রাষ্ট্রের জমিতে ব্যবসা- * রাজধানীর ভাসানটেকে রাষ্ট্রের ৫০০ কোটি টাকার জমি নিয়ে ব্যবসা করছে নর্থ-সাউথ প্রপার্টি- * সরকারের সঙ্গে সব চুক্তি ভঙ্গ করা হয়েছে- * চুক্তিতে বসত্মিবাসী ও দরিদ্ররা ফ্যাট পাবে বলা হলেও তা মানা হয়নি by মামুন রশীদ

বসত্মিবাসী ও নিম্নবিত্তদের পুনর্বাসনের নামে রাজধানীর অদূরে ভাষানটেকে রাষ্ট্রের ৫০০ কোটি টাকার জমি নিয়ে জমজমাট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে নর্থ সাউথ প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লি. (এনএসপিডিএল) নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
সরকারের সাথে চুক্তির সকল শর্ত ভঙ্গ করে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ অর্থ আদায়ের মাধ্যমে এনএসপিডিএল গরিব মানুষের শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে বসত্মিবাসী এবং নিম্নবিত্তদের পুনর্বাসিত হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে। তবে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এনএসপিডিএলের এহেন কর্মকা-ে বাদ সেধেছে। ভূমি মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে এনএসপিডিএলকে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাড়তি অর্থ না দেয়াসহ ব্যাংক ছাড়া অন্য কোন মাধ্যমে টাকা লেনদেন না করার জন্য ভাষানটেক প্রকল্পের গেটে একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি টানায়। একই সাথে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলার জন্য দু'হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়। মন্ত্রণালয়ের এমন পদৰেপ গ্রহণের পর ভূমি মন্ত্রণালয়ের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির পাশেই এনএসপিডিএল আরেকটি সাইনবোর্ড লটকে দেয়। এতে ভূমি মন্ত্রণালয় ভাষানটেক প্রকল্পে কোন অর্থ বিনিয়োগ করেনি বলে উলেস্নখ করা হয়। সাইনবোর্ডটিতে লেখা হয় এনএসপিডিএল এবং মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কোনরকম সমস্যা দেখা দিলে চুক্তি অনুযায়ী তা সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে নিরসন করতে হবে। কিন্তু মন্ত্রণালয় সালিশি বৈঠককে পাশ কাটিয়ে ভাষানটেক প্রকল্পের ৰতি করার চেষ্টা করছে। একই স্থানে দু'ধরনের প্রচারে সাধারণ মানুষ বিভ্রানত্ম হচ্ছে। সম্প্রতি ওই প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে ক্রেতারা ফ্যাটের কিসত্মি দিচ্ছে এবং নতুন ফ্যাটের জন্য বুকিংও দিচ্ছে। তবে গত বুধবার থেকে প্রকল্প এলাকায় গিয়ে ফ্যাট ক্রেতাদের অভিযোগ শুনতে শুরম্ন করেছে প্রকল্প পরিচালক উপপ্রধান পুণ্য পদক চৌধুরী।
শুরম্নর কথা ।। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশিস্নষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে উচ্ছেদ হওয়া বসত্মিবাসী এবং নিম্নআয়ের মানুষের আবাসন সমস্যা দূর করার লৰ্যে ১৯৯৮ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ৫ বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প গ্রহণ করে এবং ওই বছরই প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন দেয়। প্রকল্পটি বাসত্মবায়নের জন্য সরকার রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় ৪৭ দশমিক ৯০ একর (প্রায় ১৫০ বিঘা) জমি বরাদ্দ দেয় এবং সেই জমির ওপর ১৫ হাজার ২৪টি ফ্যাট নির্মাণের জন্য আগ্রহী বেসরকারী ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করে ভূমি মন্ত্রণালয়। তিন দফা টেন্ডার আহ্বানে তেমন সাড়া না পেলেও চতুর্থ দফায় তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রসত্মাব জমা দেয়। এর মধ্যে নর্থ-সাউথ প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লি. (এনএসপিডিএল) নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচনের সুপারিশ করে প্রকল্পের কারিগরি কমিটি। সুপারিশের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে ২০০৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর এনএসপিডিএলের সঙ্গে সরকার একটি চুক্তি স্বাৰর করে। এরপর ২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে কোম্পানিটিকে ১৫০ বিঘা জমির দখল বুঝিয়ে দেয় সরকার।
শুরম্ন থেকেই ব্যবসা ।। সরকারের সাথে এনএসপিডিএল-এর চুক্তির প্রথম পৃষ্ঠায় লেখা আছে বসত্মিবাসীদের উদ্যোগ, বেসরকারী বিনিয়োগ এবং সরকারের ভূমি এই তিনের সমন্বয়ে প্রকল্পটি বাসত্মবায়ন করা হবে। এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হবে বসত্মিবাসী এবং নিম্ন আয়ের মানুষকে পুনর্বাসন করা। তবে এনএসপিডিএল শুরম্ন থেকেই শর্ত ভঙ্গ করে প্রকল্পটিকে ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে শুরম্ন করে। ফ্যাটের অতিরিক্ত কাজ, মসজিদ নির্মাণ, রেজিস্ট্রেশনসহ নানা অজুহাতে দফায় দফায় ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে। তবে এখন পর্যনত্ম এসব কাজের কোনটিই করতে পারেনি এনএসপিডিএল। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছে, প্রকল্প এলাকায় পানি, বিদু্যত এবং সিকিউরিটি প্রদান নিয়েও ব্যবসা করছে এনএসপিডিএল। যে পরিমাণ ইউটিলিটি চার্জ নেয়া হচ্ছে সে টাকায় ভাষানটেকে একই আয়তনের ফ্যাট ভাড়া পাওয়া যায়। তবে এখন এনএসপিডিএল-এর ব্যবসা চরম পর্যায়ে পেঁৗছেছে। চুক্তিতে 'বি' টাইপ ফ্যাটের নির্ধারিত মূল্য ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকার স্থলে ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং 'এ' টাইপ ফ্যাটের মূল্য ২ লাখ টাকার স্থলে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। প্রকল্পে সুবিধাভোগী নির্ধারণের চূড়ানত্ম ৰমতা ভূমি মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকলেও এনএসপিডিএল সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে আগ্রহী যে কারও কাছেই ফ্যাট বুকিং দিচ্ছে। ৪৫ দিনের মধ্যে অর্থ পরিশোধ করলে ফোর পছন্দের লোভনীয় অফারও দেয়া হচ্ছে।
চুক্তিপত্রে যা আছে ।। চুক্তিপত্রের ২ দশমিক ৫ ধারায় স্পষ্ট করে বলা আছে 'দ্বিতীয়পৰ (নির্মাণ কোম্পানি) ইমারত নির্মাণের কৌশলে যে কোন আধুনিক ধারণাকে ব্যবহার করিতে পারিবে, যেমন_ হলোব্রিক, হলোবস্নক, সিলিং বস্নক, বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউশন ও বুয়েট কতর্ৃক উদ্ভাবিত যে কোন নির্মাণসামগ্রী। তবে এই ৰেত্রেও কোন বাড়তি ব্যয় সুবিধাভোগীদের ওপর দ্বিতীয়পৰ আরোপ করিতে পারিবে না।' তা সত্ত্বেও এসব দুস্থ পরিবারের কাছ থেকে অতিরিক্ত ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে।
চুক্তিপত্রের ৪ দশমিক ১২ ধারায় বলা আছে 'প্রকল্প নির্মাণ ব্যয় কমবেশি যাহাই হোক না কেন, কোন অবস্থাতেই সুবিধাভোগীদের নিকট হইতে নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্য দ্বিতীয় পৰ দাবি করিতে পারিবে না।'
প্রকল্পের বিভিন্ন সুবিধাদির সঙ্গে অত্যাধুনিক মসজিদের ব্যাপারে চুক্তিপত্রের ৫ দশমিক ১৫ ধারাতে বলা হয়েছে, 'ফায়ার ব্রিগেড, সিকিউরিটি ব্যারাক, পুলিশ ফাঁড়ি নির্মাণের ব্যয় সংশিস্নষ্ট সরকারী সংস্থা বহন করিবে এবং মসজিদ নির্মাণের ব্যয় দ্বিতীয়পৰ (নির্মাণ কোম্পানি) বিভিন্ন দাতা ব্যক্তিদের নিকট হইতে প্রাপ্ত অর্থের মাধ্যমে বহন করিবে। তবে চুক্তির এসব শর্তের কোন কিছুই মানছে না এনএসপিডিএল।
চুক্তিতেই গরমিল ।। এনএসপিডিএল চুক্তির শর্তভঙ্গ করলে চুক্তি বাতিল হবে এমন কোন বিধান নেই। চুক্তির বিভিন্ন ধারায়ও এনএসপিডিএল'র স্বার্থরৰার চেষ্টা করা হয়েছে। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে এনএসপিডিএলকে একতরফা সাহায্য দিতে চুক্তিটি সম্পাদন করেছিল বলে অভিযোগও রয়েছে। টাকা সংগ্রহ, আবেদনপত্র বাছাই ও প্রকল্প বাসত্মবায়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরকারের সংশিস্নষ্ট কতর্ৃপৰের কোনরকম সম্পৃক্ততা না থাকায় এককভাবে এনএসপিডিএল'র হাতে সর্বময় ৰমতা তুলে দেয়া হয়েছে। এনএসপিডিএলকে ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্পের মধ্যে ৩০ মেগাওয়াট ৰমতাসম্পন্ন একটি বিদু্যত কেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তারা এই কেন্দ্রে বিদু্যত উৎপাদনের পর তা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রকল্প এলাকায় বিক্রি করবে। এ ৰেত্রে বিদু্যতের মূল্যও নির্ধারণ করবে তারাই। এমন সুযোগ দেশের আর কোথাও নেই। এছাড়া প্রকল্প এলাকায় বহুতল বাণিজ্যিক ভবন কাম মার্কেট, একাধিক স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, কমিউনিটি সেন্টার, ব্যাংক, সিনেমা হল ইত্যাদি নির্মাণের পর সেগুলো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে অনির্দিষ্টকাল পরিচালনা করবে তারা। অর্থাৎ সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে পাওয়া ৫শ' কোটি টাকার জমিতে ১৫ হাজার ২৪টি ফ্যাট বিক্রির মধ্যেই তাদের ব্যবসা সীমাবদ্ধ নয়, বরং বিদু্যত কেন্দ্র, মার্কেট, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, কমিউনিটি সেন্টার ইত্যাদির মাধ্যমে অনির্দিষ্টকাল ধরে তারা একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ পাচ্ছে।
বর্তমান অবস্থা ।। এনএসপিডিএল তাদের একক কর্তৃত্ব চালাতে থাকলে বাদ সাধে ভূমি মন্ত্রণালয়। তবে সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে এনএসপিডিএল হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে ২০০৬ সালে হাইকোর্ট এক আদেশে বলে, সরকার এনএসপিডিএল'র কার্যক্রমে কোন বাধা দিতে পারবে না। এবং তার সুনাম ৰুণ্ন হয় এমন কোন কাজও করতে পারবে না। তবে তখন রহস্যজনক কারণে ভূমি মন্ত্রণালয় নীরব ভূমিকা পালন করে। গত বছর রিটের পূর্ণাঙ্গ শুনানির পর হাইকোর্ট ভূমি মন্ত্রণালয়ের পৰে রায় প্রদান করে। পরে এনএসপিডিএল বিষয়টি নিয়ে সুপ্রীমকোর্টে দৌড়ালেও আদালতের রায় তাদের পৰে নিতে পারেনি। এনএসপিডিএলকে গত ৩১ জানুয়ারি মন্ত্রণালয় থেকে শোকজ করা হয়েছে। এতে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করার দায়ে কেন তাদের বিরম্নদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোঃ আওলাদ আলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি সালিশি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ভূমি সচিব গত সোমবার ভাষানটেক প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। বুধবার থেকে প্রকল্প পরিচালক ভুক্তভোগীদের অভিযোগ শুনতে শুরম্ন করেছেন। বুধবারই লিখিতভাবে শতাধিক ব্যক্তি তাদের অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। সরেজমিন প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে পুরো ভাষানটেক নিয়ন্ত্রণ করে এনএসপিডিএল। এখানে কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে হলে নাম ঠিকানার সাথে মোবাইল নম্বরেরও রেকর্ড রাখা হয়। এছাড়া কোন যায়গায় ৩ থেকে ৫ জন মানুষ একত্রিত হলেই সেখানে এনএসপিডিএল-এর নিরাপত্তা কর্মীরা গিয়ে হাজির হয়।
ভুক্তভোগীরা যা বললেন ।। এনএসপিডিএল-এর অপকর্ম তুলে ধরে (প্রসত্মাবিত) ফ্যাট মালিক সমিতির সভাপতি আজগর আলী বলেন, তাদের কাছ থেকে দফায় দফায় নির্ধারিত মূল্যের বাড়তি অর্থ আদায় করা হয়েছে। এখও তাদের ফ্যাটের মালিকানা বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। এখানে হাজি আব্দুর রহিম ছাড়া অন্য কারও আইন চলে না। এসব নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে নানাভাবে নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করা হয়। অপর ভুক্তভোগী জুবেরী আহমেদ জানান, সরকারের চুক্তিতে যে ইউটিলিটি চার্জ ধার্য করা রয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এখানে তাদের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকার বেশি ইউটিলিটি চার্জ আদায় করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা কামাল হোসেন জানান, তাঁদের কাছ থেকে ফ্যাটের বাড়তি কাজ বাবদ অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা নেয়া হলেও কোন বাড়তি কাজ করা হয়নি।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য ।। ভাষানটেক প্রকল্প নিয়ে বুধবার ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হিরার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালকের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। পরে এ বিষয়ে ভূমি সচিব মোঃ আতাহারম্নল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, সরকারের চেয়ে ৰমতাধর কেউ নয়। সরকারের মধ্যে আরেকটা সরকার থাকতে পারে না। ভূমি মন্ত্রণালয় যে কোন প্রক্রিয়ায় এ সমস্যার সমাধান করবেন বলে তিনি জানান। প্রকল্প পরিচালককে ৭ জানুয়ারি পর্যনত্ম ভাষানটেক গিয়ে সুবিধাভোগীদের অভিযোগ শুনতে বলা হয়েছে। আগামী ৯ জানুয়ারি এনএসপিডিএল-এর কর্মকর্তাদের মন্ত্রণালয়ে ডাকা হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির পাশের সাইনবোর্ডটি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে উলেস্নখ করে তিনি বলেন, সরকার বিষয়টিকে অত্যনত্ম গুরম্নত্বের সাথে দেখছে। প্রকল্পের পরিচালক উপপ্রধান পুণ্য পদক চৌধুরী বলেন অতীতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের গাফিলতির কারণে ভাষানটেক প্রকল্পে অনেক সমস্যা জট পাকিয়ে গেছে। কিন্তু এখন সরকার বসত্মিবাসী এবং নিম্নবিত্তদের স্বার্থ উদ্ধারের বিষয়ে আনত্মরিক।
এনএসপিডিএল'র বক্তব্য ।। এ বিষয়ে এনএসপিডিএল'র বক্তব্য জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হাজি আব্দুর রহিম বলেন, প্রকল্পটি অনেক আগের। যেহেতু ভূমি মন্ত্রণালয় এ প্রকল্পে কোন অর্থ বিনিয়োগ করেনি তাই এ প্রকল্পর দায় দায়িত্ব এনএসপিডিএল'র। তিনি বলেন, সরকারের সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাথে কোন বিরোধ দেখা দিলে তা সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে নিরসনের বিধান রয়েছে। কিন্তু এ ৰেত্রে তারা কোন বিধান মানছে না। তিনি আরও বলেন, আমরা যৌথভাবে এসব বিষয় নিয়ে ইতোপূর্বে ভূমি মন্ত্রণালয়কে চারটি চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তাদের পৰ থেকে ইতিবাচক কোন সাড়া দেয়া হয়নি। ফ্যাটের মূল্য বেশি নেয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০০৩ সালের তুলনায় এখন জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরাও মূল্য বৃদ্ধি করেছি। এতে চুক্তি লঙ্ঘিত হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না আমরা নিজেরাই মূল্য বৃদ্ধির জন্য ফ্যাটের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করতে পারি।

No comments

Powered by Blogger.