বিজয়ের ৪০ বছর

৬ ডিসেম্বর, বিজয়ের ৪০ বছর। আরও একটি মাইলফলক পার হওয়ার দিন। সারাদেশে সুহৃদ সমাবেশ নানা আয়োজনে উদযাপন করে দিনটি। স্মরণ করে বীর যোদ্ধাদের_ যাদের আত্মত্যাগ আর সাহসিকতায় জন্ম বাংলা নামের দেশটির। বিভিন্ন স্থান থেকে সুহৃদদের পাঠানো সংবাদ ও ছবিতে এ আয়োজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়আহমেদ সজল সকালের কুয়াশা আজ একটু বেশিই মনে হচ্ছে। রাত করে ঘুমানোর কারণে চোখের পাতা আর
আলাদা হতে চায় না। তবুও উঠতে হবে এখনই। এ শিশিরভেজা ভোরে স্মরণ করতেই হবে জাতির সূর্যসন্তানদের। যাদের ত্যাগ আর অসীম সাহসের অংশীদার আমরাও। বিশ্বের দ্বারে দ্বারে জানান দিতে হবে আমাদের বয়স এখন চলি্লশ। রাতেই ফুল সংগ্রহ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর আয়োজন সম্পন্ন। মাঝরাত পর্যন্ত কাজ করে ক্লান্ত সুহৃদরা। ঘুম তাই এখনও তাড়া করে ফিরছে সবাইকে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে সবার পরিপাটি পদচারণা। একে একে নাজমুস সাকিব রাফসান, জনি আলম, মাহতাব, কামরান আরিফ, নাজমুজ্জামান নোমান, রবিন, সৈকতসহ এসেছে সবাই। দ্বিতীয় বর্ষের সুহৃদ সুদীপ্ত আর মাহী এসেছে একটু আগেই। সঙ্গে রাহাতও। এ ক্ষেত্রে পলাশ মাহমুদ আর সাঈদ জুনায়েদ সবার চেয়ে পিছিয়ে। কারণ একটাই, তারা সিনিয়র। কৈফিয়ত চাওয়ার মতো কেউ নেই। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সুহৃদের সমন্বয়ক ইমদাদ হক। শুধু তার জন্যই ২০ মিনিট দেরি করতে হলো বাস ছাড়তে। এসে স্যরি বলা দূরে থাক, উল্টো ফাঁপর! তবে বেরসিক শৈত্যপ্রবাহের কারণে সঙ্গ ত্যাগ করতে হয়েছে আমাদের আপু সুহৃদদের।
মিরপুর
তারেক মাহমুদ সজীব
স্বাধীনতার গৌরবময় চলি্লশ বছর পূর্তিতে মিরপুর সুহৃদ সমাবেশ মিরপুরের ওয়াক-আপ উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে 'বিজয় দিবসের তাৎপর্য' শীর্ষক আলোচনা সভা এবং রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অর্গানাইজেশন ফর রিমুভিং বল্গাইন্ডনেসের [অরব] পক্ষ থেকে বই পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হেলাল উদ্দিন আহাম্মদ। অনুষ্ঠানে বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহজাহান সরকার, সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুল বাশারসহ শিক্ষকরা। হেলাল উদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের সেই বিভীষিকাময় দিনগুলোর কথা তুলে ধরেন। নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরেন মুক্তিযুদ্ধে তার সশস্ত্র অংশগ্রহণের কথা। তিনি নতুন প্রজন্মকে জানান কোনো পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে একজন বাবা-মা তার সন্তানকে যুদ্ধে পাঠান। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক হেলাল উদ্দিন আকন্দ 'বিজয় দিবস' নামে একটি স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মোঃ আবদুর রউফ, মোঃ জয়নাল আবেদীন, মোঃ বেল্লাল মিঞা, মোঃ বদিউজ্জামান, অর্গানাইজেশন ফর রিমুভিং বল্গাইন্ডনেসের [অরব] সহ-প্রোগ্রাম সমন্বয়ক শাহ মোঃ ইশতিয়াক হোসেন সুমন ও মিরপুর আনসার ক্যাম্পে সুহৃদ আকবর হোসেন চৌধুরী।
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলো_ প্রথম শ্রেণীর ইসরাত জাহান মিম, দ্বিতীয় শ্রেণীর তাসনিম জান্নাত, তৃতীয় শ্রেণীর নুশরাত জাহান মিতু, ষষ্ঠ শ্রেণীর শারমীন আক্তার শাপলা, ফাতেমা তুজ জহুরা, মাহফুজা আক্তার, সপ্তম শ্রেণীর খাদিজা সিদ্দিকা শাম্মী, খাদিজা আক্তার স্মৃতি ও সুরাইয়া শারমিন শ্রাবণী।
চট্টগ্রাম
এসএ খান সুমন, নূরশেদ আলম
বিজয় দিবসের প্রভাত থেকে চট্টগ্রাম সুহৃদ কর্মসূচি আরম্ভ করে। সকাল ৭টায় বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন কার্যক্রম শুরু করে চট্টগ্রামের ইছাপুর থেকে হাটহাজারী, ফতেয়াবাদ, রাহাত্তারপুল, অক্সিজেন, ২নং গেট, লালখান বাজারে গিয়ে শাখা সদস্যদের শুভেচ্ছা বার্তা ও স্মারক কার্ড তুলে দেয় চট্টগ্রাম সুহৃদের একটি বিশেষ টিম। এরপর ৯টায় সমবেত হয় নগরীর বিপ্লব উদ্যানে সেখানে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার পর বিপ্লব উদ্যানে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও জাতির স্বার্থে সুহৃদদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক বলেন, রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন দেশ পেয়েছি কিন্তু এখনও আমাদের জাতির সার্বিক মুক্তি অর্জিত হয়নি। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সুহৃদের সভাপতি অধ্যাপক শামসুদ্দিন শিশির, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মির্জা ইমতিয়াজ শাওনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহসভপতি মীর কাসিম সিদ্দিকী, জেআর সোহেল, যুগ্ম সম্পাদক আলী রশিদ। উপস্থিত ছিলেন চবির সমন্বয়কারী এসএ খান সুমন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক নূরশেদ আলম, অর্থ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক কেএম রোকন, দফতর ও জনসংযোগ সম্পাদক কাজী আসাদুজ্জামান, সদস্য ওয়াহিদুল আলম, শিমুল তালুকদার, কায়সার আহমেদ, কামরুল হাসান প্রমুখ। ওই আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সুহৃদদের পক্ষ থেকে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত ও মাছছো সমুদ্রসৈকত [সীতাকুণ্ড উপকূলে অবস্থিত] গিয়ে পর্যটকদের বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে।

ফরিদপুর
হাসানউজ্জামান
বিজয় দিবসের অঙ্গীকার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার স্লোগান সামনে নিয়ে ফরিদপুরের সমকাল সুহৃদ সমাবেশ পালন করল মহান বিজয়ের ৪০তম দিবস। বিজয় দিবসের সকালে ফরিদপুর সুহৃদ সভাপতি প্রফেসর আবুল কাশেমের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাসহ শহরের পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে ফরিদপুর সুহৃদ সদস্যরা। শোভাযাত্রায় সুহৃদ সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র মজুমদার পলাশ, অভিষেক কর্মকার, জাহিদুল ইসলাম মুরাদ, মিরান, কমলেশ, রূপা, রাজিব, দুর্লভ, মাসুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পটুয়াখালী
মোঃ মিজানুর রহমান
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পটুয়াখালীতে সমকাল সুহৃদ সমাবেশের উদ্যোগে দিনটি উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ওইদিন সকাল ৭টায় জেলা সুহৃদ সমাবেশের উদ্যোগে স্থানীয় শিশু হাসপাতাল চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে শহরের সমবায় ভবনে সংগঠনের সভাপতি রুমানা খান দোয়েলের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন সমকালের জেলা প্রতিনিধি মুফতি সালাহউদ্দিন, সুহৃদ সমাবেশের জেলা সাধারণ সম্পাদক [ভারপ্রাপ্ত] মোঃ জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি শাম্মী আক্তার তানি, সরকারি কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান সুমন, পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান, জেলা সুহৃদ সমাবেশের দফতর সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা কার্যকরী কমিটির সদস্য খাদিজা আক্তার, সুহৃদ ফারজানা আক্তার রূপা প্রমুখ।

ওসমানীনগর
সৈয়দ মাহবুব আলী/মালেক সৈকত
রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ মিনারে ওসমানীনগর সুহৃদ সমাবেশ ও জয় বাংলা সাংস্কৃতিক পরিষদের যৌথ উদ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং টেলিভিশন ও বেতার শিল্পীগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্পী ডিকে জয়ন্ত, পংকজ, বাবুল বৈদ্য, জনি, আবদাল, ফয়েজ উদ্দিন, কাজী তুহেল প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.