দেশ বিদেশের মুসল্লিদের সমাগমে মুখরিত টঙ্গীর তুরাগ তীর- বিশ্ব এজতেমার প্রথম পর্ব শুরু আজ

ফিরোজ মান্না/মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, নূরুল ইসলাম ॥ আজ শুক্রবার বাদ ফজর বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে এবারের বিশ্ব এজতেমার প্রথম পর্ব। কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে বাস-ট্রাক, কার-পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে দলে দলে মুসল্লিরা টঙ্গীর বিশ্ব এজতেমাস্থলে আসছেন। তারা কাঁধে-পিঠে প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে এজতেমাস্থলে এসে নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নিচ্ছেন।
অবশ্য বুধবার থেকেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জামাতবদ্ধ মুসল্লিরা এসে ময়দানের খিত্তায় খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। টঙ্গীর এজতেমাস্থল এখন মুসল্লিদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে। হজের পর মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ হলো বিশ্ব এজতেমা। মানুষের সঙ্কুলান না হওয়ায় এবারও এজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ১৮ জানুয়ারি এবং একইভাবে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে ২০ জানুয়ারি।
তবলীগ জামাতের উদ্যোগে প্রতিবছর এ এজতেমা অনুষ্ঠিত হয় টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে। ১৬০ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এজতেমা মাঠে বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশ থেকেই তবলীগ জামাতের অনুসারী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেন। তারা এখানে তবলীগ জামাতের শীর্ষ আলেমদের বয়ান শুনেন এবং ইসলামের দাওয়াতি কাজ বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেয়ার জন্য জামাতবদ্ধ হন। এখান থেকেই দ্বীনের দাওয়াতি কাজে বেরিয়ে যান। ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের তবলীগ অনুসারীরা মিলিত হন এজতেমায়।
বৃহস্পতিবার দেখা গেছে, এজতেমা মাঠের পশ্চিম পাশের মাঝামাঝি এলাকায় তুরাগ তীরে নামাজ পড়ার মিনার ও বয়ান মঞ্চ এবং পশ্চিম-উত্তর কোণায় দোয়া মঞ্চ, মাঠে তাশকিলের কামড়া, মোকাব্বির মঞ্চ, জুড়নেওয়ালে জামাত কক্ষ নির্মাণসহ বিশেষ ছাতামাইক স্থাপনের কাজ শেষ হয়ে গেছে। গোসলের হাউজ ও টয়লেট স্থাপন ও সংস্কারের কাজও শেষ হয়ে গেছে।
বিদেশী মুসল্লিদের জন্য মাঠের পশ্চিম-উত্তর কোণে গড়ে তোলা হয়েছে বিদেশী মেহমানদের (মুসল্লি) আবাসন ব্যবস্থা। সেখানে বিদ্যুত, টেলিফোন, গ্যাস সংযোগসহ রয়েছে আধুনিক সুবিধাদি। বিদেশী নিবাসের রন্ধনশালায় রয়েছে তাদের আপ্যায়নের নানা আয়োজন। বিদেশী মেহমান খানায় জিম্মাদার জুলহাস উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার থেকে বিদেশী মেহমান আসতে শুরু করেছেন। আখেরি মোনাজাতের দিন পর্যন্ত তাদের এ আগমন অব্যাহত থাকবে। এখানে ইংলিশ, আরব, অনারবদের জন্য আলাদা আলাদা তাঁবু ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিন তাদের পছন্দমাফিক খাবারও সরবরাহ করা হচ্ছে। সকালের নাস্তায় স্যুপ, হালুয়া, ডিম, রুটি, মধু, খেজুর, জয়তুনের তেল, ডিমের তৈরি বিশেষ খাবার ‘শুকশুকি’ প্রভৃতি দুপুর ও রাতে পোলাও মাংস, বিরিয়ানি, সাদা ভাত, মাছ, রুটিসহ বিভিন্ন খাবার রান্না ও সরবরাহ করা হয়। সেখানে নানা ধরনের খাবার রান্নার জন্য ২ শতাধিক বাবুর্চি ছাড়াও শুধু তুন্দুর রুটি বানানোর জন্য কাকরাইল মাদ্রাসার দেড় শর মতো শিক্ষার্থীও যোগ দিয়েছেন। তিনি আরও জানান, পাকিস্তানীরা আটার রুটি-মাংস, বিরিয়ানি, পোলাও-মাংস, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মুসল্লিরা রুটি, মাংস ছাড়াও সাদা ভাত-মাছ খেতে পছন্দ করেন।
বিশ্ব এজতেমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেছেন, বিশ্ব এজতেমা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসল্লিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাই। শান্তি ও কল্যাণের জন্য ইসলাম ধর্মের আদর্শ সমগ্র মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক। যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে বিশ্ব এজতেমার আয়োজনে বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, মুসলিম উম্মার অন্যতম বৃহৎ সমাবেশ বিশ্ব এজতেমা উপলক্ষে আমি দেশবাসী এবং বিশ্বের সব মুসলমানকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। রাজধানীর ঢাকার অদূরে টঙ্গীর তুরাগ তীরে এই বিশ্ব এজতেমা ইসলামের মর্মবাণী প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। এজতেমায় আগত বিদেশী মেহমানদের মাধ্যমে আবহমানকাল ধরে আমাদের লালিত অসাম্প্রদায়িক চেতনা, অকৃত্রিম সরলতা ও অতিথিপরায়ণতা এবং সহিষ্ণুতার আলোকবার্তা বিশ্বের দরবারে পৌঁছে যাবে।
বিশ্ব এজতেমা উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেন, বিশ্ব এজতেমা উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ মুসলিম বিশ্বের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি। তাদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।
বিদেশী মুসল্লিদের জন্য এজতেমার মূল ছয় দিনের প্রতিদিন এখানে প্রায় ৪ টন গরু, ৫ টনের মতো মুরগী ও ১ টনের মতো খাসির মাংস, প্রায় ৫ টন মাছ, প্রায় ৪ টন সবজির প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া প্রতিদিন তুন্দুর রুটি লাগে ২০ হাজারের মতো। এজতেমার মাঠের প্রস্তুতির কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা তবলীগের শীর্ষ মুরুব্বী গিয়াস উদ্দিন জানান, সব কাজ করা হয় মোশাআরার (পরামর্শ) মাধ্যমে। এ বছর বাইরের প্রায় ৩০-৪০টি দেশ থেকে ৩০ হাজারেরও বেশি মুসল্লি এজতেমায় যোগ দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এজতেমায় ৪০ খিত্তায় ৩২ জেলার মুসল্লিদের জন্য ময়দানে জেলাওয়ারি মুসুল্লিদের স্থান (খিত্তা) নির্দিষ্ট করা হয়েছে। প্রথম পর্বের জন্য পুরো ময়দানকে ৪০টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। প্রথম দফায় ৩২ জেলার মুসুল্লিরা ওই ৪০টি খিত্তায় জেলাওয়ারি অবস্থান নেবেন। এসবের মধ্যে ১-২নং খিত্তায়-গাজীপুর, ৩-১২নং খিত্তায়-ঢাকা জেলা, ১৩নং খিত্তায়-সিরাজগঞ্জ, ১৪নং খিত্তায়-নরসিংদী, ১৫নং খিত্তায়-ফরিদপুর, ১৬নং খিত্তায়-রাজবাড়ি, ১৭নং খিত্তায়-শরিয়তপুর, ১৮নং খিত্তায়-কিশোরগঞ্জ, ১৯নং খিত্তায়-রংপুর, ২০নং খিত্তায়-নাটোর, ২১নং খিত্তায়- শেরপুর, ২২নং খিত্তায়-রাজশাহী, ২৩নং খিত্তায়-গাইবান্ধা, ২৪নং খিত্তায়- জয়পুরহাট, ২৫নং খিত্তায়-লালমনিরহাট, ২৬নং খিত্তায়- হবিগঞ্জ, ২৭নং খিত্তায়-দিনাজপুর, ২৮নং খিত্তায়- সিলেট, ২৯নং খিত্তায়- চাঁদপুর, ৩০নং খিত্তায়- ফেনী, ৩১নং খিত্তায়- চট্টগ্রাম, ৩২নং খিত্তায়-বান্দরবান, খাড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি, ৩৩নং খিত্তায়-বাগেরহাট, ৩৪নং খিত্তায়-কুষ্টিয়া, ৩৫নং খিত্তায় নড়াইল, ৩৬নং খিত্তায়-চুয়াডাঙ্গা, ৩৭নং খিত্তায়- যশোর, ৩৮নং খিত্তায়- ভোলা, ৩৯নং খিত্তায়-বরগুনা এবং ৪০নং খিত্তায়-ঝালকাঠি জেলার মুসল্লিরা অবস্থান নেবেন। তিনি জানান, আগামী বুধবার মুসল্লিরা এসব খিত্তায় এসে অবস্থান নেবেন।
তুরাগ পারাপারে ৮টি ভাসমান সেতু স্থাপন করা হয়েছে। মুসল্লিদের তুরাগ নদী পারাপারের ভাসমান সেতুগুলো স্থাপন করা হয়েছে সেনাবাহিনীর ১৪স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে। গত মঙ্গলবার সেতুগুলো মুসল্লিদের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
এজতেমা স্থলে কোন প্রকার অপরাধ সংগঠিত হলে তার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে। গাজীপুর সদর উপজেলার সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ এটিএম তৌহিদুজ্জামান জানান, বুধবার থেকে এজতেমা স্থলে আশপাশের খাবারের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত পরিচালিত তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন হোটেল ও খাবারের দোকান মালিককে বিশুদ্ধ খাবার আইনে ১৪টি মামলা ও ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন। এজতেমা মাঠের আশপাশে আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন দুটি করে মোট ২৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে। বিটিসিএলের (টঙ্গী) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ কবিরুজ্জামান জানিয়েছেন এজতেমায় অংশ নেয়া মুসল্লিদের যোগাযোগের সুবিধার জন্য এজতেমা ময়দান এলাকায় প্রয়োজন সাপেক্ষে ৪০টির মতো টেলিফোন সংযোগ দেয়া হয়েছে। র‌্যাব- কন্ট্রোল রুম, পুলিশ কন্ট্রোল রুম, জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম, ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম, টঙ্গী পৌরসভার কন্ট্রোল রুম, এজতেমার আমিরের রুম, বিদেশী মেহমানদের রান্না ঘরে, সেনা সদসদ্যের কন্ট্রোল রুমে, স্বাস্থ্য ক্যাম্প, পানির পাম্প সেন্টার, বিদেশী তাঁবু ও গোডাউনে এসব টেলিফোন লাইন সংযোগ দেয়া হয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক ঠিক রাখতে বাড়তি টাওয়ার স্থাপন করা হযেছে। এলাকায় গ্রামীণফোন কোম্পানি ৫টি অস্থায়ী টাওয়ার স্থাপনসহ মোবাইল কোম্পানিগুলো টাওয়ার বাড়ানোর কাজ করে যাচ্ছে।
বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য গাজীপুরের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোস্তফা জানান, বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত ও সরবরাহের সকল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অজু-গোসলের হাউস ও টয়লেটসহ প্রয়োজনীয় স্থানে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়াও ১৩টি বহুতলীয় পাকা দালানে প্রায় ২৮৩৪টি টয়লেট রয়েছে। মুসল্লিদের অজু-গোসল ও পান করার জন্য প্রতিদিন ১২টি গভীর নলকূপ থেকে ৭৮ লাখ গ্যালন বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়াও টঙ্গী পৌরসভা ও ওয়াসার ব্যবস্থাপনায় প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হবে। গোটা এজতেমা এলাকায় বিদ্যুত ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে ডেসকো ব্যবস্থা নিয়েছে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল বাতেন জানান, এজতেমা মাঠের সার্বিক নিরাপত্তায় এবার পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত রয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাবের অর্ধশত সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা মনিটরিং করা হবে। এ ছাড়া এজতেমা এলাকায় নিরাপত্তার জন্য বাইনোকুলার, মেটাল ডিটেক্টর, কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। এজতেমা এলাকার বিভিন্ন স্থানে ৯টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় টঙ্গীর টেলিফোন শিল্পসংস্থার (টেশিস) মাঠে পুলিশের এক ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এখানে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ মঈনউদ্দিন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মাহফুজুর রহমান নুরুজ্জামান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল বাতেন পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে ব্রিফিং করেছেন।
র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ রাশেদুল আলম জানান, র‌্যাব সদস্যরা ৪টি সেক্টরে ভাগ হয়ে এজতেমা ময়দান ও আশপাশে নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকছে বেশ কিছু সিসিটিভি, ৯টি ওয়াচ টাওয়ার, নৌ-টহল, চেকপোস্ট ও বোম্ব স্কোয়াড। দু’পর্বের এজতেমার মূল ৬ দিন র‌্যাবের হেলিকপ্টার টহল দেবে। খিত্তায় খিত্তায় সাদা পোশাকে র‌্যাব সদস্যরা অবস্থান করবেন।
বৃহস্পতিবার সকালে এজতেমাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। এ সময় গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নুরুল ইসলাম, টঙ্গী পৌরসভার মেয়র এ্যাডভোকেট আজমত উল্যাহ খান, আমানত হোসেন খান তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তিনি ময়দানের সকল প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রেলপথ প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বৃহস্পতিবার বিকেলে এজতেমাস্থল এলাকায় হামদর্দসহ (ওয়াকফ্) কয়েকটি ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প উদ্বোধন করেছেন। তিতাস গ্যাসের টঙ্গীর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোঃ সেলিম জানান, বিদেশী মুসল্লিদের তাঁবুতে রান্নার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক গ্যাস বার্নার স্থাপন করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.