স্টার প্রোফাইল- বড় তারকা ওয়ামব্যাচ

কয়েক বছর আগেও ফিফা বর্ষসেরা মানেই ছিল ব্রাজিলের মার্তার আধিপত্য। ২০০৬ থেকে ২০১০, টানা পাঁচবার বর্ষসেরা খেতাব জেতা মার্তা যেন অপ্রতিরোধ্যই হয়ে উঠছিলেন। তবে ২০১১ সালে তাঁর রাজত্বের অবসান হয়।
মহিলা বিশ্বকাপ জেতানো জাপানের হোমারে সাওয়া জেতেন ফিফা বর্ষসেরার খেতাব। মার্তা হন দ্বিতীয়। ২০১২ সালে বদলে যায় অনেক কিছুই। হোমারে সাওয়া কিংবা মার্তা নয়, ফিফা বর্ষসেরার খেতাব জেতেন প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের এ্যাবি ওয়ামব্যাচ। ৩২ বছর বয়সী তারকা ফরোয়ার্ড বাজিমাত করেন ৭ জানুয়ারি জুরিখের জমকালো রাতে। ২০.৬৭ শতাংশ ভোট পেয়ে ২০১২ সালের ফিফা ব্যালন ডি’অর জেতেন তিনি। দ্বিতীয় হওয়া মার্তা ভোট পেয়েছিলেন ১৩.৫০ শতাংশ। তৃতীয় হওয়া আরেক মার্কিন কন্যা এ্যালেক্স মরগান পেয়েছিলেন ১০.৮৭ শতাংশ ভোট। ফিফার তালিকাভুক্ত দেশের কোচ, অধিনায়ক ও সাংবাদিকদের ভোটে সেরাদের নির্বাচন করা হয়। ২০০২ সালে কিংবদন্তি মিয়া হ্যামের পর প্রথম মার্কিন হিসেবে ফিফা বর্ষসেরার খেতাব জেতেন ওয়ামব্যাচ। গত বছর লন্ডন অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণজয়ে অনবদ্য অবদান রেখেছিলেন ফরোয়ার্ড ওয়ামব্যাচ। মার্কিন প্রমীলা দলের স্বর্ণজয়ের পথে তিনি গোল করেছিলেন পাঁচটি। ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্র ২-১ গোলে হারিয়েছিল জাপানকে। এই জয়ে ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে জাপানের কাছে হারের মধুর প্রতিশোধ নিতে সক্ষম হয়েছিল ওয়ামব্যাচের যুক্তরাষ্ট্র। ২০০৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন ওয়ামব্যাচ। এখন পর্যন্ত ১৯৮ ম্যাচে করেছেন ১৫২ গোল। যে গতিতে এগিয়ে চলেছেন তাতে কিছুদিনের মধ্যেই ভাঙতে চলেছেন মিয়া হ্যামের রেকর্ড। সাবেক মার্কিন অধিনায়ক হ্যাম যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে রেকর্ড ১৫৮ গোল করেন।

একনজরে ওয়ামব্যাচ
পুরো নাম ॥ ম্যারি এ্যাবিগেইল ওয়ামব্যাচ
ডাক নাম ॥ এ্যাবি
মা ॥ জুডি ওয়ামব্যাচ
বাবা ॥ পিট
ভাই-বোন ॥ সাতজন (এ্যাবি সবার ছোট)।
ফুটবলে হাতেখড়ি ॥ ৪ বছর বয়সে
জন্ম তারিখ ॥ ২ জুন, ১৯৮০
জন্মস্থান ॥ রোচেস্টার, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র।
বর্তমান নিবাস ॥ হারমুসা বিচ, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
বয়স ॥ ৩২
উচ্চতা ॥ ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি
খেলোয়াড়ি পজিশন ॥ ফরোয়ার্ড
যুব ক্যারিয়ার ॥ আওয়ার লেডি মার্সি হাই স্কুল, রোচেস্টার স্পিরিট ও ইউনিভার্সিটি ও ফ্লোরিডা
সিনিয়র ক্যারিয়ার ॥ ওয়াশিংটন ফ্রিডম, ম্যাজিক জ্যাক ক্লাব
বর্তমান ক্লাব ॥ ওয়েস্টার্ন নিউইয়র্ক ফ্লাশ
জাতীয় দল ॥ যুক্তরাষ্ট্র
অভিষেক ॥ ২০০৩ সালে
ম্যাচ ও গোল (জাতীয় দল) ॥ ১৯৮ ম্যাচে ১৫২ গোল
কোচের ভূমিকায় ॥ খেলোয়াড় কাম কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ম্যাজিকজ্যাকে ২০১১ সালে
এ্যাওয়ার্ড ও সম্মাননা ॥ মার্কিন বর্ষসেরা এ্যাথলেটি ৫বার, এপি মহিলা বর্ষসেরা এ্যাথলেটি (২০১১), ২০১১ মহিলা বিশ্বকাপে রৌপ্যে বল ও ব্রোঞ্জের বুট জয়ী।
গ্রন্থনা : ফারজানা আক্তার সাথী

No comments

Powered by Blogger.