মেডিকেল বোর্ড গঠনঃ আগের চেহারা পাবেন না এসিডদগ্ধ আঁখি

এসিড সন্ত্রাসের শিকার ইডেন কলেজের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী শারমিন আখতার আঁখির সুচিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক)  হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেনকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট এ মেডিকেল বোর্ড গঠন করা করা হয়।
বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মঙ্গলবার রাজধানীর চানখারপুল কাজী অফিসে আঁখিকে কোপানোর পর তাকে এসিড নিক্ষেপ করেন মনির উদ্দিন ও মাসুম নামক দুই যুবক। আ‍ঁখি বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ৫ম তলায় স্টাফ কেবিনে চিকিৎসাধীন।

ডা. সামন্ত লাল সেন বাংলানিউজকে জানান, “বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তবে এসিডে ঝলসে যাওয়া ক্ষতের পরিমাণ বেশি হওয়ায় মেয়েটি আর আগের চেহারায় ফিরে যেতে পারবেন না। এ ধরনের অবস্থাকে আমরা ‘ডিপ বার্ন’ বলে থাকি।”

তিনি আরও জানান, মেয়েটির সম্পূর্ণ সুস্থ হতে দেড় থেকে দু’মাস লেগে যেতে পারে।

ডা. সামন্ত অারও জানান, “আগামী সপ্তাহে তার কয়েক ধরনের অস্ত্রোপচার করা হবে।”

মেয়েটি এখনও আশঙ্কামুক্ত নয় বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাঁনখার পুলে কাজী অফিসের ভেতরে আঁখিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পর এসিড নিক্ষেপ করেন তাকে জোর করে বিয়ে করতে চাওয়া মনির উদ্দিন ও তার সহযোগী মাসুম। পুলিশ খবর পেয়ে আঁখিকে এসিডদগ্ধ অবস্থায় কাজী অফিসের নিচতলা থেকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করে। আঁখিকে এসিড নিক্ষেপকারী মনির উদ্দিন ও মাসুমকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

আ‍ঁখির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে উল্লেখ করে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,  তার শরীরে চারটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। তার ডান চোখের কর্নিয়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বুধবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও বৃহস্পতিবার স্থানীয় এমপি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন এমপি আঁখিকে দেখতে ঢামেক হাসপাতালে আসেন। তারা আঁখির চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। বুধবার বিকেলে ইডেন  কলেজের সামনে আঁখিকে এসিডদগ্ধ করার প্রতিবাদ  এবং এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে এসিড সারভাইবার্স ফাউন্ডেশন ও ইডেন কলেজর সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

No comments

Powered by Blogger.