উপজেলা_ এখনও নিধিরাম- এক বছরে পেয়েছে শুধু টেবিল চেয়ার by মামুন-অর-রশিদ

 উপজেলা পরিষদ এখনও নিধিরাম সর্দার। এক বছর আগে নির্বাচন হলেও শুধু চেয়ার, টেবিল আর বসার জায়গা ব্যতীত উপজেলা চেয়ারম্যানদের আর কোন ৰমতা দেয়া হয়নি। নেই কোন কাজ।
সারাদেশে ৪শ' ৮২ টি উপজেলার মধ্যে ৪শ' ৮১টির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ১৪শ' ৪৩ চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যানের অধিকাংশ ৰমতাসীন জোটের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মী। সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে কেবল আশ্বাসবাণীতে তারা আর আশ্বসত্ম হতে পারছে না। গত এক বছরে প্রত্যাশা-প্রাপ্তির ব্যবধান তাদের ৰুব্ধ করে তুলছে। উলেস্নখ্য, ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের দু'সপ্তাহের মাথায় সারাদেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গত শুক্রবার উপজেলা নির্বাচনের বর্ষপূর্তি হয়েছে। কিন্তু এই এক বছরে কোন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা বলতে পারেনি কোন চেয়ারম্যান। এতে তৃণমূলের জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে গণতান্ত্রিক শাসনের অধিকার ও সুযোগ থেকে। বিরাজমান পরিস্থিতিতে, শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গতানুগতিক রাজনৈতিক বক্তব্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে।
ত্রিমাত্রিক সঙ্কটে উপজেলা পরিষদ স্থবিরতা-বন্দী হয়ে পড়েছে। আমলাতন্ত্রের আধিপত্য, আইনী বিধান নিয়ে টানাটানি আর স্থানীয় পর্যায়ে চেয়ারম্যান, ইউএনও ও স্থানীয় সাংসদদের মধ্যে ত্রিমুখী টানাপোড়েন, আধিপত্যের লড়াইয়ে স্থবির-বন্দী উপজেলা পরিষদ। এতে ৰোভ বাড়ছে স্থানীয় সরকারের গুরম্নত্বপূর্ণ ইউনিট উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যানদের মধ্যে। সম্প্রতি সরকারী দল আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যানদের তোপের মুখে পড়েন। কার্যত উপজেলা পরিষদ এখন ঢাল-তলোয়ারহীন নিধিরাম সর্দার। আবার উপদলীয় কোন্দল স্থানীয় পর্যায়ে ৰমতাসীন দলের রাজনীতির ১২ টা বাজিয়ে ছাড়ছে; যার প্রায়শ্চিত্ত দলকে শীঘ্রই করতে হবে। যেসব এলাকায় যারা এমপি-মন্ত্রী রয়েছেন, তাদের গুটিকয়েক আত্মীয়, তোষামোদকারী ব্যতীত দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের এসব এমপি-মন্ত্রীর কাছে কোন জায়গা নেই।
মহাজোট সরকারের এক বছরেও কোন গতি হয়নি উপজেলা পরিষদের। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আর আইনী বিধান নিয়ে টানাটানির কারণে ঝুলে আছে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম। ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের দু'সপ্তাহের মাথায় সারাদেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রণীত স্থানীয় সরকারের বিধান বাদ দিয়ে ১৯৯৮ সালের স্থানীয় সরকার বিধানের সংশোধনী ২০০৯-এর মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ বিধান চূড়ানত্ম করা হয়। বিধান পাসের পর প্রথম তফসিলে উপজেলা পরিষদের কার্যাবলী তুলে ধরা হয়। তৃতীয় তফসিলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে উপজেলার অধীন বিভিন্ন বিভাগ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যসত্ম করার কথা বলা হয়। এৰেত্রে দ্বিতীয় তফসিলের কার্যাবলী অনুযায়ী তৃতীয় তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হলেও প্রায় এক বছর পর ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এই নির্দেশে চেয়ারম্যানদের চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ৰমতা বেশি দেয়া হয়েছে বলে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানদের অভিযোগ। বিশেষ করে স্থানীয় পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তাদের সম্পর্কে ব্যক্তিগত প্রতিবেদন, আয়-ব্যয় এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসনের জন্য ডিও প্রদানের ৰমতা উপজেলা চেয়ারম্যানদের পরিবর্তে ইউএনওদের হাতে রাখা হয়।
২০০৯ সালের ৬ এপ্রিল সংসদে পাস হওয়া উপজেলা পরিষদ অধ্যাদেশের ২৫, ২৬ ও ৪২ ধারা অনুযায়ী স্থানীয় সংসদ সদস্যকে উপজেলা চেয়ারম্যানদের মাথার ওপর উপদেষ্টা হিসেবে বসিয়ে দেয়া হয়। একই সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যানদের নির্বাহী ৰমতার ওপর কৌশলে কতর্ৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় সংসদ সদস্যদের। সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয় এবং এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উপজেলায় স্থানীয় পর্যায়ে গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার সাংবিধানিক দায়িত্ব পড়ে উপজেলা চেয়ারম্যানদের হাতে। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচন হয়েছে সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় বাজেট অনুমোদন এবং আইন প্রণয়নের ৰমতা দেয়া হয় সংসদ সদস্যদের। কিন্তু এদেশে যখনই স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণে রাজনৈতিক সরকারের সদিচ্ছা প্রকাশ পায়, তখনই আমলাতন্ত্রের খপ্পর কৌশলে সাত-পাঁচ বুঝিয়ে তা ভ-ুল করে দেয়। উলেস্নখ্য, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর সরকার যখন জেলা গবর্নর পদ্ধতি চালু করল তা সফল হবার আগেই সেটা পরিত্যক্ত হয় বঙ্গবন্ধু নির্মমভাবে নিহত হবার মধ্য দিয়ে। এরশাদ আমলে ১৯৮৬ সালে উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হলেও ১৯৯১ সালের ২৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপি সরকার উপজেলা রহিত করে। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারে আসলে ১৯৯৮ সালে উপজেলা আইন আবার পাস করে। কিন্তু ২০০৮ সাল পর্যনত্ম নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ আলোর মুখ দেখেনি। তৃণমূলের জনগণ এতে বঞ্চিত হয়েছে গণতান্ত্রিক শাসনের অধিকার ও সুযোগ থেকে।
এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ এ্যাসোশিয়েশনের আহ্বায়ক পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার চেয়ারম্যান হারম্নন-অর-রশিদ হাওলাদার জনকণ্ঠকে জানান, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শক্তিশালী স্থানীয় সরকার চান। আর এ জন্যই তিনি ১৯৯৮ সালে উপজেলা পরিষদ বিল সংসদে পাস করেন। এমনকি ২০০৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠনের পর তিনি ২২ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্মতি দিয়েছেন। ইচ্ছে করলে তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বন্ধ করে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি শক্তিশালী স্থানীয় সরকারে বিশ্বাস করেন বলেই উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ কার্যকর করার ব্যাপারে তারা স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর নিকট ১৫ দফা পরামর্শ দিয়েছেন জানিয়ে বলেন, আমরা আশা করছি_ সরকার অতিসত্বর এসব বাসত্মবায়ন করবে। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে উপজেলা চেয়ারম্যানদের চেয়ার, টেবিল আর বসার জায়গা দেয়া ব্যতীত কোন কাজ নেই। সরকার স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের কাজে লাগিয়ে দিন বদলের সনদ বাসত্মবায়ন কিংবা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কর্মীবাহিনী হিসেবে কাজে লাগাতে পারে।
স্থানীয় পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যানদের অবস্থা নিয়ে আমাদের বরিশাল প্রতিনিধি কাজী শামীম জানিয়েছেন, বরিশালে এমপিদের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যানদের সম্পর্ক সাপে নেউলে। তবে কোন কোন ৰেত্রে কারও সঙ্গে রয়েছে চমৎকার সম্পর্ক । আবার এমপি কর্তৃক একই দলের উপজেলা চেয়ারম্যান হেনস্থারও ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে নানা তথ্য। উপজেলা চেয়ারম্যানদের বক্তব্য, তাদের ওপর অঘোষিত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। তাদের কোন স্বাধীনতা নেই। তারা নামের উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এমনকি তাদের কার্যালয় পর্যনত্ম বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজে এমপি ও আমলারা চেয়ারম্যানদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। অনেক কাজেই এমপিরা তাদের সমন্বয় করেন না। এমপিরা যা খুশী করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বাদল বলেন, আমরা নিয়ন্ত্রণহীন। বরিশাল -৬ সংসদীয় আসনের এমপি জাপা মহাসচিব রম্নহুল আমীন হাওলাদারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান সামসুল আলম চুন্নুর চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া আসনের এমপি তালুকদার ইউনুছের সঙ্গে একই দলের চেয়ারম্যান শাহ আলম খা ও মতর্ুজা খানের সম্পর্ক খারাপ নয়। তবে জাতীয়ভাবে তাদের যথেষ্ট ােভ রয়েছে। সদর আসনের বিএনপি সংসদ মজিবর রহমান সরোয়ারের সঙ্গে একই দলের আজিজুল হক আক্কাসের সম্পর্ক সাপে নেউলে। বানারীপাড়া-উজিরপুর আসনের আওয়ামী লীগের এমপি মনিরম্নল ইসলাম মনির সঙ্গে একই দলের চেয়ারম্যান গোলাম ফারম্নক ও আবুল কালাম আজাদের সম্পর্ক মোটেই ভাল নেই। এমনকি মনিরম্নল ইসলাম মনি ৪ মাস আগে বানারীপাড়া থানার ওসির ক েবসে উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারম্নককে হেনস্থা করেন। মুলাদী-বাবুগঞ্জ আসনের জাপা এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপুর সঙ্গে বিএনপি চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ খান ও ছাত্তার খানের দূরত্ব রয়েছে। হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ আসনের বিএনপি সংসদ মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদেরও একই অবস্থা। দু'টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান থাকায় সম্পর্ক খুবই খারাপ। তবে হিজলা চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ টুকু দাবি আদায়ে সবার উপরে। এমপি তার ভয়ে সর্বদা তটস্থ থাকে। বিশ্বসত্ম সূত্র জানায়, উপজেলা চেয়ারম্যানদের কোন মতা নেই। এটাই এমপি বনাম উপজেলা চেয়ারম্যানদের মধ্যে বিরোধের মূল কারণ।
আমাদের রাজশাহী প্রতিনিধি আনিসুজ্জামান জানিয়েছেন, রাজশাহীর ৫টি নির্বাচনী এলাকার মধ্যে একটি ব্যতীত অন্য কোন সংসদীয় এলাকায় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যানদের তেমন মতবিরোধ নেই। সংশি-ষ্টরা জানান, রাজশাহীর ৫টি নির্বাচনী এলাকার ৯টি উপজেলার মধ্যে মাত্র ২টিতে (দুর্গাপুর ও গোদাগাড়ী) জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। বাকি ৭টিতেই (বাঘা, চারঘাট, পুঠিয়া, বাগমারা, মোহনপুর, পবা ও তানোর) বিজয়ী হন বিএনপি-জামায়াত মনোনীত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। পুঠিয়ায় নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আবু আমিন মোঃ ওয়ায়েজুল ইসলাম বাচ্চু সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন আওয়ামী লীগ সমর্থক মহিলা ভাইস- চেয়ারম্যান। তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থক হওয়ায় তার সঙ্গে সংসদ সদস্য কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারার এখন পর্যনত্ম কোন মতবিরোধের কথা শোনা যায়নি। দুর্গাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সরদার আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় তার সঙ্গেও সংসদ সদস্য কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারার কোন মতবিরোধ হচ্ছে না। রাজশাহীর গোদাগাড়ীর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মেয়র খায়রম্নজ্জামান লিটনের পরামর্শে কিছুদিন সংসদ সদস্য ওমর ফারম্নক চৌধুরীর বিরোধিতা করলেও এখন ঠিক হয়ে গেছে। বর্তমানে তার সঙ্গে সংসদ সদস্যের কোন মতবিরোধ নেই। তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমরান আলী মোল-ার কর্মকা-ে হসত্মপে করেন না সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারম্নক চৌধুরী। তবে ফারম্নক চৌধুরী কোন কিছু বললে তা রা করে চলেন বিএনপি নেতা এমরান আলী মোল-া। জামায়াত ও বিএনপি থেকে নির্বাচিত পবা এবং মোহনপুর উপজেলা চেয়ারম্যানদ্বয় সর্বদা সংসদ সদস্য মেরাজ উদ্দিন মোল-াকে 'সন্তুষ্ট' রেখেই কাজ করেন বলে জানা যায়। বাগমারা উপজেলা চেয়ারম্যান ডিএম জিয়াউর রহমানও সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হককে 'সন্তুষ্ট' করেই কাজ করছেন। তবে বাঘা ও চারঘাটের উপজেলা চেয়ারম্যানদ্বয় তরম্নণ ও কর্মঠ সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমকে আস্থায় নিতে পারছেন না। কারণ, এই দু'উপজেলা চেয়ারম্যানই কট্টর আওয়ামী লীগ বিরোধী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তবে যখন যেখানে উপজেলা চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সংসদ সদস্যদের দূরত্ব বেড়ে যায়, সেখানে পরিষদ সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে সংসদ সদস্য ইচ্ছা করলে প্রকল্পের বাসত্মবায়ন করতে পারছেন। এেেত্র উপজেলা চেয়ারম্যানদের করার কিছুই থাকছে না বলে ভুক্তভোগীরা জানান।

No comments

Powered by Blogger.