আদালতে খালেদা জিয়া

দুর্নীতির দুই মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে অংশ নিতে আদালতে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৮ মিনিটে তিনি আদালতে পৌঁছান। এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে খালেদা জিয়া আদালতের উদ্দেশে রওনা হন বলে জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান। বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে চলমান মামলা দুটি হচ্ছে- জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা। মামলা দুটির কার্যক্রম যথাক্রমে ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের বিশেষ আদালত-৩ ও সিনিয়র স্পেশাল জজ মো.কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে চলছে। ইতিপূর্বে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকবার তার আত্মপক্ষ সমর্থনের তারিখ পেছানো হয়েছে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদক।
এই মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরো একটি মামলা করে দুদক। এই মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। এই মামলায়ও ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

No comments

Powered by Blogger.