গুলিবিদ্ধ বিডিআর জওয়ানকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

সিলেটের জৈন্তাপুরে বিডিআর ও বিএসএফের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন এক বিডিআর সদস্য। গুলিবিদ্ধ ওই বিডিআর জওয়ানকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। এ নিয়ে বিকেল ৪টা থেকে জৈন্তাপুর সীমান্ত থেমে থেমে গুলিবিনিময় হচ্ছিল।
জানা যায়, সকাল ১১টায় বিডিআরের জৈনত্মাপুর ফাঁড়ির ৪ সদস্য সীমানত্ম এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় সীমানত্মের ওপার থেকে ভারতের মুক্তারপুর ফাঁড়ির কয়েক বিএসএফ প্রথমে জঙ্গলের ভেতর থেকে লুকিয়ে বিডিআরের ওপর কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় বিডিআরের নায়েক সুবেদার মজিবুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে মাঠিতে লুটিয়ে পড়েন। এ ঘটনার পর বিএসএফ সদস্যরা ওপার থেকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে বাংলাদেশের ৫০ গজ ভেতরে ঢোকে। বিএসএফের এ আগ্রাসী তৎপরতা দেখে মজিবুরের সাথে থাকা আরও তিন জওয়ান দৌড়ে জৈনত্মাপুর ফাঁড়িতে চলে আসে। আর গুলিবিদ্ধ নায়েক সুবেদার মজিবুর রহমানকে বিএসএফ সদস্যরা নিয়ে যায় ভারতে। খবর পেয়ে বিডিআরের ২১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল জহিরম্নল আলমসহ বিডিআরের উর্ধতন কর্মকর্তারা জৈনত্মাপুর সীমানত্মে চলে যান। দুপুর ১২টার দিকে বিডিআরের প থেকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু সন্ধ্যে পর্যনত্ম বিএসএফ পতাকা বৈঠকে কোন সাড়া দেয়নি। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে সীমানত্মে আবার নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় বিএসএফ এপারে বিডিআরকে ল্য করে বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ শুরম্ন করে। জবাবে বিডিআরও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। সন্ধ্যে ৬টা পর্যনত্ম উভয়পরে মধ্যে থেমে থেমে গোলাগুলি চলছিল। এদিকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ামাত্র জৈনত্মাপুর সীমানত্মের ৫টি গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সীমানত্ম লাগোয়া গ্রাম ডিবির হাওর, খনাবন্ধসহ ৫টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ভয়ে আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয়ে চলে গেছেন। সীমানত্ম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে গোয়াইনঘাট সীমানত্মে। গোয়াইনঘাটের বিভিন্ন ফাঁড়িতে বিডিআর রয়েছে সতর্ক অবস্থায়। মানুষ আছে আতঙ্কে। অন্যদিকে গতকাল বিকেলে জকিগঞ্জের বালস্না সীমানত্মে বিডিআর ও বিএসএফের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। সীমানত্মে উত্তেজনা থাকায় স্থগিত করা হয় বলে জানা গেছে।

No comments

Powered by Blogger.