জাতির উদ্দেশে ভাষণ- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেইঃ প্রধানমন্ত্রী by শামীম খান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত যতো ষড়যন্ত্র করুক, যতো অপচেষ্টা করুক, যুদ্ধাপরাধী, যারা মা-বোনদের সম্ভ্রম হরণকারী, বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী, বাঙালির ঘরে ঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতনকারী তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই।
আমি দেশবাসী আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করি। দোয়া চাই।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দানকালে  তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে একযোগে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রচার করে।
ওয়ান ইলেভেনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় সেদিন যারা মাইনাস টু ফর্মুলা প্রবর্তন করতে চেয়েছিল তারা এখনও সক্রিয়। মাঝে মাঝেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাচ্ছে।
জনগণ যাকে খুশী তাকে ক্ষমতায় বসাবে
জনগণ যাকে খুশী তাকে নির্বাচিত করে ক্ষমতায় বসাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। যে দল জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষার আন্দোলন করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়, জীবন দেয়, তাদের হাতে জনগণের ভোটের অধিকার সব সময় নিশ্চিত থাকবে। ভবিষ্যতে জনগণের সাংবিধানিক অধিকার যেন কোন মহল কেড়ে নিতে না পারে সে বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।

আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চার বছরে নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় সংসদের ১৪টি উপ-নির্বাচনসহ সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের মোট ৫ হাজার ৫০৯টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। কোথাও কোনো অভিযোগ উঠেনি। বিভিন্ন নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীও পরাজিত হয়েছে। কিন্তু সরকার কোনো রকম হস্তক্ষেপ করেনি। জনগণের রায় মাথা পেতে নিয়েছি। অতীতে কোন সরকারের আমলেই এ ধরনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয় নাই।
সংঘাতের পথ পরিহার করুন
বিরোধীদলের প্রতি উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদলের প্রতি আমার আহ্বান, সংঘাতের পথ পরিহার করুন। যুদ্ধপরাধীদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করবেন না। তাহলে জাতি আপনাদের কখনই ক্ষমা করবে না। আসুন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার যে অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, সকলে মিলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তা বাস্তবে রূপ দেই।  জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলি।
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালে তারা কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠুভাবে করতে পারে নাই। তারা ঢাকার মিরপুর ও মাগুরার উপনির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও সন্ত্রাস করে। ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্র“য়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারচুপি করে এবং জাতির পিতার হত্যাকারী খুনী কর্নেল রশিদ ও মেজর হুদাকে সংসদ সদস্য করে আনে। সেই সংসদেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন পাশ করে। জনগণ সেই নির্বাচন মেনে নেয় নাই।
গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯৬ সালের ৩০ শে মার্চ বিএনপি সরকারের পতন ঘটে। ২০০৬ সালেও বিএনপি একই ঘটনা ঘটায়। ১ কোটি ২৩ লক্ষ ভুয়া ভোটারসহ ভোটার তালিকা তৈরী করে। বিতর্কিত ব্যক্তিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে। নিজ দলীয় রাষ্ট্রপতিকেই প্রধান উপদেষ্টা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে।

সুশাসন প্রতিষ্ঠা
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার আইন, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ সুরক্ষা প্রদান আইন, মানবাধিকার কমিশন গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রায় ৪১ হাজার অসহায় দরিদ্র মানুষকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। মামলাজট কমাতে উচ্চ আদালতে ৭১ জন ও নিম্ন আদালতে ১২৫ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। জনপ্রশাসনকে দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক করা হয়েছে। মাতৃত্বকালীন ছুটি ৪ মাস থেকে বাড়িয়ে ৬ মাস করেছি। নারী ও শিশু পাচার বন্ধ হয়েছে। এসিড সন্ত্রাস হ্রাস পেয়েছে।
সেনাবাহিনীর জন্য চতুর্থ প্রজন্মের ট্যাংক
tankসশস্ত্র বাহিনীর পুনর্গঠন ও আধুনিকায়নের কাজ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীর জন্য চতুর্থ প্রজন্মের ট্যাংক, সেলফ প্রোপেল্ড গান, ওয়েপন লোকেটিং রাডার, অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার, আর্মার্ড রিকভেরি ভেহিক্যাল ক্রয় করা হয়েছে। নৌ বাহিনীর জন্য মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্র্যাফট ও হেলিকপ্টার, ফ্রিগেট, করভেট লার্জ পেট্রল ক্র্যাফট এবং হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে জাহাজ ক্রয় করেছি। স্পেশাল ফোর্স গঠন করা হয়েছে। বিমান বাহিনীতে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য মিসাইল যুক্ত করা হয়েছে। কক্সবাজারে নতুন বিমান ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছে। কুর্মিটোলায় বঙ্গবন্ধু এ্যারোনটিক্যাল সেন্টারের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে।
পুলিশ বাহিনীকেও আধুনিকায়নআমরা পুলিশ বাহিনীকেও আধুনিকায়ন করেছি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ৩৩ হাজার সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসআই ও টিএসআই-এর পদ ৩য় শ্রেণী থেকে ২য় শ্রেণীতে এবং ইন্সপেক্টরের পদ ১ম শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে গতিশীল করার জন্য হেলিপ্টার ক্রয় করা হয়েছে। আনসার ও ভিডিপিতে ২ হাজার ২৩৫ টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ও ভূমিকম্পে উদ্ধার কাজে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করে ফায়ার সার্ভিসকে শক্তিশালী করা হয়েছে। প্রতি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের কাজ অব্যাহত আছে।
সমুদ্র জয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মায়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র জয়ের ফলে বঙ্গোপসাগরের ১ লক্ষ ১১ হাজার ৬৩১ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই চার বছরে আমরা ব্যাংকিংসহ সকল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, সেবা প্রদান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ নিশ্চিত করেছি। সব বয়সী জনগণ এই প্রযুক্তিকে গ্রহণ করেছে।
ই-সেবা পোচ্ছে ৪০ লক্ষ গ্রামীণ মানুষ
ইন্টারনেটের গতি বাড়িয়েছি ও ব্যয় কমিয়েছি। ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা  সাতগুণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৪ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ১০ কোটি মোবাইল সিম বাংলাদেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। ৩জি মোবাইল ফোন চালু হয়েছে। গ্রাহকরা ভিডিও কল করাসহ উন্নত ডিজিটাল সেবা পাচ্ছেন।প্রতিটি ইউনিয়নে ইন্টারনেট সার্ভিস ও তথ্য সেবা কেন্দ্র চালু করেছি। এগুলো থেকে প্রতিমাসে ৪০ লক্ষ গ্রামীণ মানুষ ই-সেবা নিচ্ছেন।
৫৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ৫২৮৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরো ২৬টি  বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এ পর্যন্ত ৩৮৪৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছি। সর্বোচ্চ ৬৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছি। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ৮৫২৫ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়েছে। এক হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। কয়লা ও গ্যাসভিত্তিক তিনটি বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শীঘ্রই শুরু হবে।
২৬ হাজার বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ
২৭ কোটি বই বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৭৮ লক্ষ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। ২৬ হাজার ২০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়েছে এবং ১ লক্ষ ৪ হাজার শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করা হচ্ছে।সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদ তৃতীয় শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যসেবার সাফল্য উল্লেখ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ১৫ হাজার কম্যুনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। ডাক্তার ও হেলথ প্রোভাইডার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কার্ডিয়াক, বার্ন ইউনিট, ক্যান্সার, কিডনি ও শিশু চিকিৎসা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

গ্রামীণ অর্থনীতিও চাঙ্গা
গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি বাড়ি একটি খামার, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্দ্বী ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ, টেস্ট রিলিফ, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সৃষ্টি করা হয়েছে। এর ফলে আমাদের দারিদ্র্যের হার ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

সরকারি খাতে ৫ লক্ষ ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে ৭৫ লক্ষের অধিক মানুষের কর্মসংস্থান করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বনানী ওভারপাস চালু হয়েছে। মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোড ফ্লাইওভার, গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার ও বনানী-কুড়িল ফ্লাইওভার শিগগিরই চালু হবে।
এয়ারপোর্ট-যাত্রাবাড়ী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ আরো কয়েকটি ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলছে। কয়েকটি বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। হাতিরঝিল প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। এতে রাজধানীর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সায়েদাবাদে দৈনিক সাড়ে ২২ কোটি লিটার পানি সরবরাহের জন্য দ্বিতীয় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট চালু হয়েছে। এর দ্বিগুণ ক্ষমতাসম্পন্ন আরেকটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট খিলক্ষেতে নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, পুংলি ও ধলেশ্বরী নদী ড্রেজিং এর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মেট্টোরেল স্থাপনের জন্য জাপানের সাথে এরইমধ্যে চুক্তি হয়েছে।
বাংলাদেশ খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৩ কোটি ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য উৎপাদন হয়েছে। সেই সঙ্গে ডাল, মসলা, তৈলবীজ, ফল ও সবজি উৎপাদনে কৃষকদের বিশেষ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন করছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যেও কাজ শুরু করেছিলেন। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তাঁকে মাঝ পথে স্তব্ধ করে দেয়। বিশ্ব এখন বলছে, বর্তমান সরকারের ব্যাপক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিচ্ছে। এই কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে আমরা ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সমৃদ্ধ, ন্যায়ভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক, শান্তিপূর্ণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। ইনশাল্লাহ।

সবশেষে প্রধানমন্ত্রী  সকলে মিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তার প্রত্যয়ের কথা ব্যক্ত করেন।

No comments

Powered by Blogger.