সংবাদ সম্মেলনে তোফায়েল আহমেদ-খালেদা জিয়া দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করছেন

ওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, নতুন স্বপ্নে বিভোর হয়ে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন। তিনি যে স্বপ্নে বিভোর হয়েছেন তা রাজনীতিবিদদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। তোফায়েল আহমেদ সোমবার ধানমণ্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা 'আওয়ামী ল
মুক্তিযুদ্ধ করেনি' মন্তব্য করে মুজিবনগর সরকারকে অস্বীকার করেছেন। পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছেন। বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার নামে খোলাখুলিভাবেই যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন হানিফ। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে একযোগে বোমা হামলার সঙ্গে জড়িতরাই গত রোববার বিভিন্ন স্থানে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড, মানুষ হত্যা ও বাসে আগুন দিয়েছে বলে দাবি করেন তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন,
অশুভ শক্তি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ করার পাঁয়তারা করছে। রোববারের ঘটনায় তারা সেটা জানিয়ে দিয়েছে। ভবিষ্যতেও এমন অপকর্ম করার চেষ্টা করবে তারা। তাই স্বাধীনতার সপক্ষের সব শক্তিকে সংগঠিত হতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ালে কেউ তা নস্যাৎ করতে পারবে না। তিনি বলেন, খালেদার সবচেয়ে বড় মনোবেদনা দেশে জঙ্গি তৎপরতা শেখ হাসিনা কেন শেষ করেছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে খালেদা জিয়ার বক্তৃতার সমালোচনা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, তিনি (খালেদা) মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশেষ অবস্থানে ছিলেন। তাই কে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, কে করেননি সেটা তার উপলব্ধিতে নেই। কারা মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের ভূমিকা কী সেটা তার জানার কথা নয়। তার স্বামী জেনারেল জিয়াও মুক্তিযুদ্ধের সময় একদিনের জন্য বাংলার মাটিতে অবস্থান করেননি। ওই সময় তিনি একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মাত্র।
তোফায়েল বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা কখনও খালেদা জিয়ার কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেওয়ার প্রত্যাশা করে না। ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কী করেছেন?
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, গত রোববারের ঘটনায় দুই ব্যক্তির নির্মম হত্যাকা ের দায়ভারও আওয়ামী লীগের ওপর চাপানোর অপপ্রয়াস চালিয়েছেন খালেদা জিয়া। তার মতো দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছে এ ধরনের মিথ্যাচার জাতি আশা করে না।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া তার বক্তৃতায় ইতিহাস বিকৃতি, মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার, জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে অতীত মিথ্যাচারের পুনরাবৃত্তি করেছেন। তার স্বামী অবৈধ ক্ষমতা দখলদার স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানও জীবদ্দশায় এ দাবি করেননি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, প্রচার সম্পাদক নূহ-উল-আলম লেনিন, ত্রাণ সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য সুজিত রায় নন্দী।

No comments

Powered by Blogger.