পরীক্ষার উত্তরপত্র যেমন হওয়া উচিত- গাইড লাইন

পরীক্ষা শব্দটা শুনলেই মনে নানা চিনত্মা এসে যায়। পরীক্ষা মানেই রাতদিন পড়ে সিলেবাস শেষ করা। এত কিছুর পরও অনেক পরীক্ষাথর্ীও মুখেই হতাশার বাণী শোনা যায়।
এরূপ আফসোস আর হতাশা থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে সুপ্রিয় পরীক্ষাথর্ীদের উদ্দেশ্যে আমার এই ক্ষুদ্র লেখনী। সে হওয়া উচিত শীর্ষক লেখাটির মাধ্যমে আমি এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদানের চেষ্টা করলাম আমার সুহদ শিক্ষাথর্ীদের উদ্দেশ্যে_

কভার পৃষ্ঠার তথ্য পূরণ : পরীক্ষা সংক্রানত্ম তথ্য পূরণ একজন পরীক্ষাথর্ীর প্রথম কাজ। রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড, কেন্দ্রের নাম, অতিরিক্ত খাতার নম্বর ইত্যাদি অত্যনত্ম যত্নসহকারে পূরণ করতে হবে। অতঃপর পূরণকৃত তথ্যগুলো নিভর্ুল কিনা তা আবার যাচাই করতে হবে। কোন প্রকার ভুলত্রম্নটি হলে অবশ্যই দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষককে অবহিত করতে হবে।

মার্জিন : প্রতিটি পৃৃষ্ঠার উপরে এবং বামদিকে এক ইঞ্চি স্পেস রেখে মার্জিন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পেন্সিল ব্যবহার করাই উত্তম। মার্জিন ব্যবহারে খাতার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় যা পরীক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকে।

পৃষ্ঠার নম্বর বসানো : পৃষ্ঠায় নম্বা বসানোর কাজটি উত্তর দেয়ার আগেই করতে হবে এবং অতিরিক্ত খাতা নিলে তাতেও নম্বর বসাতে হবে। এতে খাতা পিনআপ করতে এবং পরীক্ষকের খাতা দেখতে সুবিধা হয়।

রঙিন কালির ব্যবহার : রঙিন কালির ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। লাল কালির ব্যবহার করা যাবে না। হাল্কা কালির (যথা : নীল) ব্যবহার করা যেতে পারে।

ওভাররাইটিং : পরীক্ষার খাতায় অবশ্যই ওভাররাইটিং থেকে বিরত থাকতে হবে। কোন বাক্য বা শব্দ ভুল হলে তা একটানে কেটে সঠিক খাতাটি লিখতে হবে। কোন বাক্য বা শব্দ ভুল হলে তা একটানে কেটে সঠিক কথাটি লিখতে হবে।

লাইনের মাঝে ফাঁক : লাইনের মাঝে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফাঁক রাখতে হবে। তবে তা যেন অতিরিক্ত বা অপেক্ষাকৃত কম না হয়। এতে পরীক্ষক বিরক্ত বোধ করেন।
পয়েন্টের ক্রমিক নং ও আন্ডারলাইন; পয়েন্টভিত্তিক উত্তরগুলোতে পয়েন্টের ক্রমিক নং বসাবে এবং পয়েন্টগুলোর নিচে আন্ডারলাইন করতে ভুলবে না।

প্রশ্নের ক্রমিক নম্বর : সঠিকভাবে প্রশ্নের ক্রমিক নম্বর লিখবে এবং তা আন্ডারলাইন করবে। প্রশ্নের ক্রমিক নম্বর ভুল হলে পরীক্ষাথর্ী মান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সঠিক মান পেতে ব্যর্থ হয়।

অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা বর্জন : প্রশ্নের উত্তরগুলো প্রাসঙ্গিক, স্পষ্ট, সহজবোধ্য করার চেষ্টা করবে। অপ্রাসঙ্গিক/ অতিরিক্ত/অবানত্মর মনত্মব্য বর্জন করবে।

হাতের লেখা : শুরম্ন থেকে শেষ পর্যনত্ম হাতের লেখার ধরন একই রকম রাখবে। লেখার স্পষ্টতা পরীক্ষকের একানত্ম কাম্য। কাগজের অপচয় না করে প্রথম পৃষ্ঠার সুনির্দিষ্ট স্থান থেকে লেখা আরম্ভ করবে।

খাতায় খালি পৃষ্ঠা : কোন কোন পরীক্ষাথর্ী ভুলে এক পৃষ্ঠা বাদ দিয়ে অন্য পৃষ্ঠায় চলে যায়। এ ক্ষেত্রে করণীয় হলো খালি পৃষ্ঠায় ক্রস চিহ দেয়া অথবা পরিদর্শকের স্বাক্ষর নেয়া।
প্রশ্নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা : পরীক্ষার খাতার প্রশ্নোত্তর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। যেমন : ১-এর পর ২।

উপরোক্ত নিয়মগুলো ছাড়াও প্রশ্ন বুঝে উত্তর প্রদান করতে হবে। যেমন : প্রশ্নে যদি কে কি কেন? তাহলে প্রথমে কে'র উত্তর, দ্বিতীয় প্যারায় কি'র উত্তর এবং তৃতীয় প্যারায় কেন এর উত্তর। উত্তর সংশিস্নষ্ট চিত্রটি বঙ্ েঘেরাও করতে হবে। খাতায় বৈচিত্র্য এবং উত্তরে নতুনত্ব থাকতে হবে। তাহলেই পরীক্ষার উত্তরপত্রটি হবে আকর্ষণীয় যা বেশি নম্বর প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সহায়ক।

ছাহেরম্নননেসা রম্ননা
প্রভাষক, আইডিয়াল কলেজ
ধানম-ি

No comments

Powered by Blogger.