ঢাকা সিটি নির্বাচন- জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের মাপকাঠি হিসেবে দেখছে বড় দুই দল by রাসেল রানা

 স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (ডিসিসি) নির্বাচনকে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের মাপকাঠি হিসেবে দেখছে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এ কারণে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী মার্চে অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে দুই দলই। বড় দুই দল ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলও ডিসিসি নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা হিসাবনিকাশে ব্যসত্ম রয়েছে।
অলিখিতভাবে জোটগত নির্বাচনের বিষয়টিও ভাবছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থিতার বিষয় উলেস্নখ না করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টারে ছেয়ে ফেলেছে পুরো রাজধানী। তবে ৰমতাসীন আওয়ামী লীগের পৰ থেকে মেয়র প্রার্থী চূড়ানত্ম এবং দলীয়ভাবে সব ওয়ার্ডে একক কাউন্সিলর প্রার্থী দেয়ার কথা বলা হলেও বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলেছেন, ডিসিসি নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধানত্ম নিতে শীঘ্রই দলের স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা করা হবে। তবে ডিসিসির নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত বলেও মত দিয়েছেন নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ। এমতাবস্থায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা স্ব-স্ব দলের মনোনয়ন পেতে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষণা অনুযায়ী আগামী মার্চে ডিসিসির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও দুই নির্বাচন কমিশনার বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সার্বিক বিষয় অবহিত করেছেন। সেৰেত্রে ফেব্রম্নয়ারি মাসেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে বলে ইসি সূত্র নিশ্চিত করেছে। জাতীয় নির্বাচনের প্রায় সোয়া বছর পর ডিসিসি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিএনপি নেতারা বলেছেন, সরকারের জনপ্রিয়তা কমেছে। বিশেষ করে সম্প্রতি বাংলদেশ-ভারত চুক্তি স্বাৰরের পর সরকারের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায় নেমেছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচন না হোক, অনত্মত কিছু কিছু ৰেত্রে নির্বাচন দিয়ে সরকার তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করে দেখতে পারে। সচেতন মহলের মতে, ডিসিসির নির্বাচনই হতে পারে ৰমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের মাপকাঠি। আর রাজনৈতিক দলগুলোও এ বিষয়টি গুরম্নত্বের সঙ্গে নিয়েই দলীয় প্রার্থী চূড়ানত্মকরণে সতর্কতার সঙ্গে এগুচ্ছেন। সৎ, দৰ, যোগ্য ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দিতে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। দলীয় সূত্রগুলো জানায়, মেয়র পদে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন রাজধানীর ধানম-ি এলাকা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খোকন, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট কামরম্নল ইসলাম এমপি। এদের মধ্য থেকেই একজন প্রার্থীকে মেয়র পদে চূড়ানত্ম করা হবে বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। বিএনপির সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বর্তমান মেয়র ও দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা , দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস, দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আ স ম হান্নান শাহ।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস শহীদ ফজলুল হক মনির ছেলে। স্বচ্ছ ইমেজের এই তরম্নণ নেতা গত জাতীয় নির্বাচনে রাজধানীর ধানম-ি এলাকা থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের অনেক কেন্দ্রীয় নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহধন্য এই তরম্নণ নেতাকে মেয়র পদে মনোনয়ন দিতে শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিয়েছেন। সেৰেত্রে এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করিয়ে হলেও ব্যারিস্টার তাপসকে প্রার্থী করেই তাঁরা প্রতিপৰ দলের প্রার্থীকে হরাতে চান। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনাও নেতাদের পরামর্শ বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন, তবে চূড়ানত্ম কোন সিদ্ধানত্ম দেননি। মেয়র পদে আরেক শক্তিশালী প্রার্থী হলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম। আওয়ামী লীগের পরীৰিত এই নেতা একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সারাদেশেই পরিচিত। মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাঁর গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আন্দোলন-সংগ্রামে সাহসী ভূমিকা পালনকারী এই নেতাকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে যোগ্য মনে করেন অনেকেই। মহানগরের বিভিন্ন সত্মরের নেতাকর্মীদের মধ্যে তাঁর বেশ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাঈদ খোকন ডিসিসি সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম মোহাম্মদ হানিফের ছেলে। পুরান ঢাকাসহ মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সত্মরে মোহাম্মদ হানিফের সততা ও ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতাকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি তরম্নণ প্রজন্মের মধ্যে নিজেকে যোগ্য নেতা হিসেবে ইমেজ গড়ে তুলেছেন সাঈদ খোকন। এছাড়া এ্যাডভোকেট কামরম্নল ইসলামও প্রার্থী হতে চান বলে দলের একটি সূত্রে জানা গেছে।
ডিসিসি নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ানত্মকরণ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর মতে ডিসিসি নির্বাচনের জন্য প্রার্থী চূড়ানত্ম করেছেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সভানেত্রীর অনুমতি পেলে দলীয়ভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। একইরকম তথ্য দিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরম্নল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, ডিসিসি নির্বাচনের জন্য মহানগর আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। কেন্দ্র থেকে মেয়র পদে চূড়ানত্ম প্রার্থী ঘোষণা করলেই নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে পড়বে। নিজের প্রার্থিতা বিষয়ে কোন মনত্মব্য না করে তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত ধারণা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী দলের মেয়র প্রার্থী চূড়ানত্ম করেছেন। ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস মেয়র প্রার্থী হলে ভাল হবে মনত্মব্য করে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে এ রকম স্বচ্ছ ইমেজের নেতাকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদেও দলীয়ভাবে একক প্রার্থী দেয়া হবে বলে তিনি জানান। ডিসিসি নির্বাচন সম্পর্কে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জনকণ্ঠকে বলেন, দলের সভানেত্রী মেয়র পদে যাঁকে মনোনয়ন দেবেন, দলের সকল সত্মরের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাঁর জন্য কাজ করবেন। সাঈদ খোকন জনকণ্ঠকে বলেন, দলের সভানেত্রী যাঁকে মনোনয়ন দেবেন, দলের নেতাকর্মীরা তাঁর পৰেই কাজ করবেন। তবে দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত আছি। দলীয় সূত্র জানায়, সবকিছুই নির্ভর করছে দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। তবে তিনি এখনও কাউকে সবুজ সংকেত দেননি বলেই এই সূত্রের দাবি। মহানগর রাজনীতির গুরম্নত্ব ও সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে দলের বিভিন্ন সত্মরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা-পর্যালোচনা করে মহানগরবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য নেতাকেই মনোনয়ন দেবেন শেখ হাসিনা_ এমন দাবিই করেছে সূত্রটি।
বিএনপি সূত্র জানায়, বর্তমান মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা এবং মহানগর রাজনীতিতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস উভয়ই মেয়র পদে প্রার্থী হতে চান। মহানগর রাজনীতিতে এই দুই নেতার কোন্দল অনেকটা প্রকাশ্যেই। এই দুই নেতার কোন্দলের কারণেই ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি নেই দীর্ঘদিন ধরে। মহানগর কমিটি ঘোষণা ছাড়াই কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করতে হয়েছে দলকে। মহানগর কমিটির সভাপতি পদ নিয়েও এই দুই নেতা কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি হননি। তবে জাতীয় কাউন্সিলের আগে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া খোকাকে সভাপতি করতে চাইলে বাধ সাধেন আব্বাসপন্থীরা। এ প্রেৰিতেই জাতীয় কাউন্সিলে মির্জা আব্বাসকে স্থায়ী কমিটির সদস্য নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু এতে সমস্যার কোন সমাধান হয়নি। মেয়র পদ নিয়েও দুই নেতার সমর্থকরা পরস্পর মুখোমুখি অবস্থানে আছেন। তাঁরা দু'জনই নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরছেন দলের হাইকমান্ডের কাছে। এমতাবস্থায় দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এফবিসিসিআই'র সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টুর নাম বেশ আলোচিত হচ্ছে। খোকার মনোনয়ন ঠেকাতে মির্জা আব্বাস মিন্টুকে সমর্থন করবেন, আবার মির্জা আব্বাসকে ঠেকাতে খোকাও মিন্টুকে সমর্থন করতে পারেন বলে সূত্রে জানা গেছে। দলের চেয়ারপার্সনও কোন্দল এড়াতে মিন্টুকে নির্বাচনের প্রসত্মুতি নিতে বলেছেন বলে এই সূত্র দাবি করেছে। ইতোমধ্যে আব্দুল আউয়াল মিন্টু তাঁর কাওরানবাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দলীয় ও নির্বাচনী কার্যক্রমের জন্য অফিস খুলেছেন। মহানগরের বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন তিনি। তবে ডিসিসি নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, ডিসিসি'র নির্বাচন নিয়ে বিএনপিতে দলীয়ভাবে এখনও কোন আলোচনা হয়নি। তবে শীঘ্রই দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়ে যেহেতু আমাদের প্রশ্ন আছে, সেহেতু আমরা চিনত্মা-ভাবনা করেই সিদ্ধানত্ম নেব। তবে যে সিদ্ধানত্মই নেয়া হোক, তা স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা করেই নেয়া হবে। তবে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুল আউয়াল মিন্টু জনকণ্ঠকে বলেন, বিএনপি এমন একটি শক্তিশালী দল যে, যে কোন সময় নির্বাচন করার প্রস্তুতি থাকে বিএনপির। তাছাড়া এমন কোন কারণ নেই যে, বিএনপি ডিসিসি নির্বাচন করবে না। আমি মনে করি, বিএনপি ডিসিসি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেবে। নিজের প্রার্থিতা সম্পর্কে বিএনপি চেয়ারপার্সনের এই উপদেষ্টা বলেন, আমি গত দশ বছর যাবত নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করি দল আমাকে মনোনয়ন দেবে। আর দল মনোনয়ন দিলেই আমি নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়ব। ডিসিসি নির্বাচন এবং প্রার্থিতা সম্পর্কে সাদেক হোসেন খোকা জনকণ্ঠকে বলেন, এ বিষয়ে দল সিদ্ধানত্ম নেবে। ব্যক্তিগতভাবে আমার বলার কিছু নেই। দল যে সিদ্ধানত্ম নেবে সেটাই চূড়ানত্ম। দলীয় সূত্র জানায়, নেতারা বাহ্যিকভাবে যাই বলুক, বিএনপি ডিসিসি নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছে। যে কারণে সম্ভাব্য প্রার্থীরা এবং দলীয় নেতাকর্মীরা প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। আওয়ামী লীগকে ফাঁকা মাঠে গোল করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির কয়েক নেতা।
আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির বাইরে মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু হোসেন বাবলা, চারদলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর মহানগর আমীর রফিকুল ইসলাম খানও মেয়র প্রার্থী হতে চান বলে স্ব-স্ব দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে শেষ পর্যনত্ম জোটগতভাবে লড়াই হবার সম্ভাবনা বেশি থাকায় বাবলা ও রফিকুল ইসলাম প্রার্থী নাও হতে পারেন।

No comments

Powered by Blogger.