আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো

একুশ বাঙালীর স্পর্ধিত অহঙ্কার। একুশের চেতনা বাঙালীকে অন্যায়ের বিরম্নদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শিখিয়েছে। বায়ান্নর এই ফেব্রুয়ারিতেই বাংলা ভাষা বিরোধী পশ্চিমা জল্লাদদের খড়গ কৃপাণের তলে দাঁড়িয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা বুক পেতে দিয়ে দৃপ্ত কণ্ঠে 'কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি' বলে সাহসের অবিনাশী সংজ্ঞা রচনা করে গেছেন।
নানা স্রোতের টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে যায় একুশে ফেব্রুয়ারির নানা প্রস্তুতি। একদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদের তৎপরতা, অন্যদিকে সর্বদলীয় পরিষদের বৈঠক, আলোচনা, সিদ্ধান্ত ইত্যাদি। এ সময় ৬ ফেব্রম্নয়ারি মোগলটুলীর অফিসে মওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে সর্বদলীয় পরিষদের যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, ভাষাসৈনিক আব্দুল মতিনের মতে সেখানে ১১ থেকে ১৩ ফেব্রম্নয়ারি পতাকা দিবস পালনের বিষয়টি বিবেচিত হয়। উদ্দেশ্য, আন্দোলনের জন্য অর্থ সংগ্রহ। এই সঙ্গে ১৪৪ ধারা জারির সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়। এখনও কেউ জানে না, সেই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরপাড়ে ছাত্রদের আরেকটি গোপন সভা হতে যাচ্ছে। জানে না, একুশে ফেব্রম্নয়ারির বৈঠকে কি আহ্বান জানানো হবে, জানে না, পুলিশের গুলিতে ঝাঁজরা হতে যাচ্ছে কয়েকজনের দেহ, যাঁরা পরবতর্ীতে ভাষা শহীদের মর্যাদা পাবেন। এসব বীর শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ফেব্রম্নয়ারি মাস এলেই রাজধানীসহ সারাদেশে আয়োজন করা হয় নানা অনুষ্ঠানের। এ উপলৰে বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে একুশের বইমেলার মূল মঞ্চে 'ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস কথা : ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৩' শীর্ষক আলোচনাসভায় আজ শনিবার আলোচিত হবে ভাষা শহীদ আবুল বরকতকে নিয়ে। এতে সভাপতিত্ব করবেন রাহাত খান। প্রবন্ধ পাঠ করবেন পাপড়ি রহমান। আরও আলোচনা করবেন নুরম্নল করিম নাসিম ও আইনউদ্দিন বরকত।

No comments

Powered by Blogger.