১ ফেব্রম্নয়ারি থেকে পর্যটন উসব

 এঙ্ক্লুসিভ টুরিস্ট জোন হিসেবে গড়ে তোলা হবে কঙ্বাজারকে। সহযোগিতা করবে মালয়েশিয়া সরকার। কুয়াকাটার সঙ্গে পর্যটকদের যোগাযোগের সুবিধার্থে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মাণ করা হবে একাধিক সেতু।
একই সঙ্গে কুয়াকাটাকে পৌরসভা ঘোষণা করা হবে। এ জন্য দু'টি মাস্টার পস্ন্যান পরিকল্পনার কাজ চূড়ানত্মের পথে। শুধু তা নয় পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে আগামী পহেলা ফেব্রম্নয়ারি থেকে ঢাকায় সুফিয়া কামাল গ্রন্থাগারে অনুষ্ঠিত হবে মাসব্যাপী পর্যটন উৎসব। রবিবার সোনারগাঁ হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শফিক আলম মেহেদী । সাউথ এশিয়ান গেমস-২০১০ উপলৰে মাসব্যাপী আয়োজিত পর্যটন উৎসব উপলৰে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কতর্ৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ হেমায়েত উদ্দিন তালুকদার।
পর্যটন সচিব বলেন, বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পর্যটন উৎসবের আয়োজন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে সুফিয়া কামাল গ্রন্থাগারে। ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পয়েলা ফেব্রম্নয়ারি থেকে অনুষ্ঠিতব্য উৎসব চলবে মাসের শেষ দিন পর্যনত্ম। থাকবে ২০টি স্টল। একই স্থানে তৈরি করা হবে সাস্কৃতিক মঞ্চ। এখানে তুলে ধরা হবে দেশের বিভিন্ন পর্যটন এলকার চিত্র। দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধানের নানান স্টাইলের পাশাপাশি তুলে ধরা হবে উপজাতিদের কালচার। পর্যটনের আকর্ষণ ভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হবে ওই সাস্কৃতিক মঞ্চে। ফাইভ স্টার হোটেলগুলোতে পরিবেশন করা হবে দেশীয় খাবার। গেমসে আগত বিদেশী অতিথিদের আকর্ষণের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী সোনারগাঁ হোটলে লিখিতভাবে তুলে ধরবেন পর্যটনের বিভিন্ন দিক। অতিথিদের জন্য থাকবে বিশেষ নগর পরিভ্রমণের ব্যবস্থা। এর ব্যবস্থা করবে টু্যর অপারেটরস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। কঙ্বাজার সৈকত নগরীতে চ্যানেল আই এবং পর্যটন করপোরেশনে যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হবে আদিবাসী মেলা। একই স্থানে অনষ্ঠিত হবে বালুভাস্কর্য উৎসব। অনুষ্ঠিত হবে বীচ ফুটবল টুর্নামেন্ট। এটি অনুষ্ঠিত হবে বাফুফের সহযোগিতায়।
উৎসবের এসব দিক তুলে ধরা শেষে সচিব উলেস্নখ করেন পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পরিকল্পনা ও পদৰেপের কথা। সচিব বলেন, টুরিস্ট বোর্ড গঠনের কাজ খুব শীঘ্রই সম্পন্ন হবে। এর পর পরই হচ্ছে পর্যটন নীতিমালা। এ নীতিমাল হওয়ার পর পর্যটন এলাকায় বিশেষ করে কঙ্বাজার আর কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিজের মনমত বিল্ডিং নির্মাণ করতে পারবে না। পর্যটন আইন হওয়ার পর কঙ্বাজর দেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন পণ্য হবে বলে উলেস্নখ করেন সচিব। পর্যটন শিল্পের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনত্মরিকতার কথা তুলে ধরে শফিক আলম মেহেদী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১১ সালকে পর্যটনবর্ষ হিসেবে পালনের নির্দেশ দেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে হোটেল মোটেল নামে কঙ্বাজারের সৌন্দর্য নষ্টের জন্য বিল্ডিং নির্মাণের যে প্রতিযোগিতা শুরম্ন হয় কঙ্বাজারের সৌন্দর্য রৰার্থে তা বর্তমান সরকার বাতিল করে বলে তিনি জানান। মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতায় কঙ্বাজার হবে এঙ্ক্লুসিভ টুরিস্ট জোন। শুধু মালয়েশিয়া সরকার নয় ওই দেশের বেসরকারী প্রতিষ্ঠানও কঙ্বাজারকে এঙ্ক্লুসিভ টুরিস্ট জোন হিসেবে গড়ে তোলার প্রসত্মাব দিয়েছে বলে সচিব জানান। আর কুয়াকাটার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করতে ওই স্থানে পৌরসভা ঘোষণা করা হবে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পথে পথে নির্মাণ করা হবে অসংখ্য সেতু।

No comments

Powered by Blogger.