বিহারী, আলবদর ও শান্তি কমিটি বাগচরে ঢুকে অনেককে হত্যা করে- যুদ্ধাপরাধী বিচার- মুজাহিদের বিরুদ্ধে চিত্তরঞ্জন সাহার সাক্ষ্য

 একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে ১২তম সাক্ষী চিত্তরঞ্জন সাহা জবানবন্দী প্রদান করেছেন।
জবানবন্দীতে তিনি বলেছেন, যেদিন খলিলপুর মাছচর ইউনিয়ন শান্তিকমিটি গঠনের মিটিং হয়। সেদিনই শান্তিকমিটি, আলবদর ও বিহারীরা বাকচরে ১০ জনকে গুলি করে হত্যা করে। হত্যাকা-ের আগে শান্তিকমিটির ঐ মিটিং করার জন্য আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, আফজাল উকিল, আলতাফ খা, কালু বিহারী ও আরও কয়েকজন বোর্ড অফিসে যাচ্ছিলেন। অন্যদিকে বিএনপি নেতা আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে নবম সাক্ষী জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, আলীম ও তাঁর সহযোগীরা আক্কেলপুর স্টেশনে আটককৃত ১০ জনকে নিয়ে যেতে পাকিস্তানী সেনাদের পরামর্শ দেন। সেনাবাহিনী তাদের ট্রেনে নিয়ে গিয়ে কোকতারায় গুলি করে ৯ জনকে হত্যা করে। একজন আহত অবস্থায় পালিয়ে যায়। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই জবানবন্দী প্রদান করা হয়। ট্রাইব্যুনালে অন্য দু’ সদস্য ছিলেন বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া ও জেলা জজ মোঃ শাহীনুর ইসলাম।
অন্যদিকে ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন জামায়াতের নেতাদের তিন আইনজীবী তাজুল ইসলাম, মিজানুল ইসলাম ও তানভীর আহমেদ আল আমিনকে সতর্ক করে ক্ষমা করেছেন। একই ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুমের অপসারণের বিষয়ে আসামিপক্ষের আনা আবেদনের ওপর ২০ জানুয়ারি আদেশ দেয়া হবে। জামায়াতের তিন আসামি গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী ও মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি অব্যাহত রয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই শুনানি চলছে। ট্রাইব্যুনালে অন্য দু’ সদস্য ছিলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক।
মুজাহিদ ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ১২তম সাক্ষী চিত্তরঞ্জন সাহা (৮০) তার জবানবন্দী পেশ করেন। জবানবন্দীতে তিনি বলেন মুক্তিযুদ্ধকালে বিহারী, আলবদর ও শান্তি কমিটির লোকরা ফরিদপুরের বাগচর গ্রামের হিন্দু পল্লীতে ঢুকে অনেক লোককে গুলি করে হত্যা করেছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই জবানবন্দী প্রদান করা হয়।
সাক্ষী চিত্তরঞ্জন সাহা তাঁর জবানবন্দীতে বলেন, ১৯৭১ সালের ১৩ মে সকাল ১০টা কি ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে লক্ষ্মীপুরে যাওয়ার সময় দেখলাম ১টা খোলা জিপে করে আমার দোকানের সামনে দিয়ে কিছু লোক বোর্ড অফিসের দিকে যাচ্ছিল। লোকদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায় আজ মাছচর ইউনিয়নে শান্তি কমিটি গঠিত হবে। তিনি বলেন, এজন্য ফরিদপুর থেকে শান্তি কমিটির লোক আলী আহসান মুজাহিদ, আফজাল উকিল, আলাউদ্দিন খা কালু বিহারীসহ আরও কিছু লোক বোর্ড অফিসে যাচ্ছে।
সাক্ষী আরো বলেন বাগচরে থাকা আমার বড় ভাইয়ের খবর জানার জন্য রওনা হলে দাদার বাড়ির কাছে পৌঁছলে বৌদি বলেন যে আমার বড় ভাইকে মেরে ফেলা হয়েছে। ওই স্থানে গিয়ে দেখি ৮/১০ জন লোকের লাশ পড়ে আছে। সেখানে দাদা বিরে সাহার লাশও ছিল। লাশগুলোর মধ্যে প্রফুল্ল মিত্র, নিপেন শিকদার, উপেন সাহা ও ছানু সাহাদের দেখতে পাই। তিনি বলেন আমার দাদার বাড়িতে আশ্রয় নেয়া তাঁর সম্বন্ধীর মেয়ে ঝর্ণাকেও পাশবিক নির্যাতন করে হত্যা করে। ওপরে যাদের নাম উল্লেখ করেছি তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়।
সাক্ষী আরও বলেন, বাগচরে যাদের লাশ তিনি দেখেছেন তাঁদের শ্রী অঙ্গনে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি তাদের লাশ শ্রী অঙ্গনেই দেখেন। শ্রী অঙ্গনেই তাদের মাটি চাপা দেয়া হয়। যারা এই হত্যাকা- সংঘটিত করেছিল তাদের অত্যাচারে তারা ভিটা ছাড়া হন। জবানবন্দী শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী মুন্সী আহসান কবির তাঁকে জেরা শুরু করেন। জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় মামলার কার্যক্রম ১৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে ২৬ আগস্ট থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ওই দিন প্রসিকিউশনের প্রথম সাক্ষী হিসেবে লেখক, সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির জবানবন্দী পেশ করেন। জবানবন্দী শেষে তাকে জেরা শুরু করে আসামিপক্ষ। এরপর তার বিরুদ্ধে জবানবন্দী দেন-মুক্তিযুদ্ধকালে গেরিলা বাহিনীর সদস্য জহির উদ্দিন জালাল ওরফে বিচ্ছু জালাল, সাংবাদিক মাহবুব কামাল, শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের ছেলে সাংবাদিক শাহীন রেজা নূর, মোঃ রুস্তম আলী মোল্লা, আব্দুল মালেক মিয়া, রঞ্জিত কুমার নাথ ওরফে বাবুনাথ, মীর লুৎফর রহমান, একেএম হাবিবুল হক মুন্নু ও ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ। আসামিপক্ষ তাদের জেরা শেষ করে।
গত ২১ জুন মুজাহিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ৭টি ঘটনায় ৩৪টি অভিযোগে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। এর আগে একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন মুজাহিদকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের ২ আগস্ট এক আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়।
আব্দুল আলীম ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত (শর্তসাপেক্ষে জামিন) বিএনপি নেতা আলীমের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের নবম সাক্ষী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা জাহেদুল ইসলাম তার জবানবন্দীতে বলেন, শান্তি কমিটি ও রাজাকার নেতা হিসেবে আব্দুল আলীম মুক্তিবাহিনী হত্যায় প্ররোচনা দিতেন।
গতকাল মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে তিনি এ অভিযোগ করেন। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ তিনি এই জবানবন্দী প্রদান করেন। জবানবন্দী শেষে তাঁকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এএইচএম আহসানুল হক হেনা। পরে জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় মামলার কার্যক্রম আজ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
প্রসিকিউশন পক্ষের সাক্ষী জাহেদুল ইসলাম (৫৬) বলেন, ১৯৭১ সালের ৮ মে সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহীদ ছমির ম-লের নেতৃত্বে আমি, আবুল মাঝি, আব্দুল মেম্বর, এবারত হোসেনসহ অনেকে মিলে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভাতসা ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের দিকে যেতে থাকি। এর মধ্যে রাত ১১টার দিকে দূর্গাদহ গ্রামের পাশে পৌঁছলে গুলির শব্দ শুনি। তিনি বলেন, এ সময় আমাদের দলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আমি পাশের এক বাড়িতে আশ্রয় নিই। অপর একটি দল ডা. সৈয়দ আলীর বাড়িতে আশ্রয় নিলে তাদের আটক করে। সাক্ষী বলেন, এরপর রহিসুদ্দিনের কাছ থেকে জানতে পাই, আটক ১৩ জনের মধ্যে থেকে ৩ জনকে পাকিস্তানী বাহিনী ধরে নিয়ে যায়। বাকি ১০ জনকে আক্কেলপুর রেলস্টেশনের ওয়েটিং রুমে নিয়ে রাখা হয়। এই খবর জয়পুরহাট শান্তি কমিটি ও রাজাকার নেতা আব্দুল আলীমকে জানানো হলে তিনি তাদের শেষ করে দেয়ার জন্য প্ররোচনা দিতে থাকেন। তিনি বলেন, এরপর এই ১০ জনকে পাঁচবিবি স্টেশনের কোকতারা নামক জায়গায় একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে গুলি করে। গুলিতে ৯ জন মারা যায় এবং একজন আহত হয়ে বেঁচে যান। আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে এর আগে প্রসিকিউশনের ৮ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ১১ জুন আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে সাত ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের সুনির্দিষ্ট ১৭টি ঘটনা আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।
প্রসিকিউটর মালুম ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুমের অপসারণের বিষয়ে আসামিপক্ষের আনা আবেদনের ওপর ২০ জানুয়ারি আদেশ দেয়া হবে। চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মঙ্গলবার এই আদেশ প্রদান করেছে।
জেয়াদ আল মালুমকে প্রসিকিউটর পদ থেকে অপসারণ চেয়ে আসামিপক্ষ পৃথক দুটি আবেদন দায়ের করে। দুটি আবেদন একই ধরনের হওয়ায় দুটি আবেদনেরই এক সঙ্গে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম ও এ্যাডভোকেট আহসানুল হক হেনা। গোলাম আযমের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন এ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম।
অন্যদিকে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুমের পক্ষে শুনানি করেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর আসামি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন করেন। এরপর গত ১০ জানুয়ারি গোলাম আযমের পক্ষ থেকে মালুমের বিরুদ্ধে একই ধরনের আরও একটি আবেদন করা হয়।
সতর্ক করে ক্ষমা ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্তদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের আইনজীবী তাজুল ইসলাম, মিজানুল ইসলাম ও তানভীর আহমেদ আল আমিনকে সতর্ক করে ক্ষমা করেছেন। চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মঙ্গলবার এই আদেশ প্রদান করেন। এর মাধ্যমে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে।
এই আইনজীবীদের নিঃশর্তে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল এক আদেশে বলেছে, ভবিষ্যতে তাদের যথাযথ নিয়মনীতি ও আইন মেনে আচরণ করতে হবে। আদেশে আরও বলা হয়, তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে বক্তব্য রাখার ক্ষেত্রে যে স্থগিতাদেশ ছিল, তা প্রত্যাহার করা হলো। আসামিপক্ষের আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের নিষ্পত্তি করে দেয়া আদেশে ট্রাইব্যুনাল আরও বলেছে, তারা যে অপরাধ করেছে তা সর্বোচ্চ আদালত অবমাননা। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক করে দেয় ট্রাইব্যুনাল।
৬ নবেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১ জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আইনজীবী তাজুল ইসলামকে বিচারিক কার্যক্রমে ২২ নবেম্বর পর্যন্ত বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে এ সময়ের মধ্যে এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামসহ আসামিপক্ষের অন্য দুই আইনজীবী মিজানুল ইসলাম ও তানভীর আহমেদ আল আমিনের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তার কারণ দর্শাতে বলা হয়।
কাদের মোল্লা
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করতে আজ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মঙ্গলবার এই আদেশ প্রদান করেছে।
জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক পেশ করেন। এ সময় তিনি প্রসিকিউশনের সাক্ষীদের জবানবন্দীর সত্যতা ও এর গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে বক্তব্য পেশ করেন। এর আগে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আসামি কাদের মোল্লার পক্ষে তিন দিন যুক্তি উপস্থাপন করেন।

No comments

Powered by Blogger.