এবার ইনসুলিন ব্যবহারের যন্ত্রণা শেষ হবে?

ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসায় ইনসুলিনের ব্যবহার হয়তো এবার শেষ হতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার যৌথ এক গবেষণায় সেই আভাস মিলেছে। সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, তাঁরা লাখ লাখ রোগীকে প্রতিদিন সুচ ফোটানোর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন।
অগ্ন্যাশয় থেকে উৎপাদিত ইনসুলিন নামের হরমোন মানবদেহের কোষের উপরিতলে যুক্ত হয়ে রক্ত থেকে শর্করা বা চিনি (গ্লুকোজ) প্রবাহের পথ সুগম করে। ওই গ্লুকোজ পরে শক্তি হিসেবে সঞ্চিত হয়। গবেষকেরা প্রথমবারের মতো ওই প্রক্রিয়ার পারমাণবিক নকশার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ শনাক্ত করেছেন। নেচার সাময়িকীর সর্বশেষ সংস্করণে ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে ইনসুলিন ও গ্রহীতা দেহকাষের উপরিতলের মধ্যে সম্পর্কের কার্যকারণ উন্মোচন করা হয়েছে। ইনসুলিন ঠিক কী প্রক্রিয়ায় দেহকোষের সঙ্গে যুক্ত হয়, তা এখন বিজ্ঞানীদের কাছে স্পষ্ট হয়েছে।
মেলবোর্নের ওয়াল্টার অ্যান্ড এলিজা হল মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী মাইক লরেন্স বলেন, ডায়াবেটিসের নতুন এবং আরও কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারের লক্ষ্যে তাঁরা ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চেষ্টা করছেন। তাঁরা এক্স-রের মতো শক্তিশালী রশ্মি ব্যবহারের মাধ্যমে কোষ ও ইনসুলিন অণুর পারস্পরিক ক্রিয়া সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেয়েছেন। ফলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও প্রয়োগের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। বর্তমান উদ্ভাবনের ফলে ক্যানসার ও আলঝেইমার রোগের চিকিৎসায়ও অগ্রগতি হবে। কারণ এই দুটি রোগে ইনসুলিনের ভূমিকা রয়েছে।
লরেন্স আরও বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নতুন ও দীর্ঘস্থায়ী মেয়াদে কার্যকর এবং সহজে প্রয়োগযোগ্য এমন ইনসুলিন আবিষ্কার করা প্রয়োজন, যা নিম্ন তাপমাত্রায় (রেফ্রিজারেশন) সংরক্ষণ অপরিহার্য হবে না। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.