কম্পিউটার শিৰা- নিয়মিত চর্চা করতে হবে- প্রকাশ কুমার দাস- প্রভাষক, কম্পিউটার শিৰা- মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি গার্লস কলেজ।

তোমরা এখন পড়াশুনা নিয়ে খুবই ব্যসত্ম। ব্যসত্ম থাকবে এবং ভালভাবে পড়াশুনা করে পরীৰা দেবে এ আশা করি। আগামী ১ ফেব্রম্নয়ারি থেকে তোমাদের জীবনের সবচেয়ে প্রথম বড় পাবলিক পরীৰা এস,এস,সি দিতে যাচ্ছে। তাই কম্পিউটার শিৰা বিষয়ে তোমাদের কিছু পরামর্শ দিচ্ছি।
তোমরা কম্পিউটার শিৰা বিষয়ে অ+ পাবে_এ আশা করি। কাঙ্ৰিত অ+ পেতে হলে কম্পিউটার শিৰা বিষয়ের রচনামূলক নৈর্ব্যক্তিক ও ব্যবহারিক প্রতিটি অংশের সমান গুরম্নত্ব দিয়ে পড়তে হবে। কোন বিষয়ে হঠাৎ অ+ না পেলেও চতুর্থ বিষয়ে অ+ তোমাদের জিপিএ ৫.০০ পেতে সাহায্য করবে। এ বিষয়ে অ+ পেতে হলে রচনামূলক প্রশ্নোত্তর তথ্যবহুল হওয়া আবশ্যক। চিত্র সম্পর্কিত প্রশ্নের জন্য চিত্র এবং বর্ণনার জন্য আলাদা আলাদা নম্বর বণ্টন করা থাকে। কোন প্রশ্নে যদি বর্ণনা দাও, দেয়া থাকে তাহলে ঐ প্রশ্নোত্তরে বর্ণনা, উদাহরণ ও বৈশিষ্ট্য যদি থাকে দিলে ভাল নম্বর পাওয়া যায়। রচনামূলক প্রশ্নে ব্যবহারিক সংক্রানত্ম প্রশ্ন থাকলে ধারাবাহিকভাবে পয়েন্ট করে লিখলে ভাল নম্বর পাওয়া যায়।
কম্পিউটার শিৰা বিষয়ে মোট ১০০ নম্বর (রচনামূলক ৩৫, নৈর্ব্যক্তিক ৩৫ ও ব্যবহারিক ৩০)। প্রতি অংশে আলাদা আলাদা পাস করতে হবে। এজন্য প্রতিটি অংশের গুরম্নত্ব সমান দিতে হবে। রচনামূলক ১০টি প্রশ্ন থেকে যে ৭টি প্রশ্ন সবচেয়ে বেশি ভাল পারবে সেগুলোই উত্তর দেবে। তত্ত্বীয় দুই ঘন্টার পরীৰায় ৭টি প্রশ্নের প্রতিটির উত্তর ১৬ মিনিট করে লিখলেও অবশিষ্ট ৮ মিনিট রিভিশন দেয়ার জন্য সময় বাকি থাকবে।
তোমরা অবশ্যই জান যে, কম্পিউটার শিৰা বিষয়ের রচনামূলক অংশে প্রতিটি প্রশ্নে একাধিক অংশ (ক,খ) থাকে এবং নম্বর বণ্টন থাকে ৩ বা ২ করে। অর্থাৎ একটি পূর্ণাঙ্গ প্রশ্নের নম্বর ৫। এখন প্রশ্ন হলো ৩ বা ২ নম্বরের জন্য কেন এত বেশি লিখব? আসলে লেখার সময় তোমাদেরকে উক্ত প্রশ্ন সম্পর্কে যতটুকু চাওয়া হবে তা বিসত্মারিত লিখতে হবে। তা না হলে পূর্ণ নম্বর পাবে না। কোন প্রশ্ন বাদ দিয়ে আসবে না। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর যথাযথ ও নিভর্ুল লিখবে। তবে পরীৰায় প্রশ্ন নির্বাচন করাও একটি গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ গাণিতিক প্রশ্নোত্তরে অধিক নম্বর পাওয়া যায়। সাজেশনের গুরম্নত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো নোট করে বারবার লিখে প্রস্তুতি নেবে। এতে মনে রাখার ৰমতাও অনেকগুণ বেড়ে যাবে। পরীৰায় ভাল ফল পাওয়া সহজ হবে। কিছু কিছু প্রশ্নে চিত্র বাধ্যতামূলক, সেগুলোর চিত্র অব্যশই দিবে (যেমন- এ্যাবাকাস, কম্পিউটার সংগঠন, লজিক গেট, প্রতীক, বিভিন্ন ধরনের ডায়ালগ বঙ্, ওয়ার্কসিটি প্রভৃতি)।
পরীৰায় নৈর্ব্যক্তিকে মোট ৩৫টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ৩৫টি প্রশ্নের জন্য নম্বর ৩৫ এবং সময় ৩৫ মিনিট। ১০টি অধ্যায় থেকেই প্রশ্ন থাকবে। ১ম, ২য়, ৬ষ্ঠ, ৯ম ও ১০ম অধ্যায় থেকে ৩টি করে এবং ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৭ম ও ৮ম অধ্যায় থেকে ৪টি করে প্রশ্নে থাকবে। অনেক সময় নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে ২টি বা ৩টি উত্তরই সঠিক মনে হয়। এ ৰেত্রে যে উত্তরটি সবচেয়ে বেশি সঠিক মনে হবে সেইটির বৃত্ত পূরণ করবে। ২ বা ৩টি বৃত্ত পূরণ করা যাবে না। নৈবর্্যক্তিক প্রশ্নে সর্বোচ্চ নম্বরের জন্য পাঠ্য বইয়ের খুঁটিনাটি খুব ভাল করে পড়তে হবে। নৈর্ব্যক্তিকের জন্য পাঠ্য বইয়ের বিকল্প নেই। অধ্যায়ভিত্তিক সম্ভাব্য প্রশ্ন লিখে বার বার পড়লে অল্প সময়ে রিভিশন দেয়া সহজ হবে। এতে সময় ও শ্রম দুই-ই বাঁচবে এবং কাঙ্ৰিত ফল পাবে। ব্যবহারিক অংশে অপারেটিং সিস্টেম, ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডশীট, ডাটাবেজ, ভিজুয়্যাল বেসিক ও প্রজেক্ট এর জন্য প্রতিটিতে ৫ নম্বর করে মোট ৩০ নম্বর থাকে। এর জন্য সময় থাকে ২ ঘন্টা। কম্পিউটার ল্যাবে পরীৰকের নির্দেশমতো কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে অধিক সর্তকতার সাথে করে খাতায় লিখতে হবে। উত্তরের সাথে সমর্্পকযুক্ত চিত্র বা ডায়ালগ বঙ্ অঙ্ককন করে দেবে। ব্যবহারিক পরীৰার আরেকটি গুরম্নত্বপূর্ণ অংশ মৌখিক পরীৰা। মৌখিক পরীৰার সময় সরাসরি সঠিক উত্তরটি দেবে। না পারলে ভুল উত্তর না দিয়ে সরাসরি অন্য প্রশ্ন করার সুযোগ নেবে। অতিরিক্ত কিছু জানার প্রয়োজন মনে করলে আমাকে ০১৫৫২-৪১৪৬৮২ নম্বরে ফোন করলে জানা যাবে।
সব শেষে তোমাদের পরীৰা ভাল হোক এ আশা পুনঃব্যক্ত করে শেষ করছি।

No comments

Powered by Blogger.