দুর্ঘটনায় ছাত্র মৃতু্যর জের- চট্টগ্রাম পলিটেকনিক এলাকা রণৰেত্র, ভাংচুর আগুন

চট্টগ্রাম অফিস সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রসহ ২ জনের নিহত হবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার প্রায় তিন ঘণ্টার জন্য রণৰেত্রে পরিণত হয় নগরীর বায়েজিদ থানা এলাকা।
বিৰুব্ধ ছাত্ররা সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়, ভাংচুর করে বেশকিছু যানবাহন। অগি্নসংযোগ করে কয়েকটি গাড়িতে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয় অনত্মত ২০ জন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে নগরীর বায়েজিদ থানার কুলগাঁও এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস ওভারটেক করার সময় একটি রিঙ্াকে বাঁচাতে গিয়ে সড়কের পাশে উল্টে যায়। এতে আহত হয় পথচারী ও বাসযাত্রীসহ প্রায় ১০ জন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র আতিকুল ইসলাম পাপ্পু ও স্থানীয় যুবক নুরম্নল আফসারকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পলিটেকনিক ছাত্র পাপ্পু ছিল কম্পিউটার বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিৰাথর্ী। এ খবর পলিটেকনিকে পেঁৗছার সঙ্গে সঙ্গে বিৰুব্ধ হয়ে ওঠে ছাত্ররা। তারা নগরীর ২ নম্বর গেট, ষোলশহর, টেঙ্টাইল গেট, রম্নবি গেট, জিইসি মোড়সহ বিভিন্ন গুরম্নত্বপূর্ণ স্পটে অবরোধ সৃষ্টি করে। শুরম্ন হয় গাড়ি ভাংচুর। উত্তেজিত ছাত্ররা কয়েকটি গাড়িতে অগি্নসংযোগ করে। ছুটে আসে পুলিশ। পুলিশ বাহিনী ছাত্রদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। ছাত্ররা পুলিশকে লৰ্য করে ইটপাটকেল নিৰেপ করে। পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ করে। এ সময় পুরো নাসিরাবাদ এলাকা পরিণত হয় রণৰেত্রে। বিৰুব্ধ ছাত্ররা বিভিন্ন ধরনের ১৫টি যানবাহন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে নিয়ে ভাংচুর করে এবং আটকে রাখে।
সকাল ১০টা থেকে বেলা প্রায় ১টা পর্যনত্ম বিরাজ করে এ অবস্থা। এ সময় যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। আতঙ্কগ্রসত্ম মানুষের মধ্যে পড়ে যায় হুড়োহুড়ি। বিশেষ করে স্কুলের শিশু-কিশোরদের নিয়ে বেকায়দায় পড়ে যান অভিভাবকরা। প্রায় তিন ঘণ্টা চলে এ অবস্থা। এ সময় আন্দোলনের নেতৃত্ব নিয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্র শিবিরের মধ্যেও সংঘর্ষের উপক্রম হয়। তবে শেষ পর্যনত্ম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রশাসন এবং পুলিশ ও র্যাবের হসত্মৰেপে পরিস্থিতি শানত্ম হয়।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় পলিটেকনিকের ১ জনসহ ২ জন নিহত হয়েছে। এরই জের ধরে ছাত্ররা ভাংচুর চালিয়েছে, সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ছাত্রদের আক্রমণের লৰ্যবস্তুতে পরিণত হয়। কিন্তু এরপরও পুলিশ অত্যনত্ম ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সেখানে অবস্থার প্রেৰিতে মৃদু লাঠিচার্জ হলেও পুলিশ কাউকে আটক করেনি। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যৰ শওকতুল ইসলাম জানান, একজন ছাত্র নিহত হবার ঘটনায় অন্য শিৰাথর্ীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রশাসনের পৰ থেকে তাদের শানত্ম করার চেষ্টা করা হয়েছে। এদিকে ছাত্রদের দাবি, দুর্ঘটনায় ৭/৮ জন আহত হলেও পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছে অনত্মত ৫০ ছাত্র। এদের মধ্যে গুরম্নতর অবস্থায় ৬ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত ছাত্র আতিকুল ইসলাম পাপ্পু ও নুরম্নল আফসারের পরিবারের পৰ থেকে দুটি জিডি করা হয়েছে। পুলিশ ঘাতক বাসটিকে থানা হেফাজতে নিয়েছে। খুলশী থানার এসআই নবাব আলী ও চান্দগাঁও থানার এসআই অলি উদ্দিন জানান, সংঘর্ষ ও অবরোধের কারণে প্রায় আড়াই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। দুপুর ১টার পর থেকে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

No comments

Powered by Blogger.