীরা নগরের প্রবর্ত্তক মোড়ে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও দোষী ব্যক্তিদের বিচার চেয়ে গতকাল মানববন্ধন করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.