জনসংলাপে তথ্যমন্ত্রী- মুক্ত ইন্টারনেট চর্চা সাংবিধানিক অধিকার সমুন্নত করে

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ইন্টারনেটে মতপ্রকাশের অধিকারকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। রাজধানীর একটি হোটেলে একটি বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা সংগঠন আয়োজিত ‘দক্ষিণ এশিয়ায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ইন্টারনেট পরিস্থিতি’ শীর্ষক জনসংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশ্বাস দেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, মুক্ত ইন্টারনেট চর্চা সাংবিধানিক অধিকার সমুন্নত করে এবং গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে সহায়ক হয়। তবে তিনি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদেরও সতর্ক হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, তথ্য পণ্য নয়, তথ্য সামাজিক বিষয়। তাই তথ্য প্রদানকারীদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য কমিশনার এম এ তাহের বলেন, ‘তথ্য চেয়ে না পেলে অভিযোগ করুন। কমিশনের কাছে তথ্য চেয়ে না পাওয়ার প্রায় ৪০০ অভিযোগ আমাদের কাছে রয়েছে এবং এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ইন্টারনেটে তথ্যের আদান-প্রদান সুশাসন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে; যা গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আহসান বুলবুল, লার্ন এশিয়া বাংলাদেশের সিনিয়র পলিসি ফেলো আবু সাঈদ খান ও লার্ন এশিয়া শ্রীলঙ্কার পরিচালক রোহান সামারাজিভা। প্রশ্নোত্তর ও মতপ্রকাশ পর্বে খুরশীদ আলম, সামিয়া আহমেদ, জাহিদ হোসেনসহ দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

No comments

Powered by Blogger.