রিহ্যাব মেলা উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা-আবাসন খাত নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আরও কঠোর হতে হবে

বাসন খাতে স্থিতিশীলতা আনতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আরও কঠোর হতে হবে। একই সঙ্গে এ খাতের প্রকৃত ও সৎ উদ্যোক্তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হতে হবে। রাজউকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা অবৈধ প্রকল্পের অনুমোদন দিচ্ছেন। সে সুযোগে অনেক প্রতিষ্ঠান নদী ও খাল ভরাট করে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে প্লট বিক্রির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ঠকাচ্ছে। গতকাল সোমবার রিহ্যাব মেলা উপলক্ষে আয়োজিত 'পরিবেশবান্ধব পরিকল্পিত নগরায়ন


ও আবাসন' শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনাবিদ ও বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান। রিহ্যাব মেলার সমন্বয়ক রবিউল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রাজউকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী এমদাদুল হক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, রাজউকের সাবেক পরিচালক কেএম শামসুজ্জামান, স্থপতি
মোবাশ্বের হোসেন।
প্রকৌশলী এমদাদুল হক বলেন, রাজধানীতে অনেক নতুন নতুন ভবন গড়ে তোলা হয়েছে, যা নির্মাণে যথাযথ মান রক্ষা করা হয়নি। এ মুহূর্তে বেশি মাত্রায় ভূমিকম্প হলে তা টিকবে না। তিনি রিহ্যাবকে আরও শক্তিশালী করার মাধ্যমে এর সদস্যদের জবাবদিহিতা বাড়ানোর তাগিদ দেন। স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, রিহ্যাবকে শক্তিশালী করতে হলে এর অন্তর্ভুক্ত অনিয়মকারী সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রথম ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা আরও বাড়ানো দরকার। তিনি বলেন, 'রাজনীতিবিদরা
সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে কোনো কাজই সঠিকভাবে করা সম্ভব নয়।'
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, আবাসন ব্যবসায় বর্তমানে প্রায় ২৫ লাখ লোক জড়িত। এ ব্যবসার সঙ্গে প্রায় ২৬৯টি উপখাত সম্পৃক্ত। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ ব্যবসার সঙ্গে তিন কোটি লোক জড়িত রয়েছে। এতে আরও বলা হয়, নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব হলেও তা এখন বেসরকারি উদ্যোগে করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে রিহ্যাব নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাঁচ দিনব্যাপী
রিহ্যাব শীতকালীন মেলা ১৫ ডিসেম্বর শুরু হয়ে
গতকাল শেষ হয়।

No comments

Powered by Blogger.