জট খুলল শিৰক কর্মচারীদের টাইমস্কেলের

অবশেষে সরকারী স্কুলের সহকারী শিৰক-কর্মচারীদের টাইমস্কেল প্রাপ্তির জট খুলল। দীর্ঘ ৩ বছর পর শনিবার থেকে আবার শুরম্ন হলো টাইমস্কেল প্রদান প্রক্রিয়া। শনিবার প্রথম পর্যায়ে টাইমস্কেল পেলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিৰা অধিদফতরের (মাউশি) ঢাকা অঞ্চলের অধীন ৪৭৩ জন শিৰক এবং ২৬ জন কর্মচারী। টাইমস্কেল প্রদান সংক্রানত্ম কমিটির সভাপতি মাউশির পরিচালক অধ্যাপক জাকির হোসেন শিৰক-কর্মচারীদের আশ্বসত্ম করে বলেছেন, এখন থেকে পর্যায়ক্রমে সকল অঞ্চলের শিৰক-কর্মচারীরা তাদের প্রাপ্য টাইমস্কেল সুবিধা পাবেন।
জানা গেছে, শিৰক-কর্মচারীদের আকাঙ্ৰার এই বিষয়টি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চলার কথা থাকলেও তা চলেনি। শিৰা মন্ত্রণালয় এবং শিৰা অধিদফতরের সংশিস্নষ্ট কর্তাব্যক্তিদের অবহেলাসহ নানা অপকর্মের কারণে দীর্ঘ ৩ বছর বন্ধ ছিল পুরো প্রক্রিয়া। ফলে প্রাপ্য টাইমস্কেল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন সারাদেশের সরকারী মাধ্যমিক স্কুলের শিৰক-কর্মচারীরা। বিষয়টিকে বিশেষভাবে গুরম্নত্ব দিয়েই এবার শিৰামন্ত্রণালয় এবং শিৰা অধিদফতর দ্রম্নত কাজ করতে থাকে। ফলে দ্রম্নতই বঞ্চনার হাত থেকে মুক্ত হলে শিৰক-কর্মচারীরা। আগামী সপ্তাহ থেকে পর্যায়ক্রমে অধিদফতরের বাকি ৮টি অঞ্চলের শিৰক-কর্মচারীদের টাইমস্কেল প্রদান করা হবে। এই অঞ্চলগুলো হলো_ ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, কুমিলস্না, সিলেট এবং চট্টগ্রাম। প্রক্রিয়া শুরম্ন করতে পেরে খুশি মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমান উর রশিদ এবং নন গেজেটেড কর্মচারী টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড মঞ্জুরির লৰ্যে গঠিত অঞ্চলভিত্তিক বিভাগীয় নির্বাচন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জাকির হোসেন। অনাকাঙ্ৰিত এবং দীর্ঘ এই জটিলতার অবসান করার পর মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমান উর রশিদ জনকণ্ঠকে বলেন, সরকার শিৰক-কর্মচারীদের অধিকার বাসত্মবায়নে অনেক বেশি আনত্মরিক বলেই এই সুবিধা আমরা দ্রম্নত নিশ্চিত করতে পারলাম। সরকার শিৰার্থী ও শিৰক-কর্মচারী বান্ধব শিৰার পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। এই কাজে সকলেরই সহযোগিতা একানত্ম প্রয়োজন। পরিচালক জাকির হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, এই জট খুলতে পারা সকলের জন্যই একটা বড় পদৰেপ। এর ফলে শিৰক কর্মচারীরা তাদের একটা বড় সঙ্কটের কবল থেকে মুক্ত হলেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অধিদফতরের ঢাকা অঞ্চলের ৪৭৩ জন সহকারী শিৰক, ২৪ জন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী এবং ২জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে প্রথম পর্যায়ে আমরা টাইমস্কেল দিলাম। কয়েকজনের মামলাসহ বিভিন্ন সমস্যা থাকার কারণে দেয়া সম্ভব হয়নি। আর বাকি ৮টি অঞ্চলে দ্রম্নত আমি পর্যাক্রমে গিয়ে টাইমস্কেল সুবিধা দেব। এই প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরম্ন হবে।

মানসম্মত শিৰা
যেনতেন শিৰার পরিবর্তে মানসম্মত শিৰা নিশ্চিত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন শিৰামন্ত্রী নূরম্নল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেছেন, শিার মানই আসল কথা। সরকার তাই সকল শিা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিা নিশ্চিত করার ওপর বিশেষভাবে গুরম্নত্বারোপ করছে। তবে এেেত্র সরকারের পাশাপাশি শিক, শিার্থী, ও অভিভাবকসহ সংশিস্নষ্ট সকলকে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে।
শনিবার রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের কৃতী ছাত্রীদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিৰামন্ত্রী এসব কথা বলেন। কলেজের গবর্নিং বোডির সভাপতি সাবেক সচিব এ এইচ এম আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন গোলাম দসত্মগীর গাজী এম. পি., মাধ্যমিক ও উচ্চ শিা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমান উর রশিদ, কলেজের অধ্য কানিজ মাহমুদা আকতার প্রমুখ। শিার অধিকার শুধু কাগজে-কলমে আর বক্তৃতা-বিবৃতিতে থাকলেই চলবে না, মনত্মব্য করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০১১ সালের মধ্যে স্কুলে যাবার উপযোগী সকল শিশুকে স্কুলে ভর্তি করার উদ্যোগ নিয়েছে। এখন দেশজুড়ে চলছে শিশু শিা জরিপ। ২০১৪ সালের মধ্যে দেশকে শতভাগ নিররমুক্ত করা হবে। এসব কাজে সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি দেশের বেসরকারী সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিসহ সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক সত্মরের লিঙ্গবৈষম্য দূর হলেও এই অগ্রগতির ধারা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়িয়ে কর্মত্রে পর্যনত্ম বিসত্মৃত করতে হবে। শিৰামন্ত্রী বছরের প্রথমেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যনত্ম পাঠ্যবই পেঁৗছানোর সফলতার কথা উলে-খ করে বলেন, ঢাকাসহ কিছু স্থানে বই বিতরণে নানা ত্রম্নটি ল্য করা গেছে। এেেত্র দায়ী ব্যক্তিদের কঠোর শাসত্মি দেয়া হবে। তিনি যুগোপযোগী ও আধুনিক শিানীতি বাসত্মবায়নসহ সরকারের শিা সংস্কারের যুগানত্মকারী কর্মকা-সমূহে সর্বসত্মরের জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।

No comments

Powered by Blogger.