কাশ্মীরি যুবকদের ‘মন জয়ে মোদি ব্যর্থ’

কাশ্মীরের বিরাজমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অত্যন্ত পরিতাপ নিয়ে আমি লেখাটা লিখছি। আমার কোনো সন্দেহ নেই যে, যখন অবশিষ্ট ভারত কাশ্মীর ইস্যুতে মুখ ফিরিয়ে রয়েছে, তখন পরিস্থিতিকে খারাপ থেকে অধিকতর খারাপের দিকে যেতে দেয়া হয়েছে। কাশ্মীর উপত্যকায় অব্যাহত সহিংসতার প্রতি আমাদের উদাসীনতা এবং সেখানকার মানুষের জীবনহানি একটা বড় ধরনের উদ্বেগের ব্যাপার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন জম্মুর চেনানি-নাসরি টানেলটি উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন, আমি আশা করেছিলাম, কাশ্মীর উপত্যকার জন্য অধিক সুবিধাজনক সুড়ঙ্গপথ উদ্বোধনের পাশাপাশি সেখানকার জনগণের হৃদয়-মানসের জন্য একটি নতুন ও অধিক সুবিধাজনক পথ উন্মুক্ত করার চেষ্টা তিনি করবেন। তিনি তা করেননি।
বরং কাশ্মীরি তরুণদের পর্যটন ও সন্ত্রাসবাদের মধ্যে যে কোনো একটাকে বেছে নিতে বললেন। বিজেপির নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা এনডিটিভিতে লেখা নিবন্ধে এ সব মন্তব্য করেছেন। তিনি আরও লিখেছেন, তরুণদের প্রতি তার এই প্রস্তাব তাদের ভেতরে একটা ঠাণ্ডা সে াত বইয়ে দিয়েছে। আমার প্রত্যাশা ছিল, ওই উপলক্ষে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন গোষ্ঠীকে একটি সংলাপ প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে একটি মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের ঘোষণা তিনি দেবেন। জম্মু ও কাশ্মীরের জোট সরকার গঠনের আগে পিডিপি ও বিজেপির মধ্যকার সমজোতা স্মারকে এমনটাই উল্লেখ ছিল। ভুলে গেলে চলবে না যে, ওই সমঝোতা ছিল একটি রাজনৈতিক দলিল যেটা দুইটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে সম্পাদিত হয়েছিল। ক্ষমতাসীন বিজেপির সঙ্গে পিডিপির ওই সমঝোতা ভারত এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সরকারকে একটা বন্ধনে আবদ্ধ করে। সরকারি ওই সমঝোতা স্মারকের প্রথম বাক্যেই বলা আছে, এই জোটের লক্ষ্য হচ্ছে একটা জোট সরকার গঠন করা যা জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি নিশ্চিত করে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে।’

No comments

Powered by Blogger.