ভারতে বাঘের জন্য সংরক্ষিত বনাঞ্চলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

ভারতে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পর্যটক প্রবেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন আদালত। ফলে এখন থেকে বনাঞ্চলে বাঘের জন্য নির্ধারিত 'বিশেষ এলাকায়' (কোর জোন) প্রবেশে আর বাধা থাকল না। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট গত মঙ্গলবার এ রায় দেন।


গত সোমবার বাঘ রক্ষায় নতুন নীতিমালা ঘোষণা করে জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ (এনটিসিএ)। পরদিন বিচারপতি এ কে পাটনায়েক ও স্বতান্তর কুমারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সংরক্ষিত বনাঞ্চলে প্রবেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। তাঁরা জানান, এনটিসিএ যে নির্দেশিকা জারি করেছে, এখন থেকে সেটিই কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। তবে কেউ চাইলে আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন বলেও আদালত জানান। এনটিসিএর নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সংরক্ষিত বনের কোর জোনের ২০ শতাংশ পর্যন্ত পর্যটকদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। বনাঞ্চল পরিদর্শনের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে পর্যটকদের। কোর জোনের ভেতরের পর্যটন অবকাঠামো ধীরে ধীরে বন্ধ করে দিতে হবে। সব ধরনের বন্য প্রাণী থেকে পর্যটকদের অন্তত ২০ মিটার দূরে থাকতে হবে।
বিচারকরা বলেন, 'আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, কেন্দ্র সরকারের এ নির্দেশনাকে আমরা সংবিধানসম্মত বা বিরোধী কোনোটাই বলছি না।' পাশাপাশি তাঁরা রাজ্য সরকারকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাঘ সংরক্ষণ পরিকল্পনা তৈরি করে এনটিসিএর কাছে জমা দিতে বলেছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলের 'কোর জোন'-এর সীমানা প্রাচীর ঠিকমতো মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পরিবেশবাদীকর্মী অজয় দুবের জনস্বার্থে করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ জুলাই ভারত সরকার পরিচালিত ৪০টির বেশি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে আশঙ্কাজনক হারে বাঘের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর ভারতে বাঘের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৭০০টি। অথচ এক শতাব্দী আগে দেশটিতে বাঘের এ সংখ্যা ছিল এক লাখ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অবৈধভাবে বাঘ শিকার, বাঘে-বাঘে লড়াই এবং চারণভূমি মানুষের দখলে চলে যাওয়ার কারণেই দিন দিন বাঘের সংখ্যা কমছে। সূত্র : বিবিসি, ইন্ডিয়া টুডে, জিনিউজ।

No comments

Powered by Blogger.