বাকি খুনীদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হবে- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। তাদের ফিরিয়ে এনে রায় বাস্তবায়ন করা হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনীদের বিচারের রায় কার্যকর হওয়ার পর শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের মাজার জিয়ারত করতে আসেন। সকাল সোয়া ১১টায় তিনি ঢাকা থেকে সরাসরি টুঙ্গিপাড়া আসেন। টুঙ্গিপাড়া পেঁৗছেই তিনি বঙ্গবন্ধরু সমাধি সৌধের বেদির সামনে গিয়ে দাঁড়ান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কবরের বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে বিশেষ মোনাজাত ও ফাতেহা পাঠ করেন। রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি তাঁর বোন শেখ রেহানা, চাচাত ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, ভাতিজা ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস এমপিকে নিয়ে পুনরায় মোনাজাত করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর বোন শেখ রেহানা অশ্রম্নসজল ছিলেন। এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় এ সময়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানাকে এ সময় আবেগপ্রবণ ও অশ্রম্নসিক্ত দেখাচ্ছিল। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব) মোঃ ফারম্নক খান, যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, ভূমি মন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব) তারেক আহম্মেদ সিদ্দিকী, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোঃ আব্দুলস্নাহ, উপদেষ্টাম-লীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, শেখ কবির হোসেন, মোহাম্মদ আলী খান আবু মিয়া, মাহাবুব আলী খান, শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু, বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, সোলায়মান বিশ্বাস, রবিউল আলম সিকদার, আব্দুল হালিম শেখ, ইলিয়াস হোসেন সরদার, আবুল বসার খায়ের, বেগম ফজিলাতুন্নেছা, এ্যাডভোকেট কাজী আবদুর রশীদ, এ্যাডভোকেট ইদ্রিস আলী মোলস্না, কাজী মেজবাহ উদ্দিন, শাহ আক্রাম জাফর, কাজী লিয়াকত আলী, সৈয়দ নজরম্নল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ ইউসুফ আলী এবং এ্যাডভোকেট সুভাষ জয়ধর উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ভবনে তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকা টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতাকমর্ী ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের বিচারের রায় দ্রম্নত কার্যকর করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বাকি খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার দাবি তোলেন। তাদের আশ্বসত্ম করে বলেন, সরকার খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বাকিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় বাসত্মবায়ন করা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, দণিাঞ্চল বিগত ৭ বছর অবহেলিত ছিল। কিন্তু আমরা দেশের কোন অঞ্চলকে অবহেলিত রাখতে চাই না। সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের সব এলাকাকে উন্নত করে তোলা হবে। তিনি বলেন, চাকরির েেত্র চারদলীয় জোট সরকার যে অনিয়ম-দুনর্ীতি করেছে, আমরা তা করতে চাই না। যোগ্যতার ভিত্তিতে দেশের নাগরিকদের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। কৃষিভিত্তিক পরিবেশবান্ধব শিল্প-কলকারখানা গড়ে তুলে নতুন নতুন আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। পড়ে থাকা মজা ডোবা ও পুকুর পরিষ্কার করে মাছ চাষ করতে তিনি যুব সমাজকে পরামর্শ দেন। তিনি এ দিন গোপালগঞ্জ জেলা ছাড়া ও বাগেরহাট, খুলনা, নড়াইল, মাদারীপুর জেলার নেতাকমর্ীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন। বাদ জুমা সমাধিসৌধ মসজিদে বঙ্গবন্ধু পরিবারের পৰ থেকে মিলাদ ও শোকরানা দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা যোগ দেন। বেলা সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করেন।

No comments

Powered by Blogger.