এক গর্বিত পিতার গল্প

শরিফ উদ্দিন ম-ল। এক গর্বিত পিতা। সনত্মান উচ্চশিা নিয়ে সরকারী কোন চাকরি বা ব্যবসায়ী হয়নি এ জন্য তাঁর মনে ােভ বা দুঃখ নেই। বন্ধুদের প্রশ্নের উত্তরে মোঃ শরিফ উদ্দিন ম-ল বলত আমার ছেলে চাকরি করে না, দেশের কাজ করে, রাজনীতি করে।
আমার ছেলেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে চেনে। আমার ছেলে রাজনীতি করে সেজন্যই তার পরিচিতি দেশবাসীর কাছে হয়েছে। আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জননেত্রী শেখ হাসিনা কতর্ৃক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হওয়ায় তার পিতা টেলিফোন এ্যান্ড টেলিগ্রাফ বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা মোঃ শরিফ উদ্দিন ম-ল গর্ব করে বলেন, আমি আমার সনত্মানকে ছোটবেলা থেকেই গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। সাড়ে ৩ বছর বয়স যখন তখন থেকেই দেশের ভৌগোলিক অবস্থান, দেশ-বিদেশের নানা বিষয়ে গল্প করে তার শিশু মনকে গঠন করেছি। ঢাকায় চাকরির সুবাদে মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পল্টনে তৎকালীন ছাত্রনেতাদের জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবসে সাড়ে ৩ বছর বয়সের পুত্র আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকে কাঁধে নিয়ে পিতা মোঃ শরিফ উদ্দিন পল্টনে যান। তারপর যান ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে। জনাকীর্ণ বঙ্গবন্ধুর বাড়িতেই প্রথম বঙ্গবন্ধুকে দেখে স্বপন। এ সময় বিশ্বখ্যাত সাংবাদিক বিবিসির মার্ক টালি সাড়ে ৩ বছরের শিশু স্বপনকে বাবার কাঁধে করে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে দেখে আবেগ আপস্নুত হয়ে শিশু স্বপনের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। ছাত্রজীবনে স্কাউটিংয়ে পারদর্শী হওয়ায় দেশের সাত স্কাউটারের একজন হয়ে ভারতের বিহার রাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কাউটের সম্মেলনে অংশ নিলে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন গর্বিত পিতার সনত্মান স্বপন। শরিফউদ্দিন মন্ডল বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমার ছেলেকে চেনেন। তাকে ভালবাসেন, স্নেহ করেন এবং রাজনীতির শীর্ষস্থানে নিয়ে দেশের কাজ করার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমার ছেলে সরকারী কোন বড় আমলা হয়নি, কোন বড় ব্যবসায়ী হয়নি তাতে আমার কোন দুঃখ নেই। আমার ছেলে দেশসেবা করে, রাজনীতি করে এটাই আমার গর্ব, এটাই আমার অহঙ্কার।
_তপন কুমার খাঁ, জয়পুরহাট

No comments

Powered by Blogger.