বৌদ্ধপল্লিতে হামলা- উত্তমের মা, মাসিকে আটক রাখা নিয়ে হাইকোর্টের রুল

কক্সবাজারের রামুর উত্তম বড়ুয়ার মা ও মাসিকে আটক রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং মুক্তির নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন।


স্বরাষ্ট্রসচিব, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ফ্যাক্সের মাধ্যমে বিষয়টি জানাতে সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
‘উত্তমের মা ও মাসি রিমান্ডে’ শিরোনামে গতকাল গণমাধ্যমে খবর বের হয়। একটি ইংরেজি দৈনিকেও প্রতিবেদন ছাপা হয়। এর ভিত্তিতে আদালত রুল জারি করেন।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, আদালত স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেছেন। এর আগে আদালতের নির্দেশে তাঁদের আটক রাখার বিষয়ে জেনে আদালতকে অবহিত করা হয়।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়, রামুর ঘটনায় পরদিন থানায় একটি মামলা হয়।
রামু উপজেলা সদরের হাইটুপি গ্রামের বাসিন্দা উত্তম বড়ুয়ার ফেসবুকে পবিত্র কোরআন অবমাননাকর ছবি ট্যাগ করার ঘটনা নিয়ে সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই মামলা হয়। রামুর পুলিশ উত্তম বড়ুয়াকে না পেয়ে তাঁর মা মাধু বড়ুয়া (৪১) ও মাসি আদি বড়ুয়াকে (২৬) থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু ১ অক্টোবর এ মামলায় মাধু বড়ুয়া ও মাসি আদি বড়ুয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত গ্রেপ্তারকৃতদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত সোমবার দুই বোনকে আবার আদালতে হাজির করে পুলিশ চার দিনের রিমান্ড চায়। আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

No comments

Powered by Blogger.