নারী নির্যাতন মামলার প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ৩৩ ধারা অনুসারে কেন বিধি প্রণয়নের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ ছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলার বিষয়ে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত তথ্য আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি ও অন্তর্বর্তীকালীন এই আদেশ দেন। উত্ত্যক্ত ও হয়রানি, ব্ল্যাকমেইলিং ও পর্নোগ্রাফির মতো যৌন অপরাধ থেকে নারী-শিশুদের নিরাপত্তায় বিদ্যমান আইন ও আইনি কাঠামোর বাস্তবায়ন পর্যালোচনার জন্য একটি সমন্বিত সমীক্ষা পরিচালনার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন, স্বরাষ্ট্র এবং নারী ও শিশুবিষয়ক তিন সচিবসহ বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী রিট আবেদনটি করেন। রিটের পক্ষে আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান শুনানি করেন।
পরে মোখলেছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ইতিপূর্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলাগুলো নির্দিষ্ট সময়ে নিষ্পত্তি হয়েছে কি না, না হলে সময় বাড়ানোর জন্য রেফারেন্স পাঠানো হয়েছে কি না, নির্দিষ্ট সময়ে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে কি না এবং নির্যাতিতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না—ছয় সপ্তাহের মধ্যে সে-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে মানবাধিকার কমিশন এবং নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবী সালমা আলী প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণসহ নারী নির্যাতন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ২০০০ সালের আইনের ৩৩ ধারায় বিধি প্রণয়নসহ ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য রিট আবেদনটি করা হয়।
প্রসঙ্গত, আইনের ৩৩ ধারায় বলা হয়েছে, সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য বিধি প্রণয়ন করতে পারবে।

No comments

Powered by Blogger.