নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন-প্রার্থীদের হলফনামার পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছে সুজন

নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলরদের হলফনামার পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে হানিফ খান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করে সুজন এসব তথ্য প্রকাশ করে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুজন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, সমন্বয়কারী দিলীপ মজুমদার, সদস্য মনির হায়দার প্রমুখ।


লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আটজন মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করে দুজন প্রত্যাহার করে নেন। ছয়জন মেয়র পদপ্রার্থীর মধ্যে তিনজনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে ও অন্য তিনজন স্নাতক ডিগ্রিধারী।
কাউন্সিলর পদে ২৭৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে এসএসসির নিচে ১৮৯ জন (৬৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ), এসএসসি পাস ৩৪ জন (১২ দশমিক ২৩ শতাংশ), এইচএসসি ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হচ্ছেন যথাক্রমে ২২ ও ৪ জন (৭ দশমিক ৯১ শতাংশ ও ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ)। ছয়জন প্রার্থী নিরক্ষর।
সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলরদের মধ্যে ৩৯ জন এসএসসি পাস (৬৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ), চারজন এসএসসির নিচে (৭ দশমিক ১৪ শতাংশ), দুজন স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী (৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ)।
মেয়র প্রার্থী শামীম ওসমান, আতিকুল ইসলাম ও শরীফ মোহাম্মদ পেশা হিসেবে ব্যবসা উল্লেখ করেছেন। ডা. সেলিনা হায়াত আইভী চিকিৎসা ও তৈমুর আলম খন্দকার আইন ব্যবসাকে পেশা হিসেবে উল্লেখ করেন। অপর প্রার্থী আতিকুর রহমান পেশার কথা উল্লেখ করেননি।
পেশাগত দিক দিয়ে কাউন্সিলরদের ২০১ জন (৭২ দশমিক ৩০ শতাংশ) ব্যবসায়ী। সংরক্ষিত নারী আসনের ৫৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪০ জনই (৭১ দশমিক ৪২ শতাংশ) গৃহিণী। অন্যরা বিভিন্ন পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত।
শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে বর্তমানে পাঁচটি ও অতীতে ১২টি মামলা ছিল। তৈমুরের বিরুদ্ধে বর্তমানে নয়টি ও অতীতে দুটি মামলা ছিল। আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বর্তমানে ছয়টি ও শরীফ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। আইভী ও আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শামীম ওসমানের সম্পদের পরিমাণ এক কোটি ৯৫ লাখ ৬২ হাজার ৬২৫ টাকা। তৈমুর আলমের সম্পদ এক কোটি ৬৯ লাখ ৫২ হাজার ১৫ টাকা। আইভীর সম্পদ ১৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। আতিকুর রহমানের সম্পদ ৪৬ লাখ ১০ হাজার ৩৩৬ টাকা। শরীফ মোহাম্মদের সম্পদের পরিমাণ ১০ লাখ টাকা। আতিকুল ইসলামের সম্পদের পরিমাণ নয় লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে সুজনের নেতারা বলেন, নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্রের হলফনামা আকারে সাত ধরনের তথ্য দিয়েছেন। নাগরিকদের প্রার্থী সম্পর্কে এসব তথ্য জানার অধিকার রয়েছে। এ কারণেই সুজন প্রার্থীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে গণমাধ্যমের সহযোগিতায় জনগণের কাছে তুলে ধরছে।

No comments

Powered by Blogger.