পুলিশের সাথে ছিনতাইকারীদের গোলাগুলি : ৬ পুলিশসহ আহত ৮

ফেনীর সোনাগাজীতে পুলিশের সাথে ছিনতাইকারীদের গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে। উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের আনন্দিপুর গ্রামে রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গোলাগুলিতে নূরুল আলম ও রুবেল নামে দুই ছিনতাইকারী গুলিবিদ্ধ ও ৬ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছে, এসআই তাজ উদ্দিন বাহার, এএসআই দেলোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, কনস্টেবল রাকিব উদ্দিন, আবদুল খালেক ও আবুল খায়ের। আহত ছিনতাইকারীদের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হলে চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতাল ও পুলিশ সদস্যদের সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, রোববার দুপুরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গ্রামীণ ব্যাংকের কেন্দ্র ব্যবস্থাপক নূরুল গনি (৩৫) মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা সংগ্রহ করে আসার সময় ওই ইউনিয়নের সমপুর গ্রামের রাস্তার মাথায় আসলে ৩ জন ছিনতাইকারী তাকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে তার নিকট থেকে ১ লাখ ৮ হাজার ৬২৮ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এসময় তার শোর চিৎকারে স্থানীয়রা সংঘটিত হয়ে নূরুল আলম (২৮) নামে এক ছিনতাইকারীকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। তার দেয়া তথ্যমতে পুলিশ বিকালে রুবেল নামে আরো এক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, রুবেলের মাধ্যমে পুলিশ সমপুর গ্রামের ছিনতাইকারী শেখ ফরিদকে আটকের জন্য ফাঁদ পাতে। রুবেল শেখ ফরিদের কাছে ছিনতাইকৃত টাকার ভাগ চাইলে সে রুবেলকে সমপুর গ্রামে আসতে বলে। তার কথামত আটককৃত রুবেল ও নূরুল আলমকে সাথে নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল ও ওসি মো. হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে পুলিশদল রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থল সমপুরে যাওয়ার সময় আনন্দিপুরে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শেখ ফরিদের নেতৃত্বে একদল ছিনতাইকারী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও তাদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালায়। এসময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে দু’ছিনতাইকারী ও ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়। এদিকে টাকা ছিনতাইয়ে ঘটনায় রোববার বিকালে গ্রামীণ ব্যাংক মঙ্গলকান্দি শাখার ব্যবস্থাপক মো: মোবারক হোসেন বাদি হয়ে নূরুল আলম, রুবেল ও শেখ ফরিদসহ ৩ ছিনতাইকারীর নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: হুমায়ূন কবির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.