রাহিমারা এখন নিজের প্রয়োজনেই সচেতন

একটানা তিন সপ্তাহ কাশি হলে যক্ষ্মার লক্ষণ হতে পারে বলে হাসপাতাল কিংবা ব্র্যাক সেন্টারে গিয়ে কফ পরীক্ষা করাতে হবে। খাবার এবং রান্নার জায়গা পরিষ্কার রাখতে হবে। পুকুরের পানি দিয়ে থালাবাসন ধোয়ার পরে কলের (নলকূপ) পানি দিয়ে ধুলেও জীবাণুমুক্ত হয় না।
তবে ফুটন্ত গরম পানিতে ধুয়ে নিলে জীবাণু মুক্ত হয়ে যায়। খাবার ঢেকে রাখতে হবে। আর ঘর-দুয়ার তো পরিষ্কার রাখতেই হবে। শিশুদের সবকয়টি টিকা দিতে হবে। বেড়িবাঁধের বাইরে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করা অতি দরিদ্র রাহিমা বেগম, হালিমা বেগম, হেনবালাসহ আরও ১০/১২ মহিলা এসব অকপটে বললেন। এসব মহিলা সবাই জীবিকার প্রয়োজনে নিজেরাই কোন না কোন ধরনের কাজ করছেন। রাহিমাদের এক সময় ছিল না কোন সচেতনতা। কুয়ার পানিতে ধোয়া মোছার কাজ করতেন। ওই পানিতে গোসল করতেন। এমনকি টয়লেটের পানি অপসারণের লাইন পর্যন্ত দেয়া ছিল। ডায়রিয়া, আমাশয়সহ পেটের পীড়াজনিত পানিবাহিত বহুবিধ রোগে এরা আক্রান্ত হতেন। এখন তারা পরিষ্কুার বুঝতে পারছেন তাদের করণীয় সম্পর্কে। জানেন স্কুলে পাঠাতে হবে সন্তানদের। তাদের চিকিৎসার জন্য কোথায় যেতে হবে। এনজিওর লোনের কিস্তির টাকা জমা দেয়ার হিসাব-নিকাশ মেলাতে পারছেন। পারছেন নিজেরা তাদের করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে। করেছেন নিজেদের নিরক্ষরমুক্ত। বেসরকারী সংস্থা আশার গোলাপ ভূমিহীন মহিলা সমিতির সদস্য এসব মহিলারা।
Ñমেজবাহউদ্দিন মাননু, কলাপাড়া

No comments

Powered by Blogger.