ধর্ষণের দায়ে মৃত্যুদণ্ড

সম্প্রতি রাজধানীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৫ একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলার গার্মেন্টস মালিকসহ দুজনকে মৃত্যুদ- দিয়েছে। সোমবার ট্রাইব্যুনাল-৫-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোঃ মাজেদুল ইসলাম এই মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন গার্মেন্টস মালিক নজরুল ইসলাম ও মোস্তফা। তারা দুজনেই পলাতক। আদালত একই সঙ্গে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের অতিরিক্ত ১০ লাখ টাকা করে জরিমানার কথা উল্লেখ করে। এই টাকা আদায় করে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এই মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সচেতন মানুষ মাত্রই খুশি।
প্রায়শই পত্রিকায় ধর্ষণের খবর পাওয়া যায়। মহিলা পরিষদের আইন সহায়তা শাখার এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, দেশে ২০১২ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭৭১ নারী। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৫৭ জন এবং ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১০৬ জনকে।
গণতান্ত্রিক দেশটিতে যখন নারী গণধর্ষণের শিকার হয়, তখন ঘৃণা-লজ্জার সীমা থাকে না। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, যারা এ ধরনের পাশবিক কাজ করে তারা কি মানবিক বোধসম্পন্ন? আইনের প্রতি যদি মানুষের ভয় বা শ্রদ্ধা থাকত, তবে সে এমন নৃশংস কাজ করতে পারত না। মালিক হয়ে কেউ যদি কর্মচারী অসহায় নারীদের ধর্ষণ-হত্যা করে। এর চেয়ে দু:খজনক আর কি হতে পারে।
জানা গেছে, এই চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ ও হত্যা মামলাটি প্রায় দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছিল। দেশে ধর্ষণ কমছে না এটা দুর্ভাগ্যজনক। যেদিন ধর্ষণের দায়ে দু’জনের ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হলা, তার আগের দিন নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পল্লীতে এক যুবতীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরে ভাইকে আটক রেখে বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এভাবে আর কতকাল? আর কতকাল নারীদের জীবন ও সম্মান নিয়ে এই ধরনের পাশবিক কাজ চলবে।

No comments

Powered by Blogger.