ঈদ-পূজায় নিরাপত্তা চাদরে রাজধানী

নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে রাজধানীর সব পূজা মণ্ডপ ও ২৭টি কোরবানির পশুর হাট ক্লোজ সার্কিট টিভি (সিসি টিভি) ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এছাড়া পশুর হাটে জাল টাকা প্রতিরোধে পুলিশ এবং ইজারারদের সমন্বয়ে জাল নোট চিহ্নিতকরণ যন্ত্রও থাকবে।

বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টায় দুর্গা পূজা ও ঈদুল আজহার নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার বেনজির আহমেদ। পূজা উপলক্ষ্যে ২৪ অক্টোবর ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ২৬ থেকে ২৮ অক্টোবর সরকারি ছুটি রয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, দুর্গা পূজা ও পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে পৃথক ভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে তিন ধাপে পাঁচদিন এবং ঈদুল আজহার আগে ও পরে কয়েক ধাপে মোট ১৭ দিন নিরাপত্তার চাদরে রাখা হবে।

তিনি বলেন, দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে রাজধানীর ২০৬টি পূজামণ্ডপে আয়োজক ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হবে। পূজা চলাকালীন মণ্ডপগুলোতে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ছাড়াও ডিএমপিসহ আটটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা একযোগে কাজ করবেন। এর জন্য ঢাকেশ্বরী মন্দিরে একটি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র খোলা হবে। পূজা শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় বিশৃঙ্খলা এড়াতে পর্যাপ্তসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবে।

পূজা উপলক্ষ্যে মণ্ডপ, বিপণিবিতান, বাসা-বাড়ি ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানের স্থানগুলোতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।

বেনজির আহমেদ পবিত্র ঈদুল আজহার নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে বলেন, ১৫ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ১৭ দিন তিন স্তরের নিরপত্তা ব্যবস্থা ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে। রাজধানীর ২৭টি কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তায় ইজাদার ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হবে। এসমস্ত হাটে জালনোটের অপব্যবহার রোধে মানি ডিটেক্টর যন্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। জাল নোটের ব্যবহার ঠেকাতে এরইমধ্যে অর্ধশত জালনোটের ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজধানীর কোরবানির হাটে চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটলে জড়িতদের তাৎক্ষণিক আইনের আওতায় আনা হবে।

এছাড়া নাগরিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মোট অংকের অর্থ লেনদেন ও পরিবহনের ক্ষেত্রে পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার অনুরোধ জানান কমিশনার। ঈদে ঘরমুখে মানুষদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে রাজধানীর প্রতিটি বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেল স্টেশনে নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হবে। সেখানে সাদা পোশাকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে।

এসময় অন্যদের মধ্যে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আব্দুল জলিল মণ্ডল, আব্দুল জলিল, যুগ্ম কমিশনার মিলি বিশ্বাস ও মারুফ হাসানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.