নদীতে ভাসলো এমভি বসুন্ধরা লজিস্টিক-৩৩ by নাজমুল হাসান

নদীতে ভাসলো বসুন্ধরা গ্রুপের নিজস্ব শিপইয়ার্ডে তৈরি আন্তর্জাতিক মানের জাহাজ এমভি বসুন্ধরা লজিস্টিক-৩৩। বৃহস্পতিবার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের
কাটুয়াইল শিপাইয়ার্ডে আড়াইহাজার মেট্রিক টন ধারনক্ষমতার জাহাজটিকে পানিতে ভাসানো হয়।
একই মানের আরো ১২ টি জাহাজ তৈরি কাজ চলছে এই শিপইয়ার্ডে। যার নির্মাণ শেষ পর্যায়ে।  যেগুলো নদীতে ভাসার অপেক্ষায় রয়েছে।

শিপইয়ার্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ইন্টারন্যাশনাল ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি রীনা (জওঘঅ) কর্তৃক মান নিয়ন্ত্রিত আড়াই হাজার মেট্রিন টন ধারনক্ষমতার বসুন্ধরা লজিস্টিটক-৩৩ জাহাজটি নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি। জাহাজটির নির্মাণ ব্যয় আনুমানিক ১০ কোটি টাকা বলেও জানান তারা।
Bsundhara-ship
জাহাজের মাপ ৭২ মিটার দৈর্ঘ, ১৩.৫ মিটার প্রস্থ ও ৪.৭ মিটার গভীর। দেশীয় প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড নেভাল আর্কিটেক্ট জাহাজটি মুল ডিজাইন করে। নকশা অনুমোদন ও কার্য প্রণালী ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ করে রিনা।

নির্মাণাধীন আরও ১২টি  জাহাজ চলতি বছরেই পানিতে ভাসবে বলে প্রত্যাশার কথা জানান কর্মকর্তারা। এর আগে ২০১১ সালের ১২ নভেম্বর অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বসুন্ধরা লজিস্টিক-৩৫ পানিতে ভাসানো হয়েছিল। সেটি এখন চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায় মাদার ভেসেল থেকে দেশের অভ্যন্তরে মালামাল পরিবহন করছে। লজিস্টিক স্টাইলের এ জাহাজগুলো মুলত বসুন্ধরা গ্রুপের নিজস্ব মালামাল বহনের কাজেই ব্যবহৃত হবে। তবে প্রয়োজনের সময় এগুলো দেশে বিদেশে ভাড়ায় চালিত হতে পারে।

২০০২ সালে কেরানীগঞ্জের কাটুয়াইলে বস্ুন্ধরা স্টিল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং শিপইয়ার্ড প্রতিষ্ঠা হয়। জন্মলগ্ন থেকেই এখানে বৃহৎ দুটি ১৮শ মেট্রিক টন ক্ষমতাসম্পন্ন বসুন্ধরা লজিস্টিক ২১ ও ২২, ক্ষুদ্র ৩৫টি বালুবাহি নৌযান, ১০ টি ড্রেজার নির্মিত হয়েছে। এছাড়া ২২ ইঞ্চি কাটার সাকশন ড্রেজার সংযোজন করা হয়েছে। ২০০৫ সালে এই শিপইয়ার্ড থেকে ২টি ড্রেজার নির্মিত হয়ে নাইজেরিয়াতে রপ্তানি করা হয়।

বসুন্ধরা স্টীল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের হেড অব ডিভিশন ক্যাপ্টেন এস এম শাহ আলম বাংলানিউজকে জানান, লজিস্টিক প্রকৃতির এরকম একটি জাহাজ বিদেশে তৈরি করতে ৫০ কোটি টাকা লাগতে পারে। যা বসুন্ধরা শিপইয়ার্ড আনুমানিক ১০ কোটি টাকায় নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে।

মুলত এ জাহাজগুলোতে সিমেন্ট ক্লিংকার ও গম  বহন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএসইএল এ নির্মিত জাহাজগুলো বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকাসহ এশিয়া মহাদেশের সর্বত্র চলাচল করতে পারবে।  বসুন্ধরা শিপইয়ার্ড মান সম্পন্ন এ জাহাজ সম্পূর্ণ নিজস্ব  প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মাণ করছে।

লজিস্টিক স্টাইলের এ জাহাজ ৫০ টির অর্ডার নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ক্যাপ্টেন এস এম শাহ আলম বলেন, এর মধ্যে একটি জাহাজ নির্মিত হয়ে মালামাল বহনের কাজ করছে, একটি বৃহস্পতিবার নদীতে ভাসলো, ১২ টির নির্মান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে ও বাকী ৩৬ টি জাহাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.