ছাত্রদলের ৭ নারী কমী আটক, পরে মুক্তি

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশে বইমেলা উদ্বোধনের প্রাক্কালে মেলার বাইরে টিএসসিতে বিৰোভ প্রদর্শন করতে গেলে পুলিশ ছাত্রদলের ৭ নারী কর্মীকে আটক করে। পরে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপসহ বিএনপি নেতাদের উপস্থিতিতে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এক বিবৃতিতে এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পুলিশ বলেছে, ছাত্রদলের নারী কর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই তাদের আটক করা হয়েছিল। প্রত্যৰদর্শীরা জানায়, বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ছাত্রদলের কয়েক নারী কর্মী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যাম্পাসে আগমনের প্রতিবাদে টিএসসি এলাকা থেকে বিৰোভ মিছিল নিয়ে বাংলা একাডেমীর দিকে যেতে উদ্যত হয়। এদের কেউই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্রী নয়। এ সময় রাজু চত্বরে মহিলা পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং ছাত্রদলের ৭ নারী কর্মীকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। আটককৃতরা হলো- ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক সেলিনা সুলতানা নিশিতা, শওকত আরা উর্মি, সদস্য মৌসুমী নাসরিন, শাহীনুর নার্গিস, ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রদল কর্মী পপি আখতার, নাসিমা ফেরদৌসী ও ফাহিমা আখতার। ছাত্রদলের কর্মীরা অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ কর্মীরা এ সময় তাদের মারধর করে।
পরে সন্ধ্যায় বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদীন ফারম্নক, বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপি দলীয় মহিলা সাংসদ রাশেদা খানম হীরা, শাম্মী আখতার ও সৈয়দ আসিফা আশরাফী পাপিয়া শাহবাগ থানায় আসেন। তাঁদের উপস্থিতিতে আটক ছাত্রদল কর্মীদের ছেড়ে দেয়া হয়।
এ সময় বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নাল আবদীন ফারম্নক এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি অগণতান্ত্রিক আচরণ। পুলিশের সামনেই ছাত্রদলের নারী কর্মীদের ছাত্রলীগ কর্মীরা মারধর করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এডিসি নুরম্নল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রদলের নারী কর্মীরা মিছিল নিয়ে বইমেলার ভেনু্যর দিকে আসছিল। একই সময়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে একই দিকে আসছিল। মেয়েদের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
এদিকে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পারলেও শেখ হাসিনার আগমনের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসের বাইরে শাহবাগ থেকে কাটাবন পর্যনত্ম বিৰোভ মিছিল করে।

No comments

Powered by Blogger.