বিদেশে উচ্চশিক্ষা

চ্চশিক্ষা লাভের আশায় অনেক শিক্ষার্থীই বিদেশে ছোটেন। অভিভাবকরাও চান তার সন্তান বিদেশি কোনো ডিগ্রি অর্জন করুক। অনেকে চান পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়তি কিছু অর্থ উপার্জন করতে। তাই বিদেশে পড়াশোনা করতে যাওয়ার প্রবণতা ব্যাপক। কেউ কেউ তার জমিজমা বিক্রি করে হলেও সন্তানকে পাঠাচ্ছেন বিদেশে পড়াশোনা করতে। এ চাহিদার ওপর ভিত্তি করে আমাদের দেশে গড়ে উঠেছে অনেক স্টুডেন্টস কাউন্সেলিং সেন্টার। এসব স্টুডেন্টস
কাউন্সেলিং সেন্টারের মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সেখানে পড়াশোনা করছে। আবার কিছু অসৎ স্টুডেন্ট কাউন্সেলিং সেন্টার শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের কাছ থেকে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নাম করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে যাচ্ছে। কোনোভাবেই ভুক্তভোগীরা এদের আর খুঁজে বের করতে পারছে না। তিতুমীর কলেজের ছাত্র আজিজুল হক শামীম ও রাজীব মাহমুদের ইচ্ছা ছিল, বিদেশি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ করবে। সে অনুযায়ী ২০০৯ সালে তাদের অনার্স পরীক্ষার পর হোটেল শেরাটনে একটি শিক্ষা মেলায়ও অংশ নেয়। একটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ারও সিদ্ধান্ত নেয় তারা। একটি স্টুডেন্ট কাউন্সেলিং সেন্টারের মাধ্যমে বিদেশি একজন কাউন্সিলরের সঙ্গেও কথা বলে। কিছু টাকাও তাদের অগ্রিম দেয়। অনার্সের ফলাফল প্রকাশিত হলে তারা খোঁজ নিয়ে আর সেই স্টুডেন্ট কাউন্সেলিং সেন্টারের অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি। শুধু শামীম আর রাজীব নয়, তাদের মতো অনেক শিক্ষার্থীই বিদেশে উচ্চশিক্ষার নামে প্রতারিত হচ্ছেন । বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার স্বপ্নে বিভোর ভিসা এজেন্সির ব্যাপারে ভালোভাবে খোঁজ না নিয়ে তাদের চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে প্রতারিত হন। এ প্রসঙ্গে ফরেন অ্যাডমিশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেনট-কনসালট্যান্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি লায়ন এম কে বাশার বলেন,' চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট হওয়া ঠিক নয়। কারণ ভিসার ব্যাপারে কেউ শতভাগ গ্যারান্টি দিতে পারে না। ভিসা প্রসেসিংয়ের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠিত কোনো ভিসা এজেন্সির সাহায্য নেওয়া উচিত '।
আহমেদ শুভ

No comments

Powered by Blogger.