সুবিধাবঞ্চিতদের কারিগরি প্রশিক্ষণ

রাজশাহীর পবা উপজেলার পশ্চিম বালিয়া গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত আলামিন (২০), রাজু (১৮) ও ফজর (১৯)। লেখাপড়ার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন হতো সেটি তাদের পরিবার ঠিকমতো দিতে পারত না।
তাই তারা লেখাপড়ার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। প্রশিক্ষণ নিয়ে কাঠের তৈরি ফোল্ডিং টুল, টেবিল, টি-টেবিল, ইজি চেয়ার, আলনা তৈরিতে দক্ষ হয়ে ওঠে তারা। তাতেই হয়ে ওঠে স্বাবলম্বী। এখন এসব জিনিস তৈরি করে তারা প্রতিমাসে আয় করছে ১০-১৫ হাজার টাকা। তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সিএমইএস ইউনিট অরগানাইজার নামে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান।
এ প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় সমন্বয়কারী কে এম আসাদুজ্জামান জানান, বর্তমানে রাজশাহী জেলায় তাদের এমন কারিগরি বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৩টি। এসব প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৯ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোর লেখাপড়ার পাশাপাশি গ্রহণ করছে বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা। শিশুদের হাতে কাঠের ফোল্ডিং টুল, টেবিল, টি-টেবিল, ইজি চেয়ার, আলনা, উন্নতমানের মাশরুম ও বিভিন্ন ধরনের গার্মেন্টস সামগ্রী শোভা পাচ্ছে দেশের বিভিন্ন মেলায়। সম্প্রতি রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীর শতবর্ষ উৎসবের মেলায় স্থান পায় তাদের স্টল। পবা উপজেলার পশ্চিম বালিয়া গ্রামের আলামিন, রাজু ও ফজর পবার দামকুড়া হাট সিএমইএস থেকে কাঠের আসবাবপত্র তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন নিজেরাই স্বাবলম্বী। তাদের মতো এ অঞ্চলের ৪০-৫০ ছেলেমেয়ে স্বাবলম্বী হয়েছে।
আলামিন জানায়, সিএমইএস থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়ার পাশাপাশি হাতের কাজের প্রশিক্ষণ নেয় সে। এখন সে একজন দক্ষ কারিগর। কাঠের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করেই এখন তার আয় মাসে ১০-১৫ হাজার টাকা।
সংস্থাটির কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, এখানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কাঠের তৈরি আসবাব থেকে শুরু করে উন্নতমানের মাশরুম চাষ, জৈব সার তৈরি ও বিভিন্ন ধরনের গার্মেন্টস সামগ্রী তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে। অনেকে এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।

Ñমামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী

No comments

Powered by Blogger.