শেয়ারবাজারের জুয়াড়ি অনলাইন চক্র, চিহ্নিতকরণ চূড়ানত্ম

 অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে শেয়ারের দর প্রভাবিত করে মুনাফা হাতিয়ে নিতে সক্রিয় জুয়াড়ি চক্রকে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউিরিটিস এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসির) তদনত্ম দল। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু ওয়েবসাইট, বস্নগ ও ফেসবুক ঠিকানা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ওয়েবসাইট ব্যবহার করে শেয়ারের দর প্রভাবিত করার প্রমাণও পেয়েছেন তারা।
তবে ওয়েবসাইটগুলোর সদস্যদের মধ্যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে গুজব রটনাকারীদের শেয়ার লেনদেনের সুনির্দিষ্ট তথ্য হাতে না পাওয়ায় নির্ধারিত সময়ে তদনত্ম শেষ করতে পারেনি দলটি। অপরাধীদের চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ যোগাড় করার জন্য তদনত্মের সময় আরও এক মাস বাড়িয়ে নিয়েছেন তারা। তদনত্ম প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য প্রথম দফায় নির্ধারিত তিন সপ্তাহের শেষ দিন ছিল সোমবার।
সাইবার অপরাধ চিহ্নিত করতে গঠিত ৪ সদস্যের তদনত্ম দলের প্রধান এসইসির নির্বাহী পরিচালক এটিএম তারিকুজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেন, সাইবার অপরাধের বিশাল সমুদ্রে অনুসন্ধান করছি। এখান থেকে অপরাধ শনাক্ত করে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা অনেক জটিল ও সময়ের ব্যাপার। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে অপরাধ প্রমাণ করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ যোগাড় করা যায়নি। এক মাস কাজ করেও তদনত্ম কাজ পুরোপুরি শেষ করা যায়নি। এজন্য কমিশনের কাছে আরও এক মাস সময় চেয়েছি।
অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে শেয়ারের দর প্রভাবিত করায় লিপ্ত অপরাধীদের শনাক্ত করতে গত ৪ জানুয়ারি থেকে এই টিম তদনত্ম কাজ শুরম্ন করে। এর আগে চলতি মাসের প্রথমদিকে সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে সাইবার অপরাধী সম্পর্কে এসইসি বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে দেয়। এর পরই সাইবার অপরাধের বিরম্নদ্ধে নানামুখী প্রচেষ্টা নেয়া হয়। ইতোমধ্যে কিছু দেশীয় ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বিদেশি কিছু সাইট এদেশে সক্রিয় রয়েছে।
বাংলাদেশে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে অসংখ্য গুজব সৃষ্টিকারী বস্নগ। এ ধরনের অনত্মত ১০টি অপরাধী গ্রম্নপের সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলো হচ্ছে_ ঈধঢ়রঃধষ গধৎশবঃ. উরংপঁংংরড়হ, অহধষুংরং ্ ঞবপযহরয়ঁব ইঁংরহবংং-ওহাবংঃরহম- এই গ্রম্নপের সদস্য সংখ্যা ২০৩৯। ছটইঊঊ ইঁংরহবংং- এবহবৎধষ (সদস্য ৩৬০), উযধশধ ঝঃড়পশ ঊীপযধহমব : ঈড়হভরফবহঃরধষ ঘবংি ধহফ অহধষুংরং (সদস্য ২৩৮), ইউ ওহাবংঃড়ৎ'ং ঈষঁন (সদস্য ৬৯৫), গণ ঝঞঙঈক গণ ঙচওঘওঙঘ (সদস্য ৭৯১), ঝঞঅকঊ ঐঙখউঊজঝ (সদস্য ৬৩০৫), ঈঙজচঙজঊঞ (সদস্য ৫৯৬), ঝঙখওউ এঅওঘ (সদস্য ১৬৯), মধসনষবৎুধশঁন নযধর মৎড়ঁঢ় (সদস্য ৬০), উযধশধ ঢ়ঁলর নধুধৎ (সদস্য ২৩৪৭) এবং উযধশধ ঝঃড়পশ ঊীপযধহমব ঊীপযধহমব (সদস্য ১৮৩৯)। এর মধ্যে কিছু কিছু গ্রম্নপ শুধু সদস্যদের মধ্যেই তথ্য আদান-প্রদান করে। সদস্য ছাড়াই কেউ এসব বস্নগে প্রবেশ করতে পারে না। ধরা পড়ার আশঙ্কায় অনেক গ্রম্নপ ঘন ঘন নাম পরিবর্তন করে। ই-মেইলে সদস্যদের নতুন নাম জানিয়ে দেয়া হয়।
এসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সাইবার কারসাজি চক্র গুজব ছড়িয়ে বাংলাদেশের দুই পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। নিজেরা লুটে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এদের গ্রম্নপে যোগ দিয়ে অনেক বিনিয়োগকারীই তিগ্রসত্ম হচ্ছেন। এসইসির তদনত্ম কমিটির প্রধান বলেন, এ রকম অসংখ্য সাইটের ঠিকানা আমাদের কাছে রয়েছে। কিন্তু প্রমাণসহ সুনির্দিষ্ট কোন অপরাধীকে চিহ্নিত করা খুব জটিল ব্যাপার। প্রমাণসহ এদের ধরতে সময় নিয়েছি।

No comments

Powered by Blogger.