পলস্নবীতে বিধবা খুন

রবিবার রাত সাড়ে ১২টায় পুলিশ খবর পেয়ে সিএমএইচ এমআই রম্নমের ট্রলি থেকে মমতাজ বেগম (৬৫) নামে এক মহিলার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়। পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন আগে মমতাজের স্বামী আমির হোসেন মারা যাবার পর স্বামীর ভিটা পলস্নবী থানাধীন বারনটেক এলাকার ১০১/এ নং বাড়িতে ৫ ছেলে ১ মেয়ে নিয়ে থাকতেন।
এক পর্যায়ে ৫ ছেলেকে ওই জমিতে আলাদা ঘর করেও দেন। নিজেও একটি কৰে থাকতেন। রবিবার মাগরিবের নামাজের পর থেকে এলাকায় লোডশেডিং চলছিল। বিধবা মহিলা মমতাজ ঘরে একাই ছিলেন। বিদু্যত চলে এরে পরিবারের সদস্যরা ওই কৰে ঢুকে দেখে বেডরম্নমে মমতাজের জবাই করা দেহ। পরে মমতাজকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সিএমএইচে আনলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংশিস্নষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ৭ মাস আগে মমতাজ বেগম ৫ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে সম্পত্তি বণ্টন করে দেন। এ নিয়ে সনত্মানদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। রাত ৭টায় এ ব্যাপারে মামলার তদনত্মকারী কর্মকর্তা পলস্নবী থানার এসআই আফজালুর রহমান জনকণ্ঠকে জানান, রবিবার মাগরিবের নামাজের পর বারনটেক এলাকায় বিদু্যত ছিল না। এ সময় মমতাজ রম্নমে একাই ছিলেন। পরে বিদু্যত এলে সনত্মানরা ঘরে ঢুকে মমতাজ বেগমের জবাই করা লাশ দেখতে পায়। পুরো ঘটনাটি রহস্যজনক। নিহতের পরিবারের পৰ থেকে এখনও থানায় মামলা দেয়নি। মামলা হলেই ঘটনার রহস্য উদ্্ঘাটনের জন্য মাঠে নামবে পুলিশ। নিহতের ছেলে আজমত আলী জনকণ্ঠকে জানান, রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্ব এজতেমা শেষে বারনটেকের বাসায় এসে মায়ের কৰ ঢুকে দেখি তার রক্তাক্ত জবাই করা দেহ। পরে সিএমএইচে আনলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। তিনি ঘটনার কারণ বলতে পারেননি। সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে মমতাজ বেগমের লাশের ময়নাতদনত্ম শেষে পলস্নবীর বারনটেক পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.