প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকে রোখার আহ্বানে শুরু হলো পথনাট্যোসব- সংস্কৃতি সংবাদ

বাংলাদেশ গ্রম্নপ থিয়েটার ফেডারেশনের উদ্যোগে সোমবার থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুরম্ন হয়েছে জাতীয় পথনাট্যোৎসব ২০১০। সপ্তাহব্যাপী এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিৰাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
কেরামত মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন নাট্যজন নাসির উদ্দিন ইউসুফ, মান্নান হীরা, ঝুনা চৌধুরী, হাসান আরিফ প্রমুখ।
উৎসবের উদ্বোধন করে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সমাজের মধ্যে, রাষ্ট্রের মধ্যে এখনও আমরা প্রতিক্রিয়াশীলতার নানা নিদর্শন দেখছি। এটি গুরম্নতর একটি ব্যাধি। আমরা জানি এর পেছনে কারা অছেন। ১৯৭১ সালে আমরা তাদের তীব্রভাবে প্রত্যাৰ্যান করেছিলাম। তাদের রাষ্ট্রকে আমরা মেনে নেইনি। আমরা নতুন সমাজ গড়তে চেয়েছিলাম। এমন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলাম যেটি হবে সমাজতান্ত্রিক। তিনি আৰেপ করে বলেন, স্বাধীনতার পর লম্বা সময় পার হয়ে গেলেও, সেটা আমরা সম্ভব করে তুলতে পারিনি। রাষ্ট্র না বদলালে এটি সম্ভব হবে না। পুঁজিবাদী ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ কারণেই বেকারত্ব বাড়ে। ছেলে মেয়েরা অন্যায় পথে ধাবিত হয়। অবস্থাটির পরিবর্তনে নাটক গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে উলেস্নখ করে তিনি বলেন, এ জন্য নাট্যকমর্ীদের আরও জোর পদৰেপে এগিয়ে আসতে হবে।
সর্বসত্মরে বাংলা ভাষা চালুর দাবি পুনর্ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, রেডিও টিভিসহ নানা মাধ্যমে এখন বাংলা ভাষার বিকৃতি হচ্ছে। আমরা ভাষার বিকাশে বিশ্বাসী তাই বলে এর যাচ্ছেতাই রকমের ব্যবহার মেনে নিতে পারি না।
অনুষ্ঠানে পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরা বলেন, পথনাটক শিল্পের জন্য, সমাজের জন্য কাজ করছে। সপ্তাহব্যাপী উৎসবে সকলকে নাটক দেখারও আমন্ত্রণ জানান তিনি।
সন্ধ্যায় মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের 'জনৈক মুক্তিযোদ্ধার সচিত্র প্রতিবেদন' নাটকটির মধ্য দিয়ে শুরম্ন হয় উৎসব। একই দিন নাট্যদল অপেরা 'মিরপুর মুক্তির পালা' ও ভাস্কর পরিবেশন করে 'অন্ধ' নাটকটি। দ্বিতীয় দিনে আজ মঙ্গলবার ভিশন থিয়েটার, ইউনিভার্সাল থিয়েটার, বর্ণমালা গ্রম্নপ থিয়েটার, মুক্তমঞ্চ থিয়েটার ও সাত্তি্ব্বক নাট্য সম্প্রদায় উৎসবে নাটক পরিবেশন করবে।
ঢাকা ছাড়াও, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে এ উৎসব চলবে পুরো ফেব্রম্নয়ারি মাস জুড়ে।

বাইস কাদিরের চিত্রকলা প্রদর্শনী দৃকে শুরম্ন
শিল্পী বাইস কাদিরের একক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী সোমবার থেকে দৃক গ্যালারিতে শুরম্ন হয়েছে। বিকেলে এর উদ্বোধন করেন শিৰামন্ত্রী নুরম্নল ইসলাম নাহিদ। ড. শফিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক সমরজিৎ রায় চৌধুরী ও মঈনউদ্দিন খালেদ। শিল্পীর এটি ১১তম একক প্রদর্শনী। ৪৬টি ছবি নিয়ে শুরম্ন হওয়া প্রদর্শনী বৃহস্পতিবার শেষ হবে।

No comments

Powered by Blogger.