মহাদেশের সেরা নেইমার

ব্রাজিল ফুটবলের এই সময়ের যুবরাজ পেলেন ‘রাজা’র সম্মান। দক্ষিণ আমেরিকার সম্মানজনক পুরস্কার ‘রে ডেল ফুতবল ডি আমেরিকা’ বা ‘কিং অব সাউথ আমেরিকান ফুটবল’ খেতাব জিতলেন নেইমার।
মাত্রই কদিন আগে ফিফা-ব্যালন ডি’অরে ব্রাজিলের এই বিস্ময়প্রতিভা হয়েছিলেন ১৩তম। ব্রাজিলের ঘরোয়া লিগে খেলেন বলে সারা বিশ্বের নজরটা সেভাবে কাড়তে পারেন না। তবে নেইমার যে দক্ষিণ আমেরিকার সেরা, সেটি আরও একবার নিশ্চিত করে দিল উরুগুয়ের ক্রীড়া দৈনিক এল পাইস-এর এই পুরস্কার।
ওই অঞ্চলের ৩০০ সাংবাদিকের ভোটে ২০১২ সালের সেরা হয়েছেন ২০ বছর বয়সী তারকা। পেয়েছেন ১৯৯ ভোট। যেখানে দ্বিতীয় হওয়া পাওলো গুয়েরেরো পেয়েছেন ৫০ ভোট। তৃতীয় হওয়া লুকাস মউরা ভোট পেয়েছেন ২১টি। ২০১১ সালেও এই পুরস্কার জিতেছিলেন নেইমার। সেবার পেয়েছিলেন ১৩০ ভোট। ২০১২ সালে ক্যাম্পিওনাতো পলিস্তা (সাও পাওলো রাজ্যের শীর্ষ লিগ) এবং কোপা লিবার্তোদোরেসের (দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের শীর্ষ ক্লাব টুর্নামেন্ট) সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন নেইমার।
দক্ষিণ আমেরিকা জয় তো হয়েছেই। ইউরোপে আসবেন কবে? পুরস্কার জেতার পর নেইমার বলেছেন, ‘প্রত্যেকে আমাকে এই প্রশ্নটাই করছেন। সান্তোসের সঙ্গে আমার ২০১৪ পর্যন্ত চুক্তি। আমি এখানে আমার বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সুখেই আছি।’ যদিও কাতালান একটি দৈনিকে এর পর পরই ছাপা হয়েছে, নেইমার নাকি খেলতে চান মেসির সঙ্গে এক দলে। অর্থাৎ ইউরোপে এলে বার্সেলোনাই তাঁর পছন্দের গন্তব্য। নেইমারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করা তাঁর বাবা নেইমার ডা সিলভাও জানিয়েছেন, সান্তোসের সঙ্গে চুক্তি পূর্ণ করার পরই ইউরোপ-যাত্রার কথা ভাববে তাঁর সন্তান।
ওদিকে সান্তোস সভাপতি পাওলো স্কিফ আবার পেলের উদাহরণ টেনে বলছেন, তাঁদের ইচ্ছা নেইমারকে রেখেই দেওয়ার। পেলে তাঁর ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটাই এই ক্লাবে খেলেছেন। তখন অবশ্য এমন টাকার ছড়াছড়ি ছিল না। স্কিফ আশাবাদী নেইমারকে ধরে রাখতে পারবেন, ‘গত ৩০ বছরে ব্রাজিলের আর কোনো ক্লাব সেরা খেলোয়াড়দের ধরে রাখতে পারেনি। আমরা নেইমারকে এখনো ধরে রেখেছি। বার্সেলোনা-চেলসিসহ আরও অনেক ক্লাবের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি।’
কিন্তু মেসির মতো তারকাখ্যাতি পেতে চাইলে নেইমারকে ইউরোপে আসতেই হবে। ইউরোপে না খেলে ব্যালন ডি’অর জেতাও এখন অসম্ভবের কাছাকাছি। যদিও ব্যালন ডি’অর প্রসঙ্গে নেইমারের বক্তব্য, ‘এই পুরস্কারের জন্য আমি মুখিয়ে নেই। আমার লক্ষ্য হলো সান্তোস ও ব্রাজিল দলকে সাহায্য করা। সেই কাজের ফসল হিসেবে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হওয়া।’ এএফপি, ওয়েবসাইট।

No comments

Powered by Blogger.