মৃত্যু যন্ত্রনায় একই পরিবারের দুই শিশু

বড় ছেলে মিজান এক বছর পূর্বে মারা গেছেন। মেঝো ছেলে নাঈম (১৪) ধীরে ধীরে মৃত্যুর যন্ত্রনায় ভুগছেন। ছোট ছেলে সাইদুর (৭)ও একই দূরারোগ্য রোগে অসুস্থ হয়ে পরে আছেন। সোমবার সকালে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার উত্তর রাওঘা গ্রামে গিয়ে এমন দৃশ্য ধরা পরেন দৈনিক নয়াদিগন্তের ক্যামেরায়। তার বড় ছেলের ছয় বছর বয়সে প্রথমে তার হাতের কব্জি ও পায়ের হাটু ফুলে ওঠে , ১২ বছর বয়সে হাত ও পা চিকন হয়ে পক্সগু হয় এবং ১৮ বছর বয়সে বিছানায় পরে মারা যায় কান্নাজড়িত কন্ঠে এমনটা বলছিলেন ওই তিন সন্তানের জনক হাবিব মুসুল্লী ও জননী ফেরদৌসি বেগম। ছেলেদের নিদারুন কষ্টের কথা বলে নাভিশ্বাস টানলেন তারা উভয়ই। এরপরেও সন্তানদের বাঁচানোর আকুতি ওই দ¤পতির। দুরারোগ্য অসুখে মৃত্যুর প্রহর গুণছেন হাবিব মুসুল্লী ও ফেরদৌসী দ¤পতির দুই সন্তান। ডুসেন মাস্কুলার ডিস্ট্রফি নামের এই মরণব্যাধি রোগ এক বছর আগেও কেড়ে নিয়েছে তাদের বড় সন্তানকে। সন্তানদের নিশ্চিত মৃত্যু জেনে দিশেহারা এ পরিবারটি। ডা: এ আর খাঁন ফাউন্ডেশনের জেনারেল সেক্রেটারী মো: আল মামুন নয়াদিগন্তকে বলেন, দেশের বিত্তবান ও সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ নিয়ে শিশু দুটিকে উন্নত চিকিৎসাসহ পুনর্বাসনের জন্য সকলের এগিয়ে আসা উচিত। এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবদুল মতিন নয়াদিগন্তকে জানান, জিনের মাধ্যমে ছড়ানো মরণব্যাধি রোগটির প্রাদুর্ভাব হয় সাত থেকে আট বছর বয়সে। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সেই যার পরিণতি মৃত্যু। উন্নত চিকিৎসা পেলে ভালোভাবে কিছুদিন বেঁচে থাকা সম্ভব। তবে বংশগত হওয়ায় এই বিরল রোগের মৃত্যু নিশ্চিত বলেও জানান তিনি।

No comments

Powered by Blogger.