আস্তানা থেকে পলাতক ৩ জঙ্গি গ্রেফতার

সাভারের মধ্য গেন্ডা এলাকার জঙ্গি আস্তানা থেকে পালিয়ে যাওয়া নব্য জেএমবির তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। এরা হলো- মনির হোসেন ওরফে সুমন, তৌহিদুল ইসলাম ওরফে তুহিন ও কামাল হোসেন। আর ওই আস্তানায় থাকতেন নব্য জেএমবির কথিত নতুন আমীর আইয়ুব বাচ্চু। রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা জঙ্গি আস্তানা চিহ্নিত করার পর ২৬ ও ২৭ মে মধ্য গেন্ডা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করি। কাউকে আটক করা না গেলেও এখান থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই আস্তানা থেকে পালিয়ে যাওয়া জেএমবি সদস্যদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার এদের মধ্যে দুজনকে সাভার এবং আরেকজনকে লক্ষ্মীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। মনির ও কামাল সাভার মামলার এজহারভুক্ত আসামি। গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে সিটিটিসি প্রধান বলেন, মনির নব্য জেএমবির বর্তমান আমির আইয়ুব বাচ্চুর সহযোগী। মনির ও তৌহিদুল পেশায় চালক হলেও তারা নব্য জেএমবির সক্রিয় কর্মী।
এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, দুটি কারণে জঙ্গিরা অস্ত্র বিস্ফোরক মজুদ করছে। প্রথমতো তারা নাশকতার জন্য অস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুদ করে। দ্বিতীয়তো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের সময় এসব অস্ত্র ও বিস্ফোরকের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যেতে অথবা পুলিশের হাতে ধরা না দিয়ে আত্মাহুতি  দিতে এগুলো সংগহ করে। সিটিটিসি সূত্রে জানা গেছে, মনির ও আইয়ুব বাচ্চু সাভারের গেন্ডার আনোয়ার মোল্লার বাসায় পাশাপাশি থাকতো। গেন্ডার অপারেশনের আগেই সাংগঠনিক কাজে বাইরে যায় বাচ্চু। এরই মধ্যে আনোয়ার মোল্লার বাসা ছেড়ে দিয়ে পাশেই সৌদি প্রবাসী হাবিবুর রহমানের বাসায় ওঠে। নব্য জেএমবির বর্তমান আমির আইয়ুব বাচ্চু এর আগে সিলেটের মৌলভীবাজারে অবস্থান করছিল। আতিয়ামহলে অভিযানের পর সাভারের মনিরের সহায়তায় তার পাশের বাসায় ভাড়া নেয়। এছাড়া সাভারের আগে থেকে মনির ও অন্য আরেকজন সক্রিয় সদস্য ছিল। যারা এই এলাকায় জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। নব্য জেএমবির সঙ্গে যুক্ত এমন ১২-১৪ জনের নাম জানা গেছে বলে জানিয়েছে সিটিটিসি একটি সূত্র। আর এদের পরিচালনা করে আসছিল মনির ও অন্য আরেক জন। মনির গ্রেফতার হলেও অন্য আরেকজন এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

No comments

Powered by Blogger.