বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর-পূর্ণাঙ্গতা পায়নি চার বছরেও by নেয়ামত উল্যাহ

ভোলা সদর উপজেলায় প্রতিষ্ঠার প্রায় চার বছরেও পূর্ণাঙ্গতা পায়নি বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। পাঠাগারে কিছু বই থাকলেও স্মৃতি জাদুঘরে বীরশ্রেষ্ঠর তেমন কোনো স্মৃতিচিহ্ন না থাকায় তা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে না। ২০০৮ সালের শুরুর দিকে ভোলা শহর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে আলীনগর ইউনিয়নের মোস্তফা নগরে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর গড়ে তোলা হয়।


সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরের সামনের মাঠে বড় বড় গর্ত। এলাকাবাসী জানান, ঈদুল আজহার সময় এই মাঠে নিয়মিত গরুর হাট বসে। ফলে জাদুঘরের পরিবেশ নষ্ট হয়। বর্ষার সময় কাদায় মাঠ ভরে যায়। এ ছাড়া আশপাশের পরিবেশ প্রায় সারা বছরই অপরিচ্ছন্ন থাকে। ফলে দর্শনার্থীরা খুব একটা আসতে চায় না।
পাঠাগারের সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করছেন বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ভাতিজা মো. সেলিম। তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে আছেন বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ভাগনে আবুল কালাম জমাদ্দার। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জাদুঘরে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে সাতজন দর্শনার্থী আসে। তবে জাদুঘরের পাশের কলেজ, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী বই ও পত্রিকা পড়তে আসে।
গ্রন্থাগারিক ও তত্ত্বাবধায়ক তাঁদের আর্থিক দুরবস্থার কথা তুলে ধরে চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানান।
ভোলা আবৃত্তি সংসদের সহসভাপতি মশিউর রহমান বলেন, জাদুঘরের পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয় ব্যক্তিদের সচেতন হতে হবে। তবে চার বছরেও এটি পূর্ণাঙ্গতা পায়নি। জাদুঘরে দর্শনার্থীদের দেখার মতো বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের তেমন কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই। তাই বীরশ্রেষ্ঠর স্মৃতিচিহ্নসহ মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় রেখে জাদুঘরকে সমৃদ্ধ করা দরকার।
ভোলা নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব এস এম বাহাউদ্দিন বলেন, জাদুঘর উদ্বোধনের সময় বলা হয়েছিল, প্রতিবছর এখানে মেলা হবে। কিন্তু এখন তা বন্ধ রয়েছে। জাদুঘরটি জনপ্রিয় করতে এখানে প্রতিবছর বীরশ্রেষ্ঠ মেলা আয়োজন করা উচিত।
ভোলা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ নেছার আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সব জাদুঘরের কর্মীরাই অস্থায়ীভাবে চাকরি করছেন। আর গ্রন্থাগারে পত্রিকা বাড়ানো এবং জাদুঘরে নিদর্শন বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

No comments

Powered by Blogger.